প্রতীক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিংক সমস্যা
অনুচ্ছেদ: প্রতীক বিদ্যা
১৪ নং লাইন:
প্রতীক বলতে শুধু ছবিজাতীয় চিহ্নই বোঝায় না। আবার ব্যবহারের সাথে সাথে বদলে যায় প্রতীকের নামও: ব্যবসায়ে হয়ে যায় [[ট্রেডমার্ক|''ট্রেডমার্ক'']]; সংগঠনে ''[[লগো]]'' (ক্ষেত্রবিশেষে ''[[মনোগ্রাম]]''); ভাষাতত্ত্বে ''[[লিপি]]'' ([[বর্ণ]], [[অক্ষর]]); [[সংগীত|সংগীতে]] ''নোট''; রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ''[[পতাকা]]'', ''[[জাতীয় সংগীত]]''; ধর্মে ''[[প্রতিমা]]''; [[চিত্রশিল্প|চিত্রশিল্পে]] ''আঁচড়''; [[শিল্পকর্ম|শিল্পকর্মে]] ''ধাঁচ''; রাস্তায় ''সাইনবোর্ড''; সাহিত্যে ''[[রূপক]]''; নিঃশব্দতায় ''ইঙ্গিত''; বাস বা টয়লেটের আঁকাআকিতে ''দেয়ালচিত্র'' (graffito); গণিতশাস্ত্রে ''[[অংক]]'', ''চিহ্ন'' -এরকম আরো কত কী।
প্রতীক কতো রকম যে হতে পারে, তার ইয়ত্তা নেই। মানুষ কথা বলার সময় মুখের পেশিতে যে পরিবর্তন হয়, বা যে পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে মানুষ তার মুখের ভাষাকে বোধগম্য করে তুলে ধরে, তা হলো সেই ভাষার প্রাথমিক প্রতীক। ভাষার অন্য প্রতীকটি হলো ভাষার ধ্বনি এবং অক্ষর বা বর্ণ।
 
==প্রতীক বিদ্য==
প্রতীক নিয়ে আলোচনার শাস্ত্রকে প্রতীক বিদ্যা বা প্রতীক শাস্ত্র ([[Symbology]]) বলে। প্রতীক বিদ্যার ধারণাটি সত্তুরের দশকের মাঝামাঝিতে প্রথম উপস্থাপন করেন [[ভিক্টর টার্নার]]। তিনি সমাজের আচরিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির প্রাসঙ্গিকতায় প্রতীকের রূপ দেখতে পান। আর টার্নারের বদৌলতে প্রতীক বিদ্যা নৃতত্ত্বে ‘তুলনামূলক প্রতীক বিদ্যা’ (comparative symbology) নামে আখ্যা পায়।সিম্বলজি বা প্রতীক বিদ্যা মূলত বিজ্ঞান বা জ্ঞানের কোনো পৃথক শাখা নয়; তাই পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রতীক বিদ্যার আলাদা অনুষদ নেই। এই প্রতীক বিদ্যা যখন জ্ঞানের যে শাখার প্রতীক নিয়ে আলোচনা করবে, সেই শাখার সাথে নিজের নাম জড়িয়ে নিবে; যেমন: প্রতীক বিদ্যা যখন [[পুরাতত্ত্ব|পুরাতত্ত্বের]] প্রতীক নিয়ে আলোচনা করবে, তখন তা ‘পুরাতাত্ত্বিক প্রতীক বিদ্যা’, ধর্মীয় প্রতীক নিয়ে আলোচনা করলে ‘ধর্মতাত্ত্বিক প্রতীক বিদ্যা’ ইত্যাদি।
 
==টীকা==