সমতা নারীবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Kwamikagami (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
১৩ নং লাইন:
আইন এবং ধর্মতত্ত্ব উভয় ক্ষেত্রেই নারীদের শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে নিম্নমানের হিসেবে চিত্রিত করা হয়। ১৭৯২ সালে [[মেরি ওলস্টোনক্রাফট]] “ভিন্ডিকেশন অব দ্যা রাইটস অব ওমেন” লিখলে নারীবাদী আন্দোলন ঘটানোর পেছনে থাকা প্রথমদিকের নথিগুলোর একটির আবির্ভাব ঘটে। যখন তার সাহিত্যকে বিদ্রোহী বলে মনে করা হচ্ছিল তখন ওমেন’স রিপাবলিকান ক্লাব সেই স্বাধীনতা, সমতা এবং সহমর্মিতা উভয় নারী ও পুরুষের জন্য প্রযোজ্য বলে দাবি করে। তখন সেই সাহিত্য ফ্রান্স জুড়ে নারীদের অনুভূতি প্রতিধ্বনিত করে। যখন এই আন্দোলন আধিপত্য পায় তখন হঠাৎ করে [[নেপোলিয়ন বোনাপার্ট]] তা থামিয়ে দেয় এবং আইনের মাধ্যমে [[নেপোলিয়ন বোনাপার্ট|নেপোলিয়ন]] স্বামীদের তাদের পরিবারের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে দেয়।<ref>Landes, Joan B. Women and the Public Sphere in the Age of the French Revolution. Ithaca: Cornell UP, 1988. Retrieved 1 October 2014</ref>
 
ফ্রান্সে সংঘটিত অধিকাংশ সমতা নারীবাদ সফল হয়নি কিন্তু এগুলো ১৮০০ শতকে উত্তর আমেরিকায় সংঘটিত অনেক আন্দোলনকে প্রভাবিত করে। অ্যাবিগেইল অ্যাডামস এবং মার্সি ওটিস ওয়ারেন ১৭৭৬ সালের সংবিধানে নারীর স্বাধীনতা কোনো সহায়তা ছাড়াই যুক্ত করার চেষ্টা করেন। ১৯৪৮ সালে [[নিউ ইয়র্ক|নিউ ইয়র্কে]] অবস্থিত সেনেকা জলপ্রপাতে সংঘটিত নারী চুক্তির মাধ্যমে এলিজাবেথ কেডি স্টান্টন এবং লুক্রেসিয়া কোফিন সহ হাজার হাজার নারী সমতা নারীবাদের গতি পরিবর্তন করে দেয়। এতে তারা স্বাধীনতার পাশাপাশি তারা সকল ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বৈধ সমতা দাবি করেন (শিক্ষা, ক্ষতিপূরণ, অর্থনৈতিক সুবিধা এবং ভোটাধিকার ইত্যাদি)। এলিজাবেথ কেডি স্টান্টন এবং সুজান বি. এনথোনি এর প্রভাবে এই আন্দোলন ইউরোপে বিস্তার লাভ করে। ১৯৬৯ সালে জন স্টুয়ার্ট মিল “দ্য সাবজেকশন অব ওমেন” প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতার অর্থ মানবিক ও অধ্যাত্মিক অগ্রসরতা এবং প্রত্যেকের জন্য আরোআরও সুখ নিয়ে আসবে বলে যুক্তি দেন।<ref name=Mills/>{{rp|87–89}}
 
