অ্যানথ্রাক্স (রোগ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashraf Sujon (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Ashraf Sujon (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৯ নং লাইন:
ব্যাসিলাস গনের অন্যান্য সদস্যের মতো অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু ''Bacillus anthracis''ও প্রতিকূল পরিবেশে স্পোর হিসাবে সুপ্ত অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে। সুপ্ত দশায় এই জীবাণু শতাব্দীর পর শতাব্দীও টিকে থাকতে পারে।<ref>"[http://www.thisislondon.co.uk/standard/article-23689394-details/Crossrail+work+stopped+after+human+bones+found+on+site/article.do Crossrail work stopped after human bones found on site]," ''London Evening Standard''</ref> সব মহাদেশে, এমনকি [[কুমেরু]]তেও এরকম স্পোর পাওয়া গেছে। <ref>"Hudson, J. A.; Daniel, R. M. and H. W. Morgan (2006). "Acidophilic and thermophilic ''Bacillus'' strains from geothermally heated antarctic soil." ''FEMS Microbiology Letters'' '''60'''(3):279–282.</ref> নিঃশ্বাসের সাথে, ত্বকের ক্ষত দিয়ে, কিংবা খাদ্যের মাধ্যমে এই জীবাণুর স্পোর দেহে প্রবেশ করার পরে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে।
 
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত বন্য এবং গৃহপালিত লতাপাতাভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রান্ত করে। এ সকল প্রাণী ঘাস খাওয়ার সময় বা মাঠের চরার সময় খাওয়ার সাথে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে স্পোর প্রাণীর ভিতরে গিয়ে আক্রান্ত হয়। লতাপাতা বা ঘাস খাওয়ার সময়ই বেশির ভাগ প্রাণী অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়। মাংসাশী প্রাণী একই পরিবেশে বাস করে অথবা আক্রান্ত প্রাণী খাওয়ার ফলে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্ষে বা আক্রান্ত প্রাণীর মাংস খাওয়ার ফলে অ্যানথ্রাক্স মানুষের শরীরেও সরাসরি সংক্রমণ হতে পারে। মানুষ থেকে মানুষে অ্যানথ্রাক্স ছরায় না।
 
অ্যানথ্রাক্স স্পোর [[ইন ভিট্রো]] (টেস্ট টিউব) পদ্ধতিতে তৈরি করা যায়, যা [[জৈবিক অস্ত্র]] হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অ্যানথ্রাক্স সরাসরি এক আক্রান্ত পশু বা ব্যক্তির থেকে অন্য পশু বা ব্যক্তির শরীরে ছড়ায় না, এটি স্পোরের মাধ্যমে এর সংক্রমিত হয়। এর স্পোর জামা কাপড় বা জুতার মাধ্যমে বহন করা যায়। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত জীবের মৃত দেহ অ্যানথ্রাক্স স্পোরের একটি অন্যতম উৎস।
২৬ নং লাইন:
[[File:Anthrax PHIL 2033.png|thumb|220px|অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হওয়ায় সৃষ্ট ক্ষত]]
 
==চিকিৎসা==
মানুষ থেকে মানুষে অ্যানথ্রাক্স ছরায় না কিন্তু মানুষের শরীর এবং পোষাক অ্যানথ্রাক জিবানু বহন করতে পারে। শরির থেকে জীবানু দুর করার জন‍্য অ‍্যান্টিব‍্যকটেরিয়াল সাবান দিয়া গোসল করতে হবে। গোসলের পানি ব্লিচ বা কোনো অ‍্যান্টিব‍্যকটেরিয়াল দ্বারা শুদবধ করতে হবে। জীবানু আক্রা্নত জিনিসপত্র ৩০ মিনিটের অধিক সময় ধরে ফুটাতে হবে। কোনো জায়াগা থেকে জীবানু ধ্বংসে ক্লোরিন ব্লিচ কাযর্করী নয় বরং এক্ষেত্রে ফরমালডীহাইড ব‍্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত বাক্তির কাপড় পুড়িয়ে ফেলা জীবানু ধ্বংসের একটি কাযর্কর পদ্ভতি। মানুষ আক্রান্ত হবার পর যত দুত সম্ভব অ্যানথ্রাক্স জীবানুনাষক দিতে হবে , যত দেরি হবে জীবনের ঝূকি তত বারবে।
 
==তথ্যসূত্র==