কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: বাঙালী > বাঙালি
৩৪ নং লাইন:
=== অভিনন্দ ===
''কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়''-এর অন্যতম বিশিষ্ট কবি অভিনন্দ বা গৌড় অভিনন্দ। তাঁর পাঁচটি শ্লোক এই গ্রন্থে সংকলিত। এগুলিতে অবশ্য কবির নামের সঙ্গে গৌড় অভিধাটি যুক্ত হয়নি। ডক্টর নীহাররঞ্জন রায় মনে করেন,
{{Cquote|কবীন্দ্রবচনসমুচ্চয়-গ্রন্থে (একাদশ শতক) যে কবি অভিনন্দর উল্লেখ আছে তিনি খুব সম্ভবত এই অভিধাবিহীন অভিনন্দ, কিন্তু ইনি এবং গৌড়-অভিনন্দ একই ব্যক্তি কিনা, নিঃসন্দেহে বলা কঠিন। গৌড়-অভিনন্দ বাঙালীবাঙালি ছিলেন, তাঁর অভিধাতেই প্রমাণ। অভিধাবিহীন কবি অভিনন্দের ২২টি শ্লোক বাঙালীবাঙালি শ্রীধরদাস কর্তৃক সংকলিত হইতে দেখিয়া মনে হয়, ইনিও বোধহয় বাঙালীবাঙালি ছিলেন এবং তাহা হইলে এই দুই অভিনন্দ এক হইতে কিছু বাধা নাই। <ref>''বাঙ্গালীর ইতিহাস : আদি পর্ব'', নীহাররঞ্জন রায়, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, চতুর্থ সংস্করণ, অগ্রহায়ণ, ১৪১০ বঙ্গাব্দ, পৃ.৫৮২</ref>}}
 
== বৈশিষ্ট্য ও বিষয়বস্তু ==
৪২ নং লাইন:
 
=== জীবনমুখিনতা ===
এই কাব্যের অপর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, এর জীবনমুখিনতা। সমকালীন সময় ও সমাজের একটি খণ্ডচিত্র এই শ্লোকগুলি আমাদের সামনে উপস্থাপিত করে। সাহিত্যে রাজসভার বাইরে অবস্থিত লৌকিক জীবনের প্রভাব পড়তে শুরু করে। দরিদ্র জনসাধারণের জীবনযাত্রার প্রতিও এক অস্ফুট মমত্ব এই শ্লোকগুলিতে ফুটে উঠেছে। ডক্টর নীহাররঞ্জন রায় বলেছেন, {{Cquote|মহাকাব্য, এমন কি ছোট ছোট রসহীন, পাণ্ডিত্যপূর্ণ কাব্য বোধ হয় সমসাময়িক শিক্ষিত বাঙালীরবাঙালির খুব বেশি রুচিকর ছিল না; তাহার বেশি রুচিকর ছিল অপভ্রংশ এবং প্রাকৃত পদ ও ছড়া, ছোট ছোট সংস্কৃত কবিতা, প্রকীর্ণ শ্লোক। এই সব সংস্কৃত শ্লোক ও পদের মধ্যে শুধু যে সমসাময়িক সংস্কৃত কাব্যরীতির পরিচয়ই আছে তাহাই নয়, বাঙলাদেশের প্রাকৃতিক রূপ এবং সমসাময়িক বাঙালীরবাঙালির কল্পনা ও মানসপ্রকৃতিও সুস্পষ্ট ধরা পড়িয়াছে। <ref>''বাঙ্গালীর ইতিহাস : আদি পর্ব'', নীহাররঞ্জন রায়, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, চতুর্থ সংস্করণ, অগ্রহায়ণ, ১৪১০ বঙ্গাব্দ, পৃ.৫৮৫</ref>}}
 
=== সংস্কৃত ও বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ববোধ ===