ইউরোপে এই আন্দোলন অগ্রসর হওয়ার পর তা ১৯২০ সালে নারীর ভোটাধিকার আন্দোলন শুরুর পূর্ব পর্যন্ত ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। নারীরা পুরুষের সমান কিনা এ বিষয়টি নিয়ে অনেক নারী ভিন্ন মতের অধিকারী ছিলেন। বিশ্বজুড়ে নারীদের রাজনৈতিক, অথনৈতিক এবং শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষে জাতিসংঘ নারী মর্যাদা কমিশন স্থাপিত হওয়া পর্যন্ত এটি চলতে থাকে। ফরাসি অস্তিত্ববাদী সিমোন দে বিউভোয়র তার কীর্তি “[[দ্বিতীয় লিঙ্গ]]” প্রকাশ করেন, যাতে তিনি নারী এবং লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত অনেক দাবির সত্যতা প্রকাশ করে দেন। ১৯৬৩ সালে সমতা নারীবাদ সংক্রান্ত আরেকটি সাহিত্য সামনে আসে। যা ‍ছিল বেটি ফ্রাইডেন এর “দ্যা ফেমিনাইন মিস্টিক” তিনি “যে সমস্যার কোনো নাম নেই” তা নিয়ে এতে আলোচনা করেছেন, যা দ্বারা তিনি ১৯৫০ এর দশকের নারীদের মধ্যে বৃহৎভাবে বিস্তৃত থাকা হতাশাকে নির্দেশ করেছেন।<ref name=FB>Friedan, Betty. "The Feminine Mystique." The Essential Feminist Reader. Ed. Estelle B. Freedman. New York: Random House Group, 2007. Retrieved 2 October 2014.</ref> তথ্যের মাধ্যমে সমাজের তৈরি অসমতা দেখিয়েছেন যা এ দুঃখজনক পরিস্থিতির কারণ ছিল। সাথে তিনি তার নিজের সন্তানের যত্ন নিতে তার মনোস্তাত্ত্বিকের কর্মজীবন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। ১৯৬৬ সালে জাতীয় সংস্থার উন্নয়নের সাথে এই সাহিত্যগুলোকে নির্দেশনা হিসেবে ব্যবহার করে আবার যুক্তরাষ্ট্রে নারীবাদ জেগে ওঠে। এই সংঘ নারী এবং পুরুষের মধ্যে আবার সকল বৈষম্য দূর করতে নারীদের উপর থেকে সকল আইনী এবং সামাজিক বাধা সরিয়ে দিতে সংগ্রাম করে। ১৯৭২ সালে বেলা আফজাং, বেটি ফ্রেইডেন এবং গ্লোরিয়া স্টেইনেম এই সমতা অধিকার আন্দোলনকে কংগ্রেস পর্যন্ত নিয়ে যায়।<ref>Castro, Ginette. American Feminism: A Contemporary History. Trans. Elizabeth Loverde-Bagwell. New York: New York UP, 1990. Retrieved 1 October 2014.</ref>
২৪ নং লাইন:
==গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ==
===মেরি ওলস্টোনক্রাফ্ট===
১৭৯২ সালে, মেরি ওলস্টোনক্রাফ্ট প্রথম দিকের নারীবাদী দর্শনের প্রথম কীর্তিগুলোর একটি তৈরি করেন এবং যদিও তিনি স্পষ্টভাবে নারী ও পুরুষ সমান বলেননি, কিন্তু জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমতার ডাক দিয়েছেন, যা পরবর্তী সমতা নারীবাদী কীর্তিগুলোর জন্য পথ প্রসস্থ করে দেয়। তিনি তার “এ ভিন্ডিকেশন অব দ্যা রাইটস অব ওমেন” -এ রাজেনৈতিক এবং নৈতিক বিষয়গুলোর উপর জোর দিয়ে, নারীদের তাদের সমাজের অবস্থার সাথে ‍তুলনাযোগ্য শিক্ষা থাকা উচিত বলে যুক্তি প্রদান করেন। যেহেতু নারীরা প্রধান যত্নশীল ব্যক্তি, তাই তারা যদি এ সুযোগ পায়, তাহলে তারা তাদের সন্তানদের আরোআরও ভালোভাবে শিক্ষা দিতে পারবে এবং স্বামীদের কাছে তারা স্ত্রী এর পরিবর্তে সঙ্গী হিসেবে গণ্য হতে পারবে বলে তিনি তার যুক্তিটি ব্যক্ত করেছেন। তিনি নারীদের বিয়ের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হওয়া ‘সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করার পরিবর্তে তারা মানুষ এবং তাদের পুরুষের সমান অধিকার পাওয়া উচিত এই বিষয়টি মান্য করেন।<ref name=WM/>{{rp|74–88}}
 
===জন স্টুয়ার্ট মিল===