আবদুল্লাহিল বাকী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Royesoye (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: আবদুল্লাহিল বাকী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযো...
(কোনও পার্থক্য নেই)

০১:৪২, ২৯ মার্চ ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আবদুল্লাহিল বাকী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বাবার নাম মো. আবদুল বারী। মা আমেনা খাতুন।[১]

শিক্ষা জীবন

১৯৭১ সালে মো. আবদুল্লাহিল বাকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। অসহযোগ আন্দোলন ও ২৫-২৬ মার্চের প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

আবদুল্লাহিল বাকী ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাড়ি জমান। মেলাঘর-এ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে মে মাসে কয়েক জনের সঙ্গে ঢাকায় ফিরে আসেন। তাঁরা মতিঝিলের চার স্থানে এক যোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবার ভারতে চলে যান। এরপর তিনি ভারতের চাকুলিয়ায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে যান। প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে বাকী বাংলাদেশে এসে বৃহত্তর ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন। বাকী ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। তিনি ইউনিট কমান্ডার ছিলেন।

মৃত্যু

১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে বাকী তাঁর মুক্তিযোদ্ধা দল নিয়ে ঢাকা শহরের উপকণ্ঠেই অবস্থান করছিলেন। ৪ ডিসেম্বর রাতে কয়েকজন সহযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি খিলগাঁওয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে ফেরার সময় তাঁরা পাকিস্তানি সেনা ও তাদের সহযোগী একদল মুজাহিদের সামনে পড়ে যান। পাকিস্তানি সেনা ও মুজাহিদরা তাঁদের গুলি করে। বাকী ও তাঁর সহযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাকী ও তাঁর সহকারী বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।


সম্মাননা ও স্বীকৃতি

মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তাঁকে ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বীর প্রতীক খেতাব দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র

  1. শহীদ আবদুল্লাহিল বাকী বীর প্রতীক| তারিখ: ২৯-০৩-২০১১, http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-03-29/news/142552