নির্বাচন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Luckas-bot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.1) (রোবট যোগ করছে: lv:Vēlēšanas
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে, কোনো সমস্যা?
১ নং লাইন:
[[Fileচিত্র:Election MG 3455.JPG|thumb|right|একটি [[ব্যালট বাক্স]]]]
'''নির্বাচন''' হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগন প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়।<ref name = Brit> [http://www.britannica.com/EBchecked/topic/182308/election "Election (political science),"] Encyclpoedia Britanica Online. Accessed August 18, 2009</ref> সপ্তদশ শতক থেকে আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।<ref name = Brit/> নির্বাচনের মাধ্যমে আইনসভার পদগুলি পূরণ করা হতে পারে, কখনও আবার কার্যনির্বাহী এবং বিচারব্যবস্থা ছাড়াও আঞ্চলিক ও স্থানীয় সরকারে প্রতিনিধি বাছাইও নির্বাচনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার প্রয়োগ হয় বহু বেসরকারী সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও। ক্লাব বা সমিতি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কর্পোরেশন বা নিগমেও এই প্রক্রিয়ার ব্যবহার করা হয়।
 
১১ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
[[Fileচিত্র:Roman Election.jpg|thumb|left|রোমান মুদ্রায় নির্বাচনের ছবি]]
সভ্যতার ইতিহাসের প্রাচীন কাল থেকেই প্রাচীন গ্রীস ও প্রাচীন রোমে নির্বাচনের ব্যবহার হয়ে আসছে এবং গোটা মধ্যযুগে পবিত্র রোমান সম্রাট ও পোপের মত শাসক বাছাই করতেও নির্বাচনের ব্যবহার হতো।<ref name = Brit/> প্রাচীন ভারতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজারা বাছাই করতেন রাজাদের। প্রাচীন ভারতের খালিফ, উঠমান এবং আলি, মধ্যযুগের গোড়ার দিকে রশিদুন খলিফৎ<ref>''Encyclopedia of Islam and the Muslim World'' (2004), vol. 1, p. 116-123.</ref> এবং বাংলার মধ্যযুগের গোড়ার দিকে পাল রাজাদের মধ্যে গোপালকে বাছাই করতে এই নির্বাচন করা হয়েছিল।<ref>History of Buddhism in India, Translation: A. Shiefner.</ref> তবে আধুনিক ‘নির্বাচন’ হলো জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচন। সপ্তদশ শতাব্দীর একেবারে শুরুর দিকে উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে যখন প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের ধারণা এলো তার আগে পর্যন্ত অবশ্য জনসাধারণকে দিয়ে সরকারী পদাধিকারী বাছাইয়ের এই আধুনিক ‘নির্বাচন’ বিষয়টির আবির্ভাবই হয়নি।<ref name = Brit/>
 
৩৬ নং লাইন:
 
== চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি ==
=== ভোটাধিকার ===
কারা ভোট দিতে পারবে সেই প্রশ্নটাই হলো নির্বাচনের মূল বিষয়। সাধারণত সমগ্র জনসমষ্টিই নির্বাচকমণ্ডলী হয় না। উদাহরণস্বরূপ, বহু দেশই মানসিকভাবে অসমর্থদের ভোটদান থেকে বিরত রাখে, এবং সব দেশের আইনেই ভোট দেওয়ার একটা ন্যূনতম বয়স প্রয়োজন।
 
