হিমোগ্লোবিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
BanglaBot (আলোচনা | অবদান)
পরিষ্কারকরণ
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১৮৬ নং লাইন:
 
[[লোহিত রক্তকণিকা|লোহিত রক্ত কণিকা]] যখন বার্ধক্য বা কোনো ত্রুটির কারণে তাদের জীবনচক্রর শেষ দশায় পৌঁছায়, তখন [[প্লীহা]] বা লিভার বা [[রক্ত]] সঞ্চালনের মধ্যে হেমোলাইজ দশা থেকে ম্যাক্রোফেজের ফ্যাগোসাইটিক কার্যকলাপ দ্বারা তারা নিষ্কাশিত হয়। তারপরেই মুক্ত হিমোগ্লোবিন, রক্ত সঞ্চালন থেকে নিষ্কাশন হয় হিমোগ্লোবিন ট্রান্সপোর্টার CD163 এর মাধ্যমে, যা কেবলমাত্র মনোসাইট বা ম্যাক্রোফেজে প্রকাশ পায়। এই কোষগুলির মধ্যে হিমোগ্লোবিন অণু ভেঙে যায় এবং [[লোহা]] পুনর্ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি ক্ষয়ে যাওয়া [[হিম|হিমের]] প্রতিটি অণুর জন্য [[কার্বন মনোক্সাইড|কার্বন মনোক্সাইডের]] একটি অণু তৈরি করে। <ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Kikuchi|প্রথমাংশ=G.|শেষাংশ২=Yoshida|প্রথমাংশ২=T.|বছর=2005|শিরোনাম=Heme oxygenase and heme degradation|পাতাসমূহ=558–67|ডিওআই=10.1016/j.bbrc.2005.08.020|pmid=16115609}}</ref> মানবদেহে কার্বন মনোক্সাইডের একমাত্র প্রাকৃতিক উৎস হল হিমের অবক্ষয়, এবং স্বাভাবিক বাতাসে শ্বাস নেওয়া মানুষের রক্তে কার্বন মনোক্সাইডের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখার ভূমিকাও পালন করে। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Textbook of Biochemistry: With Clinical Correlations|শেষাংশ=Coomes|প্রথমাংশ=Marguerite W.|তারিখ=2011|প্রকাশক=John Wiley & Sons|পাতা=797|অধ্যায়=Amino Acid and Heme Metabolism|আইএসবিএন=978-0-470-28173-4|সংস্করণ=7th}}</ref> হিম অবক্ষয়ে উৎপন্ন অন্য আরেকটি অবশিষ্ট যৌগ হল [[বিলিরুবিন]]। যদি লোহিত রক্তকণিকা স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুতহারে ধ্বংস হয়ে যায় তখন রক্তে এই [[বিলিরুবিন]] এর মাত্রা নির্ণয় করা হয়। অনুচিতভাবে হিমোগ্লোবিন প্রোটিন বা হিমোগ্লোবিন যা রক্তের [[কোষ (জীববিজ্ঞান)|কোষ]] থেকে খুব দ্রুত নিঃসৃত হচ্ছে তা ছোট রক্তনালী গুলিতে জমাট সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে [[বৃক্ক|কিডনির]] সূক্ষ্ম রক্তনালীতে যা [[কিডনি|কিডনির]] ক্ষতি করতে পারে। লোহা [[হিম]] থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সঞ্চয় হয়, যা কোষে হিমোসিডারিন বা ফেরিটিন হিসাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং ট্রান্সফারিন হিসাবে বিটা গ্লোবিউলিন দ্বারা প্লাজমাতে পরিবাহিত হয়।যখন পোরফাইরিন রিংটি ভেঙে যায়, তখন টুকরোগুলি সাধারণত [[বিলিরুবিন]] নামে একটি হলুদ রঁজক পদার্থ নিঃসৃত করে, যা [[পিত্ত]] রস নামে অন্ত্রে নিঃসৃত হয়। অন্ত্রগুলি বিলিরুবিনকে ইউরোবিলিনোজেনে বিপাক করে। ইউরোবিলিনোজেন স্টেরকোবিলিন নামক রঞ্জক পদার্থে মিশে মল-মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্গত হয়। গ্লোবিউলিন [[অ্যামিনো অ্যাসিড|অ্যামিনো অ্যাসিডে]] বিপাকিত হয় এবং পরে এই সঞ্চালনে মুক্ত হয়।
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:শ্বসন শারীরতত্ত্ব]]