মহাশোল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''মহাশোল''' এক জাতীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ।মহাশোলের দুটি প্রজাতি। একটির বৈজ্ঞানিক নাম Tortor, অন্যটি Torputitora. আমাদের দেশে দুই প্রজাতির মহাশোলই পাওয়া যেত।মাছ। পাহাড়ি খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে মহাশোল মাছের আবাস। নদীর পাথর-নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই মহাশোলের প্রধান খাদ্য। মহাশোল সর্বোচ্চ ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাদের জীবনধারণের পক্ষে সহায়ক।মহাশোল দেখতে অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। তবে এর আঁশগুলো আরও বড়। পরিণত মাছের আঁশ শক্ত, উজ্জ্বল সোনালি রঙের ও দীপ্তিমান। পাখনা ও লেজ রক্তিম। নাকের সামনে ছোট্ট দুটি গোঁফের মতো আছে। সব মিলিয়ে দেখতে খুব সুন্দর। আমাদের মিঠাপানির মাছের মধ্যে মহাশোল স্বাদেও সেরা।পুকুরেসেরা। মহাশোলের চাষদুটি বাণিজ্যিকভাবেপ্রজাতি। সফলএকটির হয়নি।বৈজ্ঞানিক পুকুরেনাম মাছটিরTortor, বৃদ্ধিঅন্যটি খুবইTorputitora। ধীর।বাংলাদেশে দুই বছরেপ্রজাতির দেড়মহাশোলই থেকেপাওয়া দুইযেত। কেজিনেত্রকোনার পর্যন্তদুর্গাপুরে ওজনকংস হয়।নদ এও কারণেসোমেশ্বরী মৎস্যচাষিরানদী বাণিজ্যিকভাবেমহাশোলের আবাস। এই নদ-নদীর উৎসমুখ এখন প্রায় বন্ধ। শুকনো মৌসুমে নদী দুটি প্রায় শুকিয়ে যায়। বসবাস ও বংশবৃদ্ধির জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মহাশোল চাষেধীরে উৎসাহিতধীরে হননি।কমতে থাকে। একপর্যায়ে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। সোমেশ্বরী ও কংস ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে দু-একবার সাঙ্গু নদেও মহাশোল পাওয়া গেছে। তবে কেউহাওর, আগ্রহীবিল-ঝিল হলেবা ময়মনসিংহেরঅন্য মৎস্যকোনো গবেষণানদ-নদীতে ইনস্টিটিউটমহাশোল থেকেপাওয়ার পোনারেকর্ড সংগ্রহনেই করতেমৎস্য পারেন।অধিদপ্তরে।