সম্মতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিঙ্কের পরামর্শ: ২টি লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা নবাগতদের কাজ পরামর্শ: লিঙ্ক যুক্ত করা
slefe life
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
মুফতী খন্দকার জুনায়েদ হুসাইন আহাদ
সাধারণ অর্থে '''সম্মতি '''শব্দটি কোন একজনের প্রস্তাব বা মতের সাথে একমত পোষণ করাকে বোঝানো হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.oed.com/view/Entry/39517?rskey=7YN1Zi&result=1#eid|শিরোনাম=Home : Oxford English Dictionary|ওয়েবসাইট=www.oed.com|সংগ্রহের-তারিখ=2016-03-24}}</ref> তবে বিভিন্ন বিষয় ও প্রেক্ষাপভেদে সম্মতি শব্দের অর্থ ভিন্ন অর্থ হতে পারে। আইন, চিকিৎসা এবং যৌন সম্পর্ক- ইত্যাদি বিষয়ভেদে সম্মতি শব্দের ব্যবহার ভিন্ন। সম্মতির বিভন্ন প্রকারভেদের মাঝে রয়েছে- পরোক্ষ সম্মতি, প্রত্যক্ষ সম্মতি, জ্ঞাত সম্মতি এবং সাধারণ সম্মতি। আইনত, মানসিক পরিপক্কতা ও সুস্থতা সম্মতি প্রদানের অন্যতম শর্ত। দেশ ও রাষ্ট্রভেদে সম্মতি প্রদানের আইনগত বয়স ভিন্ন হয়ে থাকে। 
 
01752477449, 01551611717, 01646334746
== প্রকারভেদ ==
* পরোক্ষ সম্মতি ব্যক্তির আচরণ কিংবা কার্যক্রম দিয়ে ফুটে উঠে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজনের নিশ্চুপ থাকা কিংবা কোন প্রতিবাদ না করা দিয়ে প্রায়ঃশই মৌন সম্মতি বা পরোক্ষ সম্মতিকে ইঙ্গিত করে। উদাহরণ হিসেবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুন মেনে চলা সেই নিয়মকানুনের প্রতি শিক্ষার্থীদের পরোক্ষ বা মৌন সম্মতি।
* প্রত্যক্ষ সম্মতি পরিষ্কার ভাবে মুখ ফুটে বলা হয় কিংবা দলিলে লিখে প্রকাশ করা হয়। এতে ভুল বোঝার কোন অবকাশ নেই। কোন ক্ষেত্রে মৌনভাবে শারিরীক অংগভঙ্গির মাধ্যমেও অলিখিতভাবে প্রত্যক্ষ সম্মতি প্রয়োগ সম্ভ। যেমনঃ মাথা নেড়ে সম্মতি জ্ঞাপন। অলিখিত প্রত্যক্ষ সম্মতি কোন ভিডিও বা অডিও রেকর্ডিং প্রমাণ ছাড়া গৃহীত হলে ব্যক্তি পরবর্তীতে তা অস্বীকার করতে পারেন।  
* জ্ঞাত সম্মতি চিকিৎসাক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত। একজন রোগী সবকিছু জেনে বুঝে এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ফলাফল মাথায় রেখেই চিকিৎসার জন্য সম্মতি প্রদান করেন। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই সম্মতির ব্যবহার হয়। 
* সাধারণ সম্মতি সাধারণত অন্যান্য সকল দল একটি নির্দিষ্ট নতুন দলকে দিয়ে থাকে। 
* একজন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বা অপারগতায় আরেকজন তার হয়ে সম্মতি প্রদান করাকেবিকল্প সম্মতি বলে।<ref name="sub">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Black's Law Dictionary|শেষাংশ=Garner|প্রথমাংশ=Bryan|তারিখ=2011|প্রকাশক=West Publishing Co.|পাতা=726}}</ref>
 
