আবরাহা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১০ নং লাইন:
এরপর তিনি উত্তর আরব (মক্কা মদিনা) আক্রমণের চিন্তা করেন। খ্রিস্টানদের নির্যাতন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রতিবেশী রাজাদের কাছেও পত্র দেন, এ খ্রিস্টান নিধনের সংবাদ সারা রোমান আর পারস্যে ছড়িয়ে পড়ল। শেষ পর্যন্ত রোমান সম্রাট জাস্টিন দা ফার্স্টের কাছেও নাজরান থেকে আর্তি গেল খ্রিস্টান নিধনের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