সূরা কাহফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বানান শুদ্ধিকরণ: ইংরেজী > ইংরেজি
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: কারণ, আচরণ, দক্ষিণ, খ্রিস্টাব্দ, প্রাইমারি, পরিমাণ, আরবি, ফরাসি, ফার্সি, গ্রিক
৪১ নং লাইন:
 
== প্রশ্ন এবং এর উত্তর ==
প্রথম প্রশ্নটি ছিল যুবদের সম্পর্কে। এ সূরায় যুবকদের ঘটনাও পুরোপুরি বর্ণনা করা হয়েছে। তাদেরকে "আসহাবে কাহফ" বা [[গুহাবাসী]] বলা হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফরকারী ব্যক্তির সম্পর্কে। এ সূরায় পূর্ব ও পশ্চিমে সফরকারী [[জুলকারনাইনজুলকারণাইন|যুলকারনাইনেরযুলকারণাইনের]] ঘটনাও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআন শরীফের সূরা কাহাফের আয়াত নম্বর ৮৩-১০১ অংশে জুলকারনাইনজুলকারণাইন সম্পর্কিত বর্ণনা আছে। নবী হিসেবে জুলকারনাইনেরজুলকারণাইনের নাম উল্লেখ নেই যদিও কিন্তু তিনি নবী ছিলেন না এমনটিও বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাঁকে সকল বিষয়ে পথনির্দেশ বা দিকনির্দেশ এবং/অথবা কার্যপোকরণ দিয়েছেন। তিনি এরপর দুটি পথ অনুসরণ করেন। এর মধ্যে এক পথে গিয়ে তিনি ইয়াজুজ মাজুজের হাতে অত্যাচারিত এক জাতির দেখা পান। তিনি তাদের জন্য গলিত তামার তৈরি একটি প্রাচীর বানিয়ে দেন। সূরা কাহাফ ৮৩-৮৬ নম্বর আয়াতে নিম্নরূপ বর্ণিত আছেঃ
 
"তারা আপনাকে যুলকারনাইনযুলকারণাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব। আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম। অতঃপর তিনি এক কার্যোপকরণ অবলম্বন করলেন।অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইনযুলকারণাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।"<ref>http://www.usc.edu/schools/college/crcc/engagement/resources/texts/muslim/quran/018.qmt.html</ref>
</blockquote>
 
জুলকারনইনজুলকারণইন পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে বেড়াতেন নির্যাতীত, বঞ্চিত, শাসকের হাতে শোসিত লোকদের মুক্তি দিতেন। কুরআনের বর্ননা অনুযায়ী অরুণাচলে, যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেখানে ইয়াজুজ, মাজুজের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন জুলকারণাইন। আর সে স্থানটি পাহাড়ের প্রাচীরের মাঝখানে। সূরা কাহাফের ৯৩ হতে ৯৮ নম্বর আয়াতে জুলকারনাইনেরজুলকারণাইনের এই প্রাচীর নির্মাণের উল্লেখ আছে। পরবর্তী আয়াতের বিভিন্ন বাংলা অনুবাদে গলিত তামার উল্লেখ আছে; ইংরেজি অনুবাদে তামার স্থলে সীসার উল্লেখ আছে। জুলকারনাইনজুলকারণাইন তাদের প্রতিরোধ প্রাচীর তৈরী করার জন্য উপাদান ও শ্রম সরবরাহ করতে বললেন। তারা নিজেরাই জুলকারনাইনেরজুলকারণাইনের আদেশ মত দুই পর্বতের মাঝে শক্ত লোহার প্রাচীর বা দ্বার তৈরী করে।<ref>http://quranandtafsir.com/index.php?option=com_content&view=article&id=18%3Akahf&catid=1%3Aal-quran&Itemid=4&limitstart=9</ref> এবং তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল "রূহু" সম্পর্কে। তারও জওবাব দেওয়া হয়েছে।<ref>কুরতুবী, মাযহারী।</ref> কিন্তু রূহু সম্পর্কিত প্রশ্নের জওবাব সংহ্মেপে দেয়াই সমীচীন ছিল। তাই [[বনী-ইসরাঈল (সূরা)|সূরা বনী-ইসরাঈলের]] শেষে আলাদাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এ কারণেই সূরা কাহফকে সূরা বনী-ইসরাঈলের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।<ref>সুয়ুতী।</ref>
 
==তথ্যসূত্র==