ইয়েরেভান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিঙ্কের পরামর্শ: ১০টি লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।
১০৫ নং লাইন:
 
=== মিডিয়ান এবং এশেমিনিড শাসনামল ===
খ্রিষ্টপূর্ব ৫৯০ সালে মিডাসদের দ্বারা উরারতু সম্রাজ্যের পতনের পর ইরেবুনিসহ সমগ্র আর্মেনিয়ান উচ্চভূমি [[ইরান]]<nowiki/>ের অন্তর্ভুক্ত হয়। এটাকে বলা হয় মিডিয়ান রুল। এর চল্লিশ বছর পর খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫০ শতকে সমগ্র ইরান ও ইরেবুনি অঞ্চল রাজা সাইরাসের কব্জায় আসে, টাকে বলা হয় এশেমিনিড রুল। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩১ শতকে আলেকজান্ডার পার্সিয়াসহ পুরো আর্মেনিয়া দখল করে ফেললে ইরেবুনি তার কদর হারাতে শুরু করে। এসময় আরমাভির, জারেহাভান, বাগারান, ইরেভানদাসাতসহ অন্যান্য শহর গড়ে উঠে। অঞ্চলটি এরপর বিভিন্ন সময় ইরানি, তুর্কিশসহ অন্যান্য আরব সাম্রাজ্যের অধিনে ঘুরেফিরে শাসিত হতে থাকে। তবে ইরানি শাসকদের আধিপত্য ছিলো সবচেয়ে বেশি যেটা উনিশ শতকের আগ পরজন্তপর্যন্ত বজায় ছিলো।
 
=== রাশিয়ান রুল এবং আর্মেনীয় স্বাধীনতা ===
২১২ নং লাইন:
 
== উপজাতি ==
পঞ্চদশ শতক পরজন্তপর্যন্ত ইয়েরেভানের প্রথম অধিবাসী ছিলো আর্মেনীয়রা। ১৫৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইরিভান দূরগের অধিবাসীরা ছিলো মুসলিল সৈনিক, যারা সংখ্যায় প্রায় দুই থেকে তিন হাজার ছিলো। অন্যদিকে শহরটির প্রধান অধিবাসী ছিলো আর্মেনিয়ানরা। ফেঞ্চ পরিব্রাজক জিয়ান-ব্যাপ্টিস্টে টাভেরনিয়ার ১৬৩১ থেকে ১৬৬৮ সালের মধ্যে ছয়বার ইয়েরেভান ভ্রমণ করেন এবং উল্লেখ করেন যে, ইয়েরেভানের প্রধান অধিবাসী হচ্ছে আর্মেনিয়ানরা। ১৭২০ সালের তূরকী-পারশিয়ান যুদ্ধের সময়েও শহরটিতে আর্মেনিয়ানরা সংখ্যাগুরু ছিলো। কিন্তু অঞ্চলটি নিয়ে তুরস্ক, ইরান আর রাশিয়ার বারবার জুদ্ধের ফলে এর জণগোষ্ঠিগত পরিবরতন হয়েছে অনেকবার। যাহোক, উনিশশতকের গোড়ার দিকে ইয়েরেভানে মুসলমানদের প্রাধান্য ছিলো।
 
সোভিয়েতদের আর্মেনিয়া দখলের আগ পর্যন্ত শহরটি আর্মেনিয়ান আর ককেশিয়ান তাতারদের সমন্বয়ে একটি বহুসাংস্কৃতিক শহর ছিলো। আর্মেনিয়ান গণহত্যার পর পশ্চিম আর্মেনিয়া (যেটা এখন তুরস্ক নামে পরিচিত) থেকে পূর্ব আর্মেনিয়ায় পালিয়ে আসে। ১৯১৯ সালে প্রায় ৭৫,০০০ আর্মেনিয় তুরস্ক (ভাসপুরাকান অঞ্চল) থেকে ইয়েরেভানে চলে আসে। এই উদ্বাস্তুদের একটা বড় অংশি টাইফাসসহ অন্যান্য রোগে মারা যায়। এছাড়াও ১৯২১ থেকে ১৯৩৬ সালের মধ্যে ৪২,০০০ আর্মেনিয় উপজাতি ইরাক, ইরান, তুরস্ক, গ্রিস, সিরিয়া, ফ্রান্স, বুলগেরিয়া থেকে সোভিয়েত আর্মেনিয়ায় আসে, যাদের বেশিরভাগই ইয়েরেভানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সালে দ্বিতীয় দফায় বিভিন্ন দেশ থেকে আর্মেনিয়দের পুনঃআগমন ঘটে, এদেরও বেশিরভাগ ইয়েরেভানে স্থায়ী হয়। আশিরদশকে সর্বশেষ ২,০০০ আজারবাইজানির আর্মেনিয়া ত্যাগের মধ্যদিয়ে ইয়েরেভান পুরোপুরিভাবে আর্মেনিয়প্রধান হয়ে উঠে।