বেগম রোকেয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎প্রথম জীবন: লিংক সংযোজন
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Yahya (আলাপ)-এর করা 5983654 নং সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: টুইংকল পূর্বাবস্থায় ফেরত
১৯ নং লাইন:
[[File:বেগম রোকেয়ার পৈতৃক নিবাস.jpg|থাম্ব|বেগম রোকেয়ার পৈতৃক নিবাসের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের ধ্বংসাবশেষ]]
[[চিত্র:বেগম রোকেয়ার পৈতৃক বাড়ির একাংশ.jpg|থাম্ব|বেগম রোকেয়ার পৈতৃক নিবাসের উত্তর দিকের ধ্বংসাবশেষ]]
রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮০ সালে [[মিঠাপুকুর উপজেলা|রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অর্ন্তগত]] [[পায়রাবন্দ]] গ্রামে। তার পিতা [[জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের]] তিনিএকজন শিক্ষিত জমিদার ছিলেন। তার মাতা ছিলেন [[রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী]]। রোকেয়ার দুই বোন করিমুননেসা ও হুমায়রা, আর তিন ভাই যাদের একজন শৈশবে মারা যায়।
{{Quote box|quoted=true|bgcolor=#bdf08c|align=left|width=23%|salign=right|quote=''</refbig>}}নকোনো ভগ্নী মস্তক উত্তোলন করিয়াছেন, অমনি ধর্মের দোহাই বা শাস্ত্রের বচন-রূপ অস্ত্রাঘাতে তাঁহার মস্তক চূর্ণ হইয়াছে। ... আমাদিগকে অন্ধকারে রাখিবার জন্যে পুরুষগণ এই ধর্মগ্রন্থগুলি ইশ্বরের আদেশ বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। ... এই ধর্মগ্রন্থগুলি পুরুষরচিত বিধিব্যবস্থা ভিন্ন কিছুই নহে। মুনিদের বিধানে যে কথা শুনিতে পান, কোনো স্ত্রী-মুনির বিধানে হয়ত তাঁহার বিপরীত নিয়ম দেখিতে পাইতেন। ... ধর্ম আমাদের দাসত্বের বন্ধন দৃঢ় হইতে দৃঢ়তর করিয়াছে; ধর্মের দোহাই দিয়া পুরুষ এখন রমণীর উপর প্রভুত্ব করিতেছেন।</big>''|source= — বেগম রোকেয়া, ১৯০৪<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নারীপ্রগতির একশো বছর: রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া|শেষাংশ=মুরশিদ|প্রথমাংশ=গোলাম|লেখক-সংযোগ১=গোলাম মুরশিদ|বছর=২০১৩ |প্রকৃত-বছর=প্রথম প্রকাশ ১৯৯৩|অধ্যায়=প্রথম নারীবাদী: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন|প্রকাশক=অবসর|অবস্থান=ঢাকা|আইএসবিএন=978-984-8796-47-4|ভাষা=বাংলা|সংস্করণ=অবসর ২০১৩|পাতা= ১৬৯}}</ref><ref>রোকেয়া, বেগম। "আমাদের অবনতি"। ''[[নবনূর]]'', ২য় বর্ষ, ৫ম সংখ্যা। আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ১৯০৪। কলকাতা। পৃষ্ঠা ২১৬-২১৮।</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলার নারী আন্দোলন|শেষাংশ=বেগম|প্রথমাংশ=মালেকা|লেখক-সংযোগ১=মালেকা বেগম|বছর=২০১০ |প্রকৃত-বছর=প্রথম প্রকাশ ১৯৮৯|অধ্যায়=নারী আন্দোলনের সূচনা|প্রকাশক=দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড|অবস্থান=ঢাকা|আইএসবিএন=978-984-8815-70-0|ভাষা=বাংলা|পাতা= ৭১}}</ref>}}
{{Quote box|quoted=true|bgcolor=#bdf08c|align=left|width=23%|salign=right|quote=''<big>কোনো ভগ্নী মস্তক উত্তোলন করিয়াছেন, অমনি ধর্মের দোহাই বা শাস্ত্রের বচন-রূপ অস্ত্রাঘাতে তাঁহার মস্তক চূর্ণ হইয়াছে। ... আমাদিগকে অন্ধকারে রাখিবার জন্যে পুরুষগণ এই ধর্মগ্রন্থগুলি ইশ্বরের আদেশ বলিয়া প্রচার
{{</ref>}}ন, কোনো স্ত্রী-মুনির বিধানে হয়ত তাঁহার বিপরীত নিয়ম দেখিতে পাইতেন। ... ধর্ম আমাদের দাসত্বের বন্ধন দৃঢ় হইতে দৃঢ়তর করিয়াছে; ধর্মের দোহাই দিয়া পুরুষ এখন রমণীর উপর প্রভুত্ব করিতেছেন।</big>''|source= — বেগম রোকেয়া, ১৯০৪<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নারীপ্রগতির একশো বছর: রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া|শেষাংশ=মুরশিদ|প্রথমাংশ=গোলাম|লেখক-সংযোগ১=গোলাম মুরশিদ|বছর=২০১৩ |প্রকৃত-বছর=প্রথম প্রকাশ ১৯৯৩|অধ্যায়=প্রথম নারীবাদী: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন|প্রকাশক=অবসর|অবস্থান=ঢাকা|আইএসবিএন=978-984-8796-47-4|ভাষা=বাংলা|সংস্করণ=অবসর ২০১৩|পাতা= ১৬৯}}</ref><ref>রোকেয়া, বেগম। "আমাদের অবনতি"। ''[[নবনূর]]'', ২য় বর্ষ, ৫ম সংখ্যা। আগস্ট-সেপ্টেম্বর, ১৯০৪। কলকাতা। পৃষ্ঠা ২১৬-২১৮।</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বাংলার নারী আন্দোলন|শেষাংশ=বেগম|প্রথমাংশ=মালেকা|লেখক-সংযোগ১=মালেকা বেগম|বছর=২০১০ |প্রকৃত-বছর=প্রথম প্রকাশ ১৯৮৯|অধ্যায়=নারী আন্দোলনের সূচনা|প্রকাশক=দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড|অবস্থান=ঢাকা|আইএসবিএন=978-984-8815-70-0|ভাষা=বাংলা|পাতা= ৭১}}</ref>}}
বেগম রোকেয়ার পিতা আবু আলী হায়দার সাবের আরবি, উর্দু, ফারসি, বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হলেও মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে ছিলেন রক্ষণশীল। রোকেয়ার বড় দু’ভাই&nbsp; [[মোহাম্মদ ইব্রাহীম আবুল আসাদ সাবের]] ও [[খলিলুর রহমান আবু যায়গাম সাবের]] ছিলেন বিদ্যানুরাগী। কলকাতার [[সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ, কলকাতা|সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে]] অধ্যয়ন করে তারা আধুনিকমনস্ক হয়ে ওঠেন।<ref name=":0" /> রোকেয়ার বড় বোন [[করিমুন্নেসা খানম চৌধুরানী|করিমুন্নেসা]]<nowiki/>ও ছিলেন বিদ্যোৎসাহী ও সাহিত্যানুরাগী। বেগম রোকেয়ার শিক্ষালাভ, সাহিত্যচর্চা এবং সামগ্রিক মূল্যবোধ গঠনে বড় দু’ভাই ও বোন করিমুন্নেসার যথেষ্ট অবদান ছিল।