বিশ্ব শিক্ষা ফোরাম

২০০০ সালের এপ্রিল মাসে সেনেগালের রাজধানী ডাকারে বিশ্ব শিক্ষা ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ব শিক্ষা ফোরাম অনুষ্ঠিত

পটভূমি সম্পাদনা

১৯৯০ সালে থাইল্যান্ডের জমতিয়েনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শিক্ষা সম্মেলনে পৃথিবীর সব দেশে ২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। যার ফলে দশ বছর পর এই সভা আহ্বান করা হয়।

কার্যক্রম সম্পাদনা

সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের এটি দ্বিতীয় বিশ্ব সম্মেলন। পৃথিবীর ১৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নেন। এই সম্মেলনে মূলত জমতিয়েন বিশ্ব শিক্ষা সম্মেলনের পর বিগত দশ বছরে বিশ্বব্যাপী সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণের অগ্রগতির মূল্যায়ন এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

লক্ষ্য সম্পাদনা

এই সম্মেলন থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য ছয়টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়:

  • ১. শিশু যত্ন, বিকাশ ও পূর্বপ্রস্তুতিমূলক শিক্ষা; বিশেষ করে বিপন্ন ও অসুবিধাগ্রস্থ শিশুদের জন্য, সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ব্রতী হওয়া।
  • ২. আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে সব ছেলেমেয়ের জন্য মনোযোগী হয়ে, মানসম্মত বিনা বেতনের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা; এই শিক্ষায় দুঃসাধ্য অবস্থায় রয়েছে এমন ছেলেমেয়ে এবং সংখ্যালঘুদের ছেলেমেয়েদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা;
  • ৩. যুব সমাজ ও বয়স্কদের শিখন চাহিদা পূরণের জন্য গৃহীত যথাযথ জ্ঞানমূলক ও জীবন দক্ষতাসম্পন্ন কার্যক্রমে সকলের সমতাভিত্তিক যোগদান ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;
  • ৪. আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে বয়স্ক স্বাক্ষরতার বর্তমান পর্যায় থেকে আরও ৫০ শতাংশ অগ্রগতি সাধিত করার, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এবং এটাও নিশ্চিত করা যে মৌলিক ও অব্যাহত শিক্ষায় বয়স্ক লোকদের সবার প্রবেশের সম-সুযোগ থাকে;
  • ৫. আগামী ২০০৫ সালের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে জেন্ডার বৈষম্য নির্মূল করার এবং ২০১৫ সালের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জনের- এক্ষেত্রে লক্ষ্য থাকবে মানসম্মত মৌলিক শিক্ষায় মেয়েদের পূর্ণ ও সমান প্রবেশাধিকার এবং শিক্ষার্জন;
  • ৬. গুণগত শিক্ষার সকল দিকের উন্নয়ন করা এবং সকলে যাতে তা থেকে লাভবান হয় তা দেখা এবং গ্রহণযোগ্যতা পরিমাপকের মাধ্যমে শিক্ষার্জন যাচাই করা বিশেষ করে স্বাক্ষরতা, গাণিতিক স্বাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা।