বেলুচিস্তানে বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: {{কাজ চলছে}} বেলুচিস্তানে বিদ্রোহ হল বেলুচিস্তান অঞ্চলে পাকিস্তান ও ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে বেলুচ জাতীয়তাবাদীদের একটি কম-তীব্র বিদ্রোহ[20] বিদ্রোহ বা বিদ্রোহ[39][40][41] যা দক্ষিণ-প...
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
বেলুচিস্তানে বিদ্রোহ হল বেলুচিস্তান অঞ্চলে পাকিস্তান ও ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে বেলুচ জাতীয়তাবাদীদের একটি বিদ্রোহ। <ref name=websters_unabridged>{{citation|title="insurgency" (noun)|url=http://unabridged.merriam-webster.com/unabridged/insurgency|publisher=Merriam-Webster Unabridged|access-date=27 November 2019}} Quote: "The quality or state of being insurgent; specifically : a condition of revolt against a recognized government that does not reach the proportions of an organized revolutionary government and is not recognized as belligerency" (subscription required)</ref><ref name=oed_insurgency>{{citation|title=insurgency, n|publisher=Oxford English Dictionary|url=https://www.oed.com/view/Entry/97279?redirectedFrom=insurgency#eid|access-date=27 November 2019}} Quote: "The quality or state of being insurgent; the tendency to rise in revolt; = insurgence n. = The action of rising against authority; a rising, revolt." (subscription required)</ref><ref name=britannica_insurgency>{{citation|title=Insurgency|publisher=Encyclopedia Britannica|url=https://www.britannica.com/topic/insurgency|access-date=27 November 2019}} Quote: "Insurgency, term historically restricted to rebellious acts that did not reach the proportions of an organized revolution. It has subsequently been applied to any such armed uprising, typically guerrilla in character, against the recognized government of a state or country." (subscription required)"</ref> যা দক্ষিণ-পশ্চিমে পাকিস্তানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের বেলুচেস্তান প্রদেশ এবং দক্ষিণ আফগানিস্তানের বেলুচিস্তান অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত।
বেলুচিস্তানে বিদ্রোহ হল বেলুচিস্তান অঞ্চলে পাকিস্তান ও ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে বেলুচ জাতীয়তাবাদীদের একটি কম-তীব্র বিদ্রোহ[20] বিদ্রোহ বা বিদ্রোহ[39][40][41] যা দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ, সিস্তানকে কভার করে। এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের বেলুচেস্তান প্রদেশ এবং দক্ষিণ আফগানিস্তানের বেলুচিস্তান অঞ্চল। প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল, কয়লা, তামা, সালফার, ফ্লোরাইড এবং সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ, এটি পাকিস্তানের বৃহত্তম এবং স্বল্পোন্নত প্রদেশ। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসনের বৃহত্তর নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রদেশ জুড়ে অন্যান্য জাতিসত্তার বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ করেছে। 2010-এর দশকে, শিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আক্রমণ - যদিও সবসময় সরাসরি রাজনৈতিক সংগ্রামের সাথে সম্পর্কিত নয় - বেড়েছে, বেলুচিস্তানে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।[44][45]
 
 
==ইতিহাস==
আয়তনের দিক থেকে বালুচিস্তান হচ্ছে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। বালুচিস্তানের আয়তন ৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৯০ কিলোমিটার, যা পাকিস্তানের মোট আয়তনের প্রায় ৪৩ শতাংশ। কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট। রাজধানী হচ্ছে কোয়েটা। ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের বিবেচনায় পাকিস্তানের জন্য এই প্রদেশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বালুচিস্তানের উত্তর-পূর্ব দিকে আছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া, পূর্ব আর দক্ষিণ-পূর্বদিকে সিন্ধু, দক্ষিণে আরব সাগর, পশ্চিমদিকে ইরান, আর উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে আছে আফগানিস্তান। প্রদেশের প্রধান জাতিগোষ্ঠী হচ্ছে বালুচ এবং পশতুন। বালুচরা প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ। আর পশতুনরা ৩৬ শতাংশ। এর বাইরে আছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী - ব্রাহুইস, হাজারা, সিন্ধী, পাঞ্জাবি, উজবেক।
 