ইতিহাস থেকেই জানা যায় যে বিভিন্ন সময়েই জনসমষ্টির অনেক গোষ্ঠীকেই ভোটদানের অধিকারের বাইরে রাখা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, প্রাচীন এথেন্সের গণতন্ত্রে মহিলা, বিদেশী ও ক্রীতদাসদের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানও ভোটাধিকারের বিষয়টি প্রদেশগুলির উপরেই ছেড়ে দেয়। সাধারণত সেখানে সম্পত্তির মালিক শ্বেতাঙ্গ পুরুষরাই কেবলমাত্র ভোট দিতে পারত। ভোটাধিকারের বাইরে থাকা অংশকেও ভোটাধিকার দেওয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে নির্বাচনের অনেক ইতিহাস রয়েছে। মহিলাদের ভোটাধিকার আন্দোলন বহু দেশেই মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদানে সহায়তা করেছে এবং মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য ছিল অবাধ ভোটদান সুনিশ্চিত করা। দণ্ডিত অপরাধী, নির্দিষ্ট সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রতিকূলতার মধ্যে থাকা মানুষ যারা এখনও কোথাও কোথাও ভোটাধিকার পায়নি তাঁদের মধ্যে ভোটাধিকার সম্প্রসারণ করাই হলো ভোটাধিকারের পক্ষে যাঁরা সওয়াল জবাব করেন তাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।
[[Fileচিত্র:ElezioneMilano.jpg|thumb|right|২০০৪ এ [[ইটালি|ইটালির]] [[মিলান|মিলানে]] এক প্রচারকর্মী পোস্টার লাগাচ্ছেন।]]
ভোটাধিকার সচরাচর কেবলমাত্র সেদেশের নাগরিকদেরই থাকে। এর বাইরেও আরো কিছু সীমারেখা আরোপ করা যেতে পারে। যদিও সেদেশের বাসিন্দাদের সিংহভাগই এই শর্তটি পূরণ করতে পারে না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যদিও কোনো একজন পৌরভোটে ভোট দিতে পারেন যদি সেই পৌর এলাকার তিনি বাসিন্দা হন এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়নেরই একজন নাগরিক হন। এক্ষেত্রে তিনি এখন যে দেশে বাস করছেন সেই দেশেরই নাগরিকত্বেরই প্রয়োজনীয়তা নেই।
 
কিছু দেশে আবার ভোটাদান আইনগত ভাবে বাধ্যতামূলক, যদি কোনো যোগ্য ভোটার ভোট না দেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। হতে পারে সামান্য জরিমানাও।
 
=== মনোনয়ন ===
একটি প্রতিনিধিত্বমূলক গনতন্ত্রের রাজনৈতিক ক্ষমতাশীল পদে কাউকে নিয়োগ করার অধিকার প্রয়োগ বা সোজা কথায় মনোনয়নের একটা পদ্ধতি থাকা জরুরী। বহু ক্ষেত্রেই এই মনোনয়ন আবার সংগঠিত রাজনৈতিক দলগুলিতে আগে থেকেই বাছাই করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মধ্যস্থতা করা হয়।<ref>Reuven Hazan, 'Candidate Selection', in Lawrence LeDuc, Richard Niemi and Pippa Norris (eds), ''Comparing Democracies 2'', Sage Publications, London, 2002</ref>
 
৫২ নং লাইন:
দলীয় ব্যবস্থায়, কিছু দেশে কোনো একটি রাজনৈতিক দল যতদূর সম্ভব তার সদস্যদেরই কেবলমাত্র মনোনীত করতে পারে। অথবা, একজন যোগ্য ব্যক্তি আবেদনের ভিত্তিতে মনোনীত হতে পারে। এভাবেই তার নাম ব্যালটে তালিকাভুক্ত হতে পারে।
 