জন্ম: ৩০ জুন ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ।
== বাংলাদেশে এইজ অব কনসেন্ট ==
এইজ অব কনসেন্ট মূলত যৌন মিলনে সম্মতি প্রদানের ন্যূনতম বয়সকে বোঝায়। আইনগতভাবে যৌন মিলনে সম্মতির ন্যূনতম বয়স দেশ, কাল ও সমাজ ভেদে ভিন্ন।<ref name="waites">{{বই উদ্ধৃতি| শেষাংশ=Waites| প্রথমাংশ=Matthew| শিরোনাম=The Age of Consent: Young People, Sexuality and Citizenship| প্রকাশক=Palgrave Macmillan| বছর=2005| আইএসবিএন=1-4039-2173-3| oclc=238887395}}</ref> শিশু ধর্ষণ ও শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে একবিংশ শতাব্দীতে প্রায় সকল আধুনিক দেশেই এইজ অব কনসেন্ট নির্ধারিত আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://eur-lex.europa.eu/LexUriServ/LexUriServ.do?uri=OJ:L:2011:335:0001:0014:EN:PDF|শিরোনাম=DIRECTIVE 2011/92/EU OF THE EUROPEAN PARLIAMENT AND OF THE COUNCIL of 13 December 2011 on combating the sexual abuse and sexual exploitation of children and child pornography, and replacing Council Framework Decision 2004/68/JHA|প্রকাশক=Official Journal of the European Union|তারিখ=13 December 2011|সংগ্রহের-তারিখ=25 August 2015}}</ref>
যৌন মিলনে সম্মতি যেকোনো যৌন সম্পর্কে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেকোনো ধরনের যৌন কার্যক্রম সম্মতি ব্যাতিরকে যৌন অপরাধ ক্ষেত্রেবিশেষে ধর্ষণ বলে গণ্য হয়।<ref name=Beres>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Beres. A|প্রথমাংশ=Melanie|শিরোনাম='Spontaneous' Sexual Consent: An Analysis of Sexual Consent Literature|সাময়িকী=Feminism & Psychology|তারিখ=18 January 2007|খণ্ড=17|সংখ্যা নং=93|পাতা=93|ডিওআই=10.1177/0959353507072914}}<!--|accessdate=28 October 2013--></ref> ১৯৮০ সালের শেষের দিকে লুইস পিনেউ যৌন সম্মতির ক্ষেত্রে যোগাযোগের প্রাধান্যতায় জোর দেন। তিনি সর্বোপ্রথম “হ্যাঁ” অর্থ হ্যাঁ এবং না অর্থ “না” মডেলের প্রবর্তন ঘটান।.<ref name=PINEAU>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Pineau|প্রথমাংশ=Lois|শিরোনাম=‘Date Rape: A Feminist Analysis’|সাময়িকী=Law and Philosophy|বছর=1989|খণ্ড=8|সংখ্যা নং=217}}</ref>
 
nid: 4606503631
বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারা মোতাবেক যদি কোনো পুরুষ '''চৌদ্দ''' বছরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করে, তবে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে। তবে তেরো বছরের বেশি বয়সের বিবাহিত স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না। <ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-11/section-3231.html|শিরোনাম=The Penal Code, 1860 {{!}} 375. Rape|ওয়েবসাইট=bdlaws.minlaw.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-24}}</ref>
 
শিক্ষাজীবন:
অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ | ৯ (১) মোতাবেক যদি কোনো পুরুষ '''ষোলো''' বছরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তা হলে সে উক্ত নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হয়৷ <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-835/section-32523.html|শিরোনাম=নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ {{!}} ৯৷ ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি|ওয়েবসাইট=bdlaws.minlaw.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-24}}</ref>
 
১৯৮৭-৮৮ খ্রিস্টাব্দে কদম রসুলপুর উজান পাড়া ফুরকানিয়া মাদরাসায় (বর্তমান নাম হুসাইনিয়া মাদরাসা) মক্তবে পড়াশোনা করেছেন। পাশাপাশি রসুলপুর ইউসুফিয়া দাখিল মাদ্রাসায় (৩য় শ্রেণি/ইফতেদায়ী)  শ্রেণিতে পড়াশোনা করেছেন। তারপর পবিত্র কোরআনে হাফেজ হওয়ার উদ্দেশ্যে বরভরা তালিমূল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায়, কদম রসুলপুর মাহমুদুল উলুম মাদ্রাসায়, সালটিয়া ফায়েজে রাব্বানী দারুল উলূম মাদরাসায়,  গফরগাঁও এ হিফয বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে হিফয সমাপন ও শুনানী সম্পন্ন করেন নওমহল হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ময়মনসিংহে ২৬ মে ১৯৯৬ সাল-২৮ অক্টোবর, ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে।
বাংলাদেশের [[বাল্যবিবাহ]] নিরোধ আইন, ২০১৭ মোতাবেক বিয়ের ন্যূনতম বয়স পুরুষের জন্য ২১ বছর এবং নারীদের জন্য ১৮ বছর। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-1207/section-45731.html|শিরোনাম=বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ {{!}} ২। সংজ্ঞা|ওয়েবসাইট=bdlaws.minlaw.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-24}}</ref> তবে বিশেষ প্রেক্ষাপটে আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে অপ্রাপ্ত বয়স্কের বিয়ের বৈধতা রয়েছে। <ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-1207/section-45748.html|শিরোনাম=বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ {{!}} ১৯। বিশেষ বিধান|ওয়েবসাইট=bdlaws.minlaw.gov.bd|সংগ্রহের-তারিখ=2020-08-24}}</ref>
 