==বৈষম্যের অভিযোগ==
বালুচিস্তানের রয়েছে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ। বিশেষ করে গ্যাস এবং কয়লার বিশাল মওজুদ। আছে তামা এবং সোনা। বালুচ জাতীয়তাবাদীরা বহু বছর ধরে অভিযোগ করে যাচ্ছে যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের শোষন করছে এবং বালুচিস্তানকে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। অর্থনৈতিকভাবে বালুচিস্তান এখনো পাকিস্তানের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। পাকিস্তানের সরকারি চাকুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বালুচদের বিরুদ্ধে বৈষম্যেরও ব্যাপক অভিযোগ আছে।
 
পাকিস্তানে বালুচদের স্বাধীনতার লড়াই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেরও অনেক আগে শুরু হয়েছিল। এটা সত্যি, যে ধরণের বঞ্চনা-বৈষম্য এবং জাতিগত-সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন গতি পেয়েছিল, পাকিস্তানের বালুচদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার পেছনেও সেরকম অনেক কারণ নিহিত।
 
আয়তনের দিক থেকে বালুচিস্তান হচ্ছে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। বালুচিস্তানের আয়তন ৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৯০ কিলোমিটার, যা পাকিস্তানের মোট আয়তনের প্রায় ৪৩ শতাংশ। কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ছোট। রাজধানী হচ্ছে কোয়েটা।
 
ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের বিবেচনায় পাকিস্তানের জন্য এই প্রদেশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বালুচিস্তানের উত্তর-পূর্ব দিকে আছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া, পূর্ব আর দক্ষিণ-পূর্বদিকে সিন্ধু, দক্ষিণে আরব সাগর, পশ্চিমদিকে ইরান, আর উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে আছে আফগানিস্তান।
 
প্রদেশের প্রধান জাতিগোষ্ঠী হচ্ছে বালুচ এবং পশতুন। বালুচরা প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ। আর পশতুনরা ৩৬ শতাংশ। এর বাইরে আছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী - ব্রাহুইস, হাজারা, সিন্ধী, পাঞ্জাবি, উজবেক।
 
বালুচিস্তানের রয়েছে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ। বিশেষ করে গ্যাস এবং কয়লার বিশাল মওজুদ। আছে তামা এবং সোনা। বালুচ জাতীয়তাবাদীরা বহু বছর ধরে অভিযোগ করে যাচ্ছে যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের শোষন করছে এবং বালুচিস্তানকে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে।
 
অর্থনৈতিকভাবে বালুচিস্তান এখনো পাকিস্তানের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। পাকিস্তানের সরকারি চাকুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বালুচদের বিরুদ্ধে বৈষম্যেরও ব্যাপক অভিযোগ আছে।
 
স্বাধীন বালুচিস্তানের স্বপ্ন
৪০ ⟶ ৩১ নং লাইন:
 
বালুচ রিপাবলিকান পার্টি, যেটির নেতৃত্বে আছেন ব্র্রহামদাগ বুগটি, সেটি প্রতিষ্ঠা করেন তার পিতামত নবাব আকবর খান বুগটি। এটিও বৃহত্তর বালুচিস্তানের স্বাধীনতার কথা বলে। তাদের সঙ্গে বালুচ লিবারেশন আর্মির সম্পর্ক আছে বলে দাবি করেন কেউ কেউ।
 
মানবাধিকার লংঘন
 
বালুচিস্তানে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ আছে। সেখানে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা ঠিকমত তাদের কাজ করতে পারেন না।
 
বিএলএ এবং এরকম অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বালুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় তাদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তান থেকেও তারা তৎপরতা চালায় বলে মনে করা হয়।
 
নিরাপত্তা বাহিনী নিয়মিতই এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
 
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বালুচিস্তানে শত শত রাজনৈতিক কর্মী এবং সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং পরে তাদের লাশ খুঁজে পাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছে। তাদের অভিযোগ এর পেছনে আছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
 
