[[চিত্র:Freie Universitaet Berlin Otto-Hahn-Bau im Winter 01-2005.jpg|থাম্ব|বার্লিনে ডেলব্রকেরমাক্স ডেলব্র্যুকের কর্মস্থল: কায়সার উইলহেলমভিলহেল্ম ইনস্টিটিউট ফর কেমিস্ট্রি, এখন ফ্রি ইউনিভার্সিটি অফ বার্লিন।]]
'''ম্যাক্সমাক্স লুডউইগলুডভিগ ডেলবুর্কডেলব্র্যুক''' (জন্ম: [[সেপ্টেম্বর ৪]] ১৯০৬; মৃত্যু: [[মার্চ ৯]], ১৯৮১), জার্মান-আমেরিকানমার্কিন জীববিজ্ঞানী। তিনি ১৯৬৯ সালে ভাইরাসের জেনেটিকবংশাণুগত গঠন (Genetic Structure)কাঠামো ও অনুলিপন ([[:en:Replication|Replication]])প্রতিলিপিকরণ সম্পর্কিত গবেষণার জন্য [[অ্যালফ্রেড হার্সে]] ও [[স্যালভাদর লরিয়া|স্যালভাদর লরিয়ার]] সাথে যৌথভাবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ডেলবুর্কমাক্স ডেলব্র্যুক [[জার্মানী|জার্মানীর]] [[বার্লিন|বার্লিনে]] জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা হান্স ডেলবুর্কডেলব্র্যুক [[বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়|বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন। [[জ্যোতির্বিদ্যা]] (Astrology) নিয়ে লেখাপড়া শুরু করলেও তিনি পরবর্তিতেপরবর্তীকালে গটিঞ্জেনগ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাত্তীকতাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা (Theoritical Physics) অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নেন। পিএইচডিডক্টরেট ডিগ্রিউপাধি লাভের পরে তিনি [[বৃটেনব্রিটেন]], [[ডেনমার্ক]] ও [[সুইজারল্যান্ড]] ভ্রমণ করেন। সেখানে [[উলফগংভোলফগাং পাউলিংপাউলি]], [[নীলস্নিলস্ বোর]] প্রমুখ বিজ্ঞানী তাকে জীববিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
১৯৩৭ সালে ডেলবুর্কমাক্স ডেলব্র্যুক [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] চলে যান জীববিজ্ঞান পড়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে ক্যালিফোর্ণিয়াক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে (ক্যালটেক) জীববিজ্ঞান বিভাগে ড্রোসোফিলার ([[:en:Drosophila melanogaster|''Drosophila melanogester'']]) বংশগতিবংশাণুবিজ্ঞান (Genetics) নিয়ে কাজ শুরু করেন। সেখানেই তিনি প্রথম ব্যাক্টেরিয়া ([[:en:bacteria|Bacteria]])ও তারব্যাকটেরিয়া-ভক্ষক ভাইরাস (ব্যাক্টেরিওফাজ) ([[:en:Bacteriophage|Bacteriophage]]) নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ্ব পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন। ১৯৪২ সালে তিনি এবং স্যালভাদরসালভাদোর লুরিয়া "লুরিয়া-ডেলবুর্কডেলব্র্যুক পরীক্ষা"- ([[:en:Luria-Delbrück experiment|Luria-Delbrück experiment]])এরর মাধ্যমে প্রমাণ করেন ব্যাক্টেরিওফাজেরব্যাকটেরিয়া-ভক্ষক ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যাক্টেরিয়ার প্রতিরোধ (Phage resistance) ব্যবস্থা অভিযোজনের (Adaptation) জন্য হয় না বরং ইতস্ততদৈব পরিব্যপ্তির ([[:en:Mutation|Random Mutation]])পরিব্যক্তির ফলে ঘটে। এই গবেষণার জন্য ১৯৬৯ এ উভয় বিজ্ঞানী অ্যালফ্রেড হার্সের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যাক্টেরিয়াল ভাইরাস তথা ব্যাক্টেরিওফাজের উপর এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণাকে আধুনিক আণবিক জীববিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
