গুরু গোবিন্দ সিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ptbotgourou (আলোচনা | অবদান)
r2.6.5) (বট যোগ করছে: sa:गुरुगोविन्दसिंहः
Muhidmehedi (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৮ নং লাইন:
'''গুরু গোবিন্দ সিংহ''' ([[পাঞ্জাবি ভাষা|পাঞ্জাবি]]: ਗੁਰੂ ਗੋਬਿੰਦ ਸਿੰਘ, {{IPA2|ɡʊɾu ɡobɪn̪d̪ sɪ́ŋɡ}}) (২২ ডিসেম্বর, ১৬৬৬ - ৭ অক্টোবর, ১৭০৮) ছিলেন [[শিখধর্ম|শিখধর্মের]] দশম [[শিখ গুরু|গুরু]]। তিনি বর্তমান [[ভারত|ভারতের]] [[বিহার]] রাজ্যের [[পাটনা]] শহরে জন্মগ্রহণ করেন। গুরু গোবিন্দ ১৬৭৫ সালের ১১ নভেম্বর মাত্র নয় বছর বয়সে পিতা [[গুরু তেগ বাহাদুর|গুরু তেগ বাহাদুরের]] স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ছিলেন শিখ জাতির নেতা, যোদ্ধা, কবি ও দার্শনিক। শিখ সমাজে গুরু গোবিন্দ হলেন আদর্শ পৌরুষের প্রতীক। তিনি তাঁর উচ্চশিক্ষা, দক্ষ অশ্বচালনা, সশস্ত্র যুদ্ধবিদ্যায় পটুতা ও চারিত্র্য দাক্ষিণ্যের জন্য প্রসিদ্ধ।<ref>{{cite book | last=Cole | first=W. Owen | coauthors=Sambhi, Piara Singh | year=1978 | title=The Sikhs: Their Religious Beliefs and Practices | publisher=Routledge & Kegan Paul | location=London| isbn = 0-7100-8842-6 | pages=35 | nopp=true}}</ref>
 
শিখদের আদর্শ ও দৈনন্দিন জীবনে গুরু গোবিন্দ সিংহের জীবন ও শিক্ষার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তাঁর [[খালসা]] প্রবর্তন [[শিখধর্মের ইতিহাস|শিখ ইতিহাসের]] অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল]] ও শিবালিক পার্বত্য অঞ্চলের মুঘল সহকারী রাজাদের সঙ্গে কুড়িটি আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। গুরু গোবিন্দই শেষ মানব শিখ গুরু। ১৭০৮ সালের ৭ অক্টোবর তিনি শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ [[গুরু গ্রন্থ সাহিব|গুরু গ্রন্থ সাহিবকে]] শিখদের পরবর্তী এবং চিরস্থায়ী গুরু ঘোষণা করেন।<br />
 
 
শিশুকাল<br />
গুরু গোবিন্দ সিংহ যখন জন্মগ্রহন করে ছিলেন তখন তার নাম ছিল গোবিন্দ রাই। তার পিতা ছিলেন গুরু তেগ বাহাদুর ও তার মা ছিলেন মাতা গুজরি। গুরু গোবিন্দ সিংহ তার জীবনের প্রথম ৫ বছর [[পাটনা]] শহরে কাটান। একবার [[পাটনা]] শহরের রাজা ফতে চাঁদ ও তার রানী, যারা সন্তানহীন ছিলেন, শিব দত্ত এর কাছে আসেন এবং একজন সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতে বলেন। শিব দত্ত তাদের শিশু গুরু গোবিন্দ সিংহ এর সাথে দেখা করতে ও তার আর্শিবাদ নিতে বলেন। গুরু গোবিন্দ সিংহ এর সাথে দেখা করার পর রানী তাকে ছেলে সন্তানের জন্য আর্শিবাদ দিতে অনুরোধ করেন, এতে গুরু গোবিন্দ সিংহ হাসি দিয়ে বলেন যে তাদের ছেলে সন্তানের দরকার কি, তাকেই তারা ছেলে হিসাবে ডাকতে পারেন। এর পর হতে রানী তাকে ছেলে মর্যাদা দেন এবং তাকে ছেলে বলে ডাকতেন। গুরু গোবিন্দ সিংহ তখন প্রায়ই তাদের প্রসাদে এ যেতেন ও খেলা করতেন। রানী তাকে ও তার খেলার সাথীদের পুরি ও ছোলার ডাল রান্না করে দিতেন। আজও সেই প্রসাদে পুরি ও ছোলার ডাল রান্না করা হয় এবং তা গরীব মানুষের মাঝে বিতরন করা হয়। প্রসাদটি এখন গুরুদোয়ারাতে পরিনত হয়েছে।
নওয়াব করিম বখশ ও রহিম বখশ তাকে পছন্দ করতেন এবং গুরু গোবিন্দ সিংহকে একটি গ্রাম ও বাগান উপহার দিয়েছিলেন।
 
== পাদটীকা ==
{{reflist|2}}