মানবাধিকার কর্মীরা এগুলোকে বিচার বহির্ভূত হত্যা বলে বর্ণনা করেন।
 
তবে পাকিস্তান সরকার দাবি করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিজেদের অর্ন্তদ্বন্দ্বের ফল এসব হত্যাকান্ড।
 
২০০৭ সালে সর্বশেষ দফা সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ বা নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
 
গোয়াদার বন্দরে প্রহরারত পাকিস্তানি নৌ সেনা
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
গোয়াদার বন্দরে প্রহরারত পাকিস্তানি নৌ সেনা
 
 
 
তিনি লিখেছেন, “এভাবে বালুচিস্তানের পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করে হয়তো বিষয়টিকে ‘সেনসেশনালাইজ’ করে দৃষ্টি আকর্ষন করা যাচ্ছে। কিন্তু এটি আসলে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান আর আজকের বালুচিস্তানে যা ঘটছে তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যকে আড়াল করে ফেলছে।”
 
মিস্টার সারিন তার লেখায় স্বীকার করছেন যে বালুচিস্তানের মানুষও সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মতো চরম শোষণ-বৈষম্যের শিকার। সেখানে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবির প্রতি বিরাট সমর্থন আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব।
 
মিস্টার সারিন লিখেছেন, বাংলাদেশের বেলায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব যেভাবে মানুষের এই সমর্থনকে সংগঠিত করে এটিকে গণ আন্দোলনে রূপ দিতে পেরেছে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করতে পেরেছে, বালুচিস্তানের বেলায় সেটা অনুপস্থিত। তিনি এর কারণ বিশ্লেষণ করে মূলত বালুচিস্তানের সামন্ততান্ত্রিক ট্রাইবাল সমাজ ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন।
 
==চীনের ভূমিকা==
৭৫ ⟶ ৩৭ নং লাইন:
 
==মানবাধিকার লঙ্ঘন==
বেলুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। যতবারই স্বাধীনতার জন্য বিদ্রোহ হয়েছে ততবারই পাকিস্তানি সেনারা বেলুচদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। বেলুচরা পাকিস্তানের শোষক শ্রেণির বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রতিবারই বেলুচ স্বাধীনতাকামী জনগণের উপর নির্মম দমননীতি প্রয়োগ করেছে। হাজার হাজার বেলুচিস্তানের মানুষ হারিয়ে গেছে। বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা যায়, গড়ে প্রায় প্রতিটি বেলুচ পরিবারের একজন করে মানুষ গুম হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম=শোষিত বেলুচ ও মোদীর বেলুচিস্তান নীতির নেপথ্যে|ইউআরএল=https://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/39065|ওয়েবসাইট=bdnews24|সংগ্রহের-তারিখ=২৮ অগাস্ট, ২০১৬ |ভাষা=bn |প্রকাশের তারিখ=২৮ অগাস্ট, ২০১৬}}</ref> তাছাড়া, পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আছে। নারীদের ধরে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে। এমনই মারাত্মক অভিযোগ পাকিস্তানের বিভিন্ন মানবাধিকারকর্মীর।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম=বেলুচিস্তানেও ৭১-এর মতোই ধর্ষণ করছে পাক সেনারা!|ইউআরএল=https://www.protidinersangbad.com/todays-newspaper/international/99030|ওয়েবসাইট=protidinersangbad|সংগ্রহের-তারিখ=১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭|ভাষা=bn |প্রকাশের তারিখ=১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭}}</ref>
বেলুচিস্তানে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা ঠিকমত তাদের কাজ করতে পারেন না। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বালুচিস্তানে শত শত রাজনৈতিক কর্মী এবং সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং পরে তাদের লাশ খুঁজে পাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছে। তাদের অভিযোগ এর পেছনে আছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=|প্রথমাংশ1=|শিরোনাম=বালুচিস্তান: সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশকে কেন অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখে?|ইউআরএল=https://www.bbc.com/bengali/news-53226152|ওয়েবসাইট=bbc|সংগ্রহের-তারিখ=২৯ জুন ২০২০|ভাষা=bn |তারিখ=২৯ জুন ২০২০}}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==