বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস বা বিশ্ব হাতধোয়া দিবস বিশ্ব ব্যাপী জনসচেতনতা তৈরী ও উদ্বুদ্ধ করনের জন্য চালানো একটি প্রচারণামূলক দিবস। প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর তারিখে বিশ্ব ব্যাপী এটি পালিত হয়ে থাকে। জনসাধারণের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরী করার উদ্দেশ্যে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।[]

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস
পানি, সাবান ও হাতের সমন্বয়ে তৈরী বিশ্ব হাতধোয়া দিবসের লোগো
উদযাপনআমাদের হাত, আমাদের ভবিষ্যত্
তারিখ১৫ অক্টোবর
সংঘটনবার্ষিক
প্রথম বার১৫ অক্টোবর ২০০৮
সম্পর্কিতরজঃস্রাব স্বাস্থ্যবিধি দিবস

বাস্তবায়ন এবং ব্যবস্থাপনা

সম্পাদনা

সাবান দিয়ে হাতধোয়ার বৈশ্বিক এবং স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করার জন্য বিশ্ব হাতধোয়া অংশীদার (GHP) (পূর্বে নাম ছিল "হাত ধোয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব" (PPPHW)) ২০০৮ সালে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস চালু করে।[]

লক্ষ্য

সম্পাদনা

বিশ্ব হাতধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হলো:[]

  • সকল সমাজের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি সাধারণ সংস্কৃতির সমর্থন ও প্রচলন করা;
  • প্রতিটি দেশে হাত ধোয়ার বিষয়ের নজর দেয়া;
  • সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

ইতিহাস

সম্পাদনা

বিশ্ব পানি সপ্তাহে সুইডেনের স্টোকহোমে ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাতধোয়া অংশীদার (GHP) বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম এই দিবসটি উদ্‌যাপন করে।[] পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তারিখটি প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০০৮ সালটি স্বাস্থ্যব্যবস্থার আন্তর্জাতিক বর্ষও ছিল। ২০০৮ সালে দিবসটি পালনে প্রতিষ্ঠাতা সংস্থাগুলির মধ্যে ছিল: FHI360 (আমেরিকা ভিত্তিক একটি অলাভজনক মানব উন্নয়ন সংস্থা), রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, প্র্যাক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বল, ইউনিসেফ, ইউনিলিভার, বিশ্বব্যাংকের পানি ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রোগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন জন্যের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা।

উপকারিতা

সম্পাদনা

১. সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ফলে ডায়রিয়াজনিত রোগ ৩০ শতাংশ কমে যায়।

২. এই অভ্যাস তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।

৩. কলেরা, ইবোলা, শিগেলোসিস, সার্স, হেপাটাইটিস ই ও কোভিড-১৯ এর মতো প্রাদুর্ভাব-সম্পর্কিত প্যাথোজেনগুলোর সংক্রমণ কমাতে হাত ধোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. হাত পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বিস্তার কমে।

৫. গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে।

৬. হাসপাতাল থেকে ছড়ানো বিভিন্ন সংক্রমণ (এইচএআইএস) এর বিস্তার রোধ করে।

৭. শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস স্কুলে অনুপস্থিতির হারও কমাতে পারে।

৮. নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকলে উত্পাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়।

৯. স্কুলছাত্রীদের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিতি ২৯-৫৭ শতাংশ কমে।

১০. ছোট থেকেই শিশুর হাত ধোয়ার অভ্যাস তার বিকাশ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Rai, Frank (১২ আগস্ট ২০০৯)। "Lae Marks Global Handwashing Day"Post-Courier (Papua New Guinea)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ – Newspaper Source – EBSCO-এর মাধ্যমে। 
  2. "Global Handwashing Day" MMWR. Morbidity and Mortality Weekly Report61 (40): 821। ১২ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৫ 
  3. "The Global Public Private Partnership for Handwashing – Our History"The Global Public Private Partnership for Handwashing। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  4. কীভাবে হাত ধুলে রোগ-ব্যাধির ঝুঁকি কমে?, জাগো নিউজ টুয়েন্টি ফোর, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা