রামমোহন রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৬৩ নং লাইন:
# ''তলবকার উপনিষৎ'' (জুন, ১৮১৬): ''বেদান্ত গ্রন্থ'' ও ''বেদান্ত সার'' রচনার পর রামমোহন রায় [[উপনিষদ্‌]] গ্রন্থাবলি বাংলায় প্রচারের কাজে হাত দেন। ''তলবকার উপনিষৎ'' রামমোহন রায় অনূদিত পাঁচটি উপনিষদের মধ্যে প্রথম। এটি [[কেনোপনিষদ্‌|কেনোপনিষদের]] অনুবাদ। গ্রন্থের ভূমিকায় রামমোহন জানিয়েছেন যে, তিনি [[আদি শঙ্কর]] রচিত ভাষ্য অবলম্বনে এই গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন।<ref>"গ্রন্থপরিচয়", ''রামমোহন রচনাবলী'', রাজা রামমোহন রায়, প্রধান সম্পাদক: ড. অজিতকুমার ঘোষ, সম্পাদক: মণি বাগচি, ড. শিবদাস চক্রবর্তী, আবদুল আজীজ আল্‌-আমান, হরফ প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ৪১৬</ref>
# ''ঈশোপনিষৎ'' (জুলাই, ১৮১৬): রামমোহন রায় কর্তৃক অনূদিত দ্বিতীয় উপনিষদ্‌। এই উপনিষদ্ [[যজুর্বেদ|যজুর্বেদের]] অন্তর্গত এবং এর অপর নাম বাজসনেয় সংহিতোপনিষদ্‌।<ref>"গ্রন্থপরিচয়", ''রামমোহন রচনাবলী'', রাজা রামমোহন রায়, প্রধান সম্পাদক: ড. অজিতকুমার ঘোষ, সম্পাদক: মণি বাগচি, ড. শিবদাস চক্রবর্তী, আবদুল আজীজ আল্‌-আমান, হরফ প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ৪১৭</ref>
 
===সংস্কৃত গ্রন্থাবলি===
# ''উৎসবানন্দ বিদ্যাবাগীশের সহিত বিচার'' (১৮১৬-১৭): ১৮১৬ সালে রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত আত্মীয়সভার নিকট বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মহামহোপাধ্যায় উৎসবানন্দ বিদ্যাবাগীশ নিজের প্রশ্নপত্র পাঠান এবং রামমোহন রায় আত্মীয়সভার পক্ষ থেকে তার উত্তর দেন। এই প্রশ্নোত্তর-সম্বলিত চারটি পুস্তিকা শ্রীরামপুর কলেজ গ্রন্থাগারে রক্ষিত ছিল। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ প্রকাশিত ''রামমোহন-গ্রন্থাবলী''-র সম্পাদক [[ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়]] ও [[সজনীকান্ত দাস]] সংস্কৃত ভাষায় রচিত ও বাংলা হরফে মুদ্রিত সেই পুস্তিকাগুলি উদ্ধার করে গ্রন্থাবলীর দ্বিতীয় খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করেন। ইতিপূর্বে এটি রামমোহনের অপর কোনও রচনা-সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। উল্লেখ্য, উৎসবানন্দ প্রথমে রামমোহনের বিচারপদ্ধতির ঘোরতর বিরোধী হলেও এই বিচারের ফলে রামমোহনের মত গ্রহণ করেছিলেন এবং ১৮২৮ সালের অগস্ট মাসে রামমোহন ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করলে তিনি তার অধিবেশনে উপনিষদ্‌-পাঠের দায়িত্বও গ্রহণ করেন।<ref>"গ্রন্থপরিচয়", ''রামমোহন রচনাবলী'', রাজা রামমোহন রায়, প্রধান সম্পাদক: ড. অজিতকুমার ঘোষ, সম্পাদক: মণি বাগচি, ড. শিবদাস চক্রবর্তী, আবদুল আজীজ আল্‌-আমান, হরফ প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ৪১৭</ref>
 
== আরও দেখুন ==