সান্তাহার পৌরসভা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Preetidipto.21 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৮ নং লাইন:
সান্তাহার পৌরসভাটি [[রাজশাহী বিভাগ|রাজশাহী বিভাগের]] [[বগুড়া জেলা|বগুড়া জেলার]] অন্তর্গত [[আদমদীঘি উপজেলা|আদমদীঘি উপজেলার]] পশ্চিম সীমানা এবং নওগাঁ জেলার পূর্ব সীমানা ঘেসে বৃহত্তর সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নিয়ে গঠিত। এর আয়তন ১০.৫৪০ বর্গ কিলোমিটার।<ref>http://www.paurainfo.gov.bd/PortalUI/MunicipalCouncilInfo.aspx?paurashavaID=204{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
 
== ইতিহাসনামকরণ ==
 
'''সান্তাহারের নামকরণ হয় যেভাবে'''
 
সান্তাহার রেল জংশন স্টেশনের সরকারি কোড STU। জানা গেছে, সে সময় আদমদীঘি থানাধীন সুলতানপুর বাজার (বর্তমানে নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন) অত্র এলাকার বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ বাজার হিসেবে গড়ে উঠায় অত্র রেল স্টেশনের নাম সুলতানপুর রাখা হয়। সে হিসাবে SULTANPUR ইংরেজি নাম হতে S T U নিয়ে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের কোড STU নির্ধারণ করা হয়। যা এখন পর্যন্ত বহাল আছে। যেমন: NATOR ইংরেজি নাম হতে N T R নিয়ে নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের কোড NTR অনুরুপভাবে RAJSHAHI ইংরেজি নাম হতে R A J নিয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের কোড RAJ নির্ধারণ করা হয়। এভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার নামানুসারে রেল স্টেশনের কোড নাম সমূহের সামঞ্জস্য দেখা গেলেও Santahar (সান্তাহার) নামের বানানের সঙ্গে কোডের কোন মিল দেখা যায় না। তাই সান্তাহারের আদি নাম যে সুলতানপুর তার প্রমাণ বহন করে। এই জংশন স্টেশনটি সাঁতাহার মৌজার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীভাবে সাঁতাহার নামই পরিচিত হতে থাকে। সাঁতাহারের ইংরেজি বানান Santahar কালক্রমে ব্যাপকভাবে সান্তাহার নামে পরিচিতি হওয়ায় সুলতানপুর নামটি বিলুপ্ত হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ উপনিবেশ শেষ হলে সুলতানপুর নামটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয় এবং সরকারিভাবে সান্তাহার নামটি ব্যবহার শুরু হয়। তবে সান্তাহার রেল স্টেশনের কোড STU রয়ে যায়। উল্লেখ্য, বাংলা ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে কোন শব্দের সঙ্গে চন্দ্রবিন্দু থাকার কারণে ইংরেজি বানানের সময় চন্দ্রবিন্দু এর স্থলে ইংরেজি বর্ণ N ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মানুসারে ‍‍নওগাঁ এর ইংরেজি বানান দাঁড়ায় Naogaon । তাই বাংলা সাঁতাহার এর ইংরেজি অপভ্রংশ Santahar নামটি অধিক ব্যবহারের কারণে সান্তাহার নামটি ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে।
 
'''সংক্ষেপে সান্তাহারের== ইতিহাস''' ==
 
বগুড়া জেলার অন্তর্গত আদমদীঘি উপজেলার পশ্চিম সীমানা এবং নওগাঁ জেলার পূর্ব সীমানা ঘেঁসে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নিয়ে ১০.৫৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট সান্তাহার পৌরসভা ১৯৮৮ সালে মে মাসে স্থাপিত হয়। পৌরসভার বর্তমান নয়টি (৯) ওয়ার্ড মিলে জনসংখ্যা ৩১ হাজার ৩৭ জনের (একত্রিশ হাজার সায়ত্রিশ) বেশি। বর্তমানে পৌরসভাটি ‌’খ’ শ্রেণী ভূক্ত ।
সান্তাহার একটি রেল প্রসিদ্ধ শহর। অধুনা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকা ও খুলনার রেল যোগাযোগ সান্তাহারের উপর দিয়ে হয়। তৎকালীন অবিভক্ত ভারত বর্ষে সান্তাহার থেকে ভারত তথা কলকাতা, দার্জিলিংসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে দার্জিলিং মেইল নামে খ্যাত রেলগাড়ির মাধ্যমে যাত্রা করা যেত।
সান্তাহার রেলপ্রসিদ্ধ শহর বিধায় পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার সান্তাহারে বিহারীদের সান্তাহারে পূর্ণবাসন করে। ১৯৭১ সালে সান্তাহারের মুক্তিযোদ্ধরা ও আপামোর জনগণ মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বিহারীদের উৎখাত করেন। সান্তাহারে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা অবস্থিত। যেমন- সাইলো, সিএসডি, এলএসডি, বাফার খাদ্যগুদাম, সওজ কারখানা, ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পিকিং পাওয়ার প্লান্টসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা। এছাড়া একটি সরকারি কলেজ, একটি সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়, সকল ওয়ার্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সান্তাহার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। নওগাঁ জেলা ও আশেপাশের সকল এলাকার সড়ক যোগাযোগ সান্তাহারের মাধ্যমেই হয়।
সান্তাহারের জলবায়ু স্বাভাবিক। প্রাকৃতিক দূর্যোগ তেমন লক্ষ্য করা যায় না। মাটি উর্বর বিধায় ফসলাদি ভাল উৎপন্ন হয়। সান্তাহারের সজনে ডাটা দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি হিসাবে রপ্তানি হয়। সান্তাহার রাজনৈতিক সহিংসতা মুক্ত শহর। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখানে একত্রে বসবাস করে।<ref>''সান্তাহার পৌরসভা ওয়েব
তথ্যসূত্র:সান্তাহার ''ডটকম/সান্তাহার পৌরসভাডটকম ওয়েবটিম/১৫-০৪-২০১৬ইং''</ref>
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/১৫-০৪-২০১৬ইং''
 
সান্তাহার একটি রেল প্রসিদ্ধ শহর। অধুনা উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকা ও খুলনার রেল যোগাযোগ সান্তাহারের উপর দিয়ে হয়ে থাকে। তৎকালিন অবিভক্ত ভারত বর্ষে সান্তাহার থেকে ভারত তথা কলিকাতা, দার্জিলিং সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে দার্জিলিং মেইল নামে খ্যাত রেলগাড়ীর মাধ্যমে গমণ করা যেত।