১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ হতে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক (এমপি) এর লালবাগ, ঢাকার মাদরাসায় কৈশোর জীবন থেকে ৫ম শ্রেণী হতে স্নাতক ডিগ্রী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
যেহেতু [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]]<nowiki/>র আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মতো বিশেষ আইন দণ্ডবিধির যেকোনো ধারার চেয়ে বেশি প্রধান্য পায়, তাই বলা যায় বাংলাদেশে এইজ অব কনসেন্ট ন্যূনতম '''ষোলো (১৬)''' বছর বয়স। বিশেষক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ <ref name=":1" /> এবং দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর <ref name=":0" /> ধারা মোতাবেক ১৩ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে বিবাহ করা ও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করায় কোন আইনি বাধা নেই।
 
তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় বৃহত্তর মিরপুরের শীর্ষ ক্বওমী বিদ্যাপিঠ জামিয়া আরাবিয়া খাদিমুল ইসলাম, মিরপুর-১৩, ঢাকায় চলে ভর্তি হন। সেখানে ৪ বছর পড়াশুনা শেষে ২০০৮ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী সমমান দাওয়ায়ে হাদিস টাইটেল অর্জন করেন। একই মাদরাসা থেকে ২০০৯ সালে ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্রের উপর ১ বছর গবেষণা সমাপনান্তে ইফতা সনদ লাব করেন। উল্লেখ্য, এ আরবি বিশ্ববিদ্যালয়েই মুফতী ইমরান মাযহারী কর্তৃক সিলেকশনে তিনি শিক্ষকতার চাকুরি লাভ করেন।
{{নীতিশাস্ত্র}}
 
কর্মজীবন:
 
তারাবীহের ইমামতি
 
হাতীখলা বাজার জামে মসজিদে, গফরগাঁও।
 
১৯৯৯ ও ২০০০ সাল।  
 
ফকির বাড়ী জামে মসজিদ
 
২০০১ সাল।
 
গফরগাঁও কোর্ট ভবন মসজিদ ২০০২ - ২০০৯ সাল
 
ফকির বাড়ী জামে মসজিদ
 
২০১০ সাল
 
ওমরা ও সফর:
 
২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে পবিত্র মক্কা ও মদিনায় ওমরা হজ্বের উদ্দ্যেশে সৌদি আরবে যান। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ভারত সফর ও একই সালে ওমানে সফরে যান।
 
দাওয়াতে তাবলীগের কাজ:
 
২০১০ সালে ৫ মাস ফকির বাড়ী জামে মসজিদ কেন্দ্রিক তাবলিগী কাজের সাথে যোগদান এবং মহল্লার মুসল্লীদেরকে নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে তাবলীগের কাজ আঞ্জামের পাশাপাশি বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম রমজান আলী সাহেবের বাড়ীতে সাপ্তাহিক মহিলা তালীমের ব্যবস্থা করেছিলেন।
 
পেশা: শিক্ষক
 
পদবি: প্রধান মুহাদ্দিস
 
কর্মস্থল: জামিয়া আরাবিয়া খাদিমুল ইসলাম, মিরপুর-১৩, ঢাকা।
 
যোগদান: ১৮ অক্টোবর ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান।
 
== তথ্যসূত্র ==
www.jakhibd.com
{{সূত্র তালিকা|30em}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:নৈতিক মূল্যবোধ]]