বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন
বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন, (ইংরেজি: Bishnupur Sir Romesh Institution or BSRI in short), পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত একটি শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয়। এটি বর্তমানে বাংলা মাধ্যমের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছেলেদের বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা অবশ্য সহশিক্ষামূলক।
বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন | |
---|---|
অবস্থান | |
![]() | |
রাজারহাট-বিষ্ণুপুর কলকাতা – ৭০০১৩৫ ভারত | |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৭′০৯″ উত্তর ৮৮°৩০′০৪″ পূর্ব / ২২.৬১৯২২৩° উত্তর ৮৮.৫০১১৩২° পূর্ব |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | সরকার পোষিত |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৮০ |
প্রধান শিক্ষক | বিপ্লব মিত্র |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৯৭৫ |
ভাষা | বাংলা |
বর্ষপুস্তক | ঊষসী |
অন্তর্ভুক্তি | পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ |
ইতিহাস
সম্পাদনাকলকাতা হাইকোর্টের প্রখ্যাত বাঙালি বিচারপতি ও সমাজসেবক স্যার রমেশ চন্দ্র মিত্র (১৮৪০-১৮৯৯) ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে তার জন্মস্থান অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার রাজারহাট-বিষ্ণুপুর গ্রামে একটি ইংরাজী মাধ্যমের বিদ্যালয় স্থাপন করেন, তার বন্ধুবর উইলিয়াম মহেন্দ্রনাথ দাস মহাশয়ের সহযোগিতায়।
সেসময় এটির নাম ছিল বিষ্ণুপুর উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়। বিচারপতি মিত্রের দান করা জমিতে ও অর্থানুকূল্যে বিদ্যালয় ভবন নির্মিত হয়। এমনকি এর পরিচালন ব্যয়ও তিনি প্রথমদিকে বহন করতেন এবং ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করে ট্রাস্টও গঠন করেছিলেন। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে তার প্রয়াণের পর ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয় এবং ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি "বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ মিটারস্ হাই ইংলিশ স্কুল" নামে পরিচিত হয়। তারপর ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন প্রধান শিক্ষক জ্যোর্তিময় ঘোষের প্রস্তাব অনুসারে "বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন " নামে পরিবর্তিত হয়। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ গঠিত হলে বিদ্যালয়টি পর্ষদের অনুমোদন পায় ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্তরে উন্নীত হয়। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান বিভাগের পড়াশোনা শুরু হয়। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে শতবর্ষ উদযাপিত হয়। [১][২]
পরিকাঠামো
সম্পাদনাশতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয়টিতে পুরাতন ও নতুন ভবনের প্রশস্ত শ্রেণীকক্ষে ষষ্ঠ শ্রেণী হতে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠনের সুব্যবস্থা আছে। ৭৮ জন অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী ও ১৯৭৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বর্তমান অনুপাত ২৫:১। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষাদানের মান বেশ উন্নত। বিদ্যালয়ে পাঠাগারে পুস্তক সংখ্যা প্রায় ৪১৬৫ টি। পড়াশোনার মানের সাথে বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণের হার সামজস্যপূর্ণ। বর্তমানে কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখা'র বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা আছে বিদ্যালয়টিতে।
বিদ্যালয়টির নিজস্ব ক্রীড়াঙ্গণ বেশ প্রশস্ত। বিভিন্ন প্রথাগত শিক্ষাক্রম ছাড়াও খেলাধূলাসহ প্রথাবহির্ভূত বিষয় যেমন কর্মশিক্ষা ( বাগান তৈরি করা, সার তৈরি করা, কাঠের কাজ) বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে থাকে বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ে ভারত স্কাউট এন্ড গাইডস্ ও রেড ক্রসের পৃথক গোষ্ঠী আছে। [২] এছাড়াও বিদ্যালয়ে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস তথা এন.সি.সি র প্রশিক্ষণ এবং বাংলার ব্রতচারী সমিতির স্থানীয় অঙ্গ সমিতি - রাজারহাট আঞ্চলিক ব্রতচারী সমিতির র সহযোগিতায় ব্রতচারী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা আছে।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তনীরা
সম্পাদনাপ্রধান শিক্ষক
সম্পাদনা- জ্যোতিময় ঘোষ
- সত্যকিঙ্কর সেন
- বিপ্লব মিত্র (বর্তমান)
- প্রশান্ত কুমার মারিক
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://wikimapia.org/1277283/B-S-R-I>
- ↑ ক খ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রণজিৎ কুমার মণ্ডল হতে প্রাপ্ত বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন শতবার্ষিকী পত্রিকা