=== নির্বাচনী ব্যবস্থাসমূহ ===
 
নির্বাচনী ব্যবস্থা হলো একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ সাংবিধানিক বন্দোবস্ত এবং ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা। যা ভোটকে বদলে দেয় একটা নির্ধারণকারী ব্যবস্থায় যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার জন্য নির্বাচিত হয়। প্রথম পর্যায় হলো ভোট গণনা, যার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভোট গণনা ব্যবস্থা এবং ব্যালট ব্যবহার করা হয়ে আসছে। ভোটিং ব্যবস্থায় এর পর গণনার ভিত্তিতে ফলাফল নির্ণয় হয়। বেশিরভাগ ব্যবস্থাকেই হয় অনুপাত নয়তো গরিষ্ঠতামূলকভাবে শ্রেণীকরণ করা যায়। আগেরগুলির মধ্যে রয়েছে দলীয়-তালিকা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এবং অতিরিক্ত সদস্য ব্যবস্থা। পরবর্তীগুলির মধ্যে রয়েছে ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (এফ পি পি FPP) (আপেক্ষিক গরিষ্ঠতা) এবং নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা। বহু দেশেই নির্বাচনী সংস্কার আন্দোলন বেড়ে উঠছে, এতে অ্যাপ্রুভাল ভোটিং, সিঙ্গল ট্রান্সফারেবল ভোট, ইনস্ট্যান্ট রান অব ভোটিং অথবা কনডোরসেট ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করা হচ্ছে, কিছু দেশে ছোটখাটো ভোটে এই পদ্ধতিগুলি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও সে দেশগুলিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনগুলিতে এখনও সেই প্রথাগত গণনা পদ্ধতিই ব্যবহার করা হচ্ছে।
৬৫ নং লাইন:
নির্বাচন সচরাচর একই দিনে হয়। সময়সূচীর আরো নমনীয়তা থাকলে আগাম ভোটও দেওয়া যেতে পারে এবং ভোটদানে গরহাজিরও থাকতে পারে কেউ। ইউরোপে ভোটারদের উল্লেখযোগ্য অংশই আগাম ভোট দিয়ে দেন।
 
=== নির্বাচনী প্রচারসমূহ ===
যখন নির্বাচন হয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা ও তাদের সমর্থকরা ভোটারদের কাছে সরাসরি আবেদনের মাধ্যমে তাদের নীতি তুলে ধরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে, একেই বলা হয় নির্বাচনী প্রচার। প্রচারের জন্য সমর্থকরা হয় আনুষ্ঠানিকভাবেই সংগঠিত হয় অথবা স্বেচ্ছায় জুড়ে যায় এবং নিয়মিতভাবেই প্রচার বিজ্ঞাপনের ব্যবহার করে। রাজনৈতিক পূর্বাভাস-এর মাধ্যমে ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী করা রাজনৈতিক বিজ্ঞানীদের কাছে খুবই সাধারণ ব্যাপার।
 
৮২ নং লাইন:
=== সারা বিশ্বের নির্বাচন ===
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
 
== গ্রন্থপঞ্জি ==
* [[Kenneth Arrow|Arrow, Kenneth J.]] 1963. ''Social Choice and Individual Values.'' 2nd ed. New Haven, CT: [[Yale University Press]].
* Benoit, Jean-Pierre and Lewis A. Kornhauser. 1994. "Social Choice in a Representative Democracy." ''American Political Science Review'' 88.1: 185-192.
৯৫ নং লাইন:
* Ware, Alan. 1987. ''Citizens, Parties and the State.'' Princeton: [[Princeton University Press]].
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{Wiktionarypar|election}}
* [http://www.ipu.org/parline-e/parlinesearch.asp PARLINE database on national parliaments. Results for all parliamentary elections since 1966]
* [http://www.electionguide.org ElectionGuide.org &mdash; Worldwide Coverage of National-level Elections]
* [http://www.parties-and-elections.de parties-and-elections.de: Database for all European elections since 1945]
* [http://www.aceproject.org ACE Electoral Knowledge Network] &mdash; electoral encyclopedia and related resources from a consortium of electoral agencies and organizations.
* [http://www.angus-reid.com/tracker/ Angus Reid Global Monitor: Election Tracker]
* [http://www.idea.int/esd/world.cfm IDEA's Table of Electoral Systems Worldwide]
* [http://www.eurela.org European Election Law Association (Eurela)]
* [http://www.killercampaigning.com/local-elections-list-political-campaign-candidate-offices/ List of Local Elected Offices in the United States]
 
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:নির্বাচন]]
 
[[ar:انتخابات]]