কৌশলগত বাজারজাতকরণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে উইকি নিবন্ধ
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৫:৩৯, ৮ এপ্রিল ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো বাজারজাতকরণের এমন একটি প্রক্রিয়া, যদ্বারা বিভিন্নরকম কৌশল উন্নয়ন করে পরিবর্তনশীল বাজার অবস্থায় কোম্পানীর সম্পদ, সামর্থ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে কিভাবে আলাদা অবস্থান গ্রহণ করা যায়, তার রূপরেখা তৈরি করে। অর্থাৎ কৌশলগত বাজারজাতকরণ হলো সম্ভাব্য অথবা প্রকৃত বাজারের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা খুঁজে বের করা ও সম্পদের বন্টন নিশ্চিতকরত তা সে সুবিধা গ্রহণ করা।[১] কৌশলগত বাজারজাতকরণে যেসকল কৌশল উন্নয়ন করা হয় সেগুলো হলো: পণ্য কৌশল, মূল্য কৌশল, বন্টন কৌশল এবং প্রসার কৌশল।

কৌশলগত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া

কৌশলগত বাজারজাতকরণ একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে:
ধাপ ১: কৌশলগত অবস্থা বিশ্লেষণ একটি প্রতিষ্ঠান যখন বাজার উপযোগী বাজারজাতকরণ কৌশল গ্রহণের উদ্যোগ নেয়, তখন কয়েকটি বিষয়কে বিবেচনা করা জরুরি। যথা:

  • পণ্যবাজারকে জানা ও বোঝা খুবই জরুরি। এতে বাজার সম্পর্কিত পরিকল্পনায় বাস্তবতা প্রাধান্য পাবে। এছাড়া এতে প্রতিযোগীদের শক্তি-সামর্থ, সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এসময় প্রতিষ্ঠানের SWOT Analysis বা শক্তি-দুর্বলতা-সুযোগ-হুমকি বিশ্লেষণ করা জরুরি।
  • বাজারের সমস্ত ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করা সম্ভব হয় না বলে নির্দিষ্ট ক্রেতাদেরকে সকল ক্রেতা থেকে আলাদা করে নেয়া (বাজার বিভাজন) জরুরি। কেননা সঠিক ক্রেতাদের চিহ্নিত না করতে পারলে বাজারে টিকে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
  • সব সময় বাজার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। কেননা প্রতিনিয়ত বাজার পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বাজারের ক্রেতাদের চাহিদায়ও পরিবর্তন আসছে। তাই পরিবর্তনশীল বাজার সম্পর্কে যত বেশি জানা যায়, তত বেশি বাজারে অবস্থান গ্রহণ সহজ হয়।

তথ্যসূত্র

  1. BusinessDictionary.com, Strategic Marketing। পরিদর্শনের তারিখ: এপ্রিল ৮, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।