হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কিছু পরিমার্জন
ফিক্স
৪ নং লাইন:
হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রের অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে ছিলো ১৯১৫ সালের সিঙ্গাপুর বিদ্রোহ, অ্যানি লারসেন অস্ত্র পরিকল্পনা, যুগান্তর-জার্মান ষড়যন্ত্র, কাবুলে জার্মান দূতাবাসের চক্র, এবং ভারতবর্ষে কনট রেঞ্জার্সের বিদ্রোহ। এছাড়া কারো কারো মতে ১৯১৬ সালের ব্ল্যাক টম বিস্ফোরণও এই ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলো। এছাড়া হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যে ১ম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণরত ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাজে বাধা সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হয়।
 
ভারতীয়-আইরিশ-জার্মান জোট ও ষড়যন্ত্রটির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ব্রিটিশ গোয়েন্দারা তৎপর হয়ে উঠে এবং সাফল্যের সাথে এই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেয়া হয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অ্যানি লারসেন ঘটনার পরে পরে ১৯১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এই ষড়যন্ত্রের প্রধান হোতাদের গ্রেপ্তার করে। ভারতবর্ষে এই ষড়যন্ত্রের বিচার করা হয় [[লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা|লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায়]] এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিচার করা হয় [[হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা|হিন্দু -জার্মান ষড়যন্ত্র মামলায়]]।মামলায়। তখন পর্যন্ত এই মামলাটি ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল মামলা।<ref name=Plowman84/>
 
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই ষড়যন্ত্রের যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। ১ম বিশ্বযুদ্ধের শেষ লগ্নে এই ষড়যন্ত্রটি নস্যাৎ হয়ে গেলেও ভারতে ব্রিটিশ শাসনের নীতিমালায় এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।<ref name=Popplewell4>{{Harvnb|Popplewell|1995|p=4}}</ref> ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মানি, ইতালি, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে একই রকমভাবে ইন্দিশ্চে লিজিয়ন, আযাদ হিন্দুস্তান ব্যাটালিয়ন, এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়ে তোলা হয়।