নাজমুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
 
== জীবন ==
মেজর নাজমুল হক ১৯৩৮ সালের ১ আগস্ট [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রামের]] [[লোহাগাড়া উপজেলা|লোহাগাড়ার]] আমিরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা অ্যাডভোকেট হাফেজ আহমদ, মা জয়নাব বেগম। তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে [[কুমিল্লা জেলা|কুমিল্লার]] পেশোয়ারা পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ও ঢাকার [[জগন্নাথ কলেজ]] থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা [[বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়|আহসান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে]] (বর্তমানে বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়ই যোগ দেন [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী|পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে]]। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ অক্টোবর আর্টিলারী কোরে কমিশন লাভ করেন।
 
== মুক্তিযুদ্ধে অবদান ==
মুক্তিযুদ্ধের সময় নাজমুল হক পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে [[মেজর]] পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি [[রাজশাহী জেলা]], [[পাবনা জেলা]], [[বগুড়া জেলা]] এবং [[দিনাজপুর জেলা|দিনাজপুর জেলার]] অংশবিশেষ নিয়ে গড়ে ওঠা ৭ নং সেক্টরের কমান্ডার পদে ১৯৭১ এর এপ্রিল থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।তরংগপুর ছিল তাঁর হেডকোয়ার্টার।তাঁর সেক্টরে তিনি গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করতেন এবং মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতেন যারা প্রথাগত সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলো না।প্রায় পনের হাজার মুক্তিযোদ্ধা এ সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন [[মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর]] তাঁর অধীনেই যুদ্ধ করেছেন।
 
১৮ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে মেজর নাজমুল হককে [[নওগাঁ জেলা|নওগাঁয়]] ৭ [[বাংলাদেশ রাইফেলস|ইপিআর]] উইংয়ের অধিনায়ক করে পাঠানো হয়। ২৫ মার্চ, ১৯৭১ এ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর [[অপারেশন সার্চলাইট]] শুরু হলে পরদিন স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে নওগাঁ মহকুমাকে শত্রুমুক্ত স্বাধীন বাংলার অংশ ঘোষণা করেন তিনি। স্থানীয় যুবকদের হাতে তিনি তুলে দেন অস্ত্র। স্বেচ্ছাসেবক যুবকদের নিয়ে গঠন করেন [[ইপিআর মুজাহিদ বাহিনী]]। সেই বাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে প্রথমেই তিনি নওগাঁ ও বগুড়ার পাকিস্তানি হানাদারদের ক্যাম্প দখল করে শত্রুমুক্ত করেন গোটা বগুড়া জেলা। ২৮ মার্চ, ১৯৭১ তারিখে তাঁর বাহিনীর দ্বিমুখী আক্রমণে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হানাদাররা। দিনাজপুরের ধনধনিয়াপাড়ায় ১৮ জুন, ১৯৭১ তারিখে বড় রকমের এক যুদ্ধের পর ওই এলাকা মেজর নাজমুলের বাহিনীর দখলে আসে। এতে ১৪ জন পাকিস্তানি সেনা মারা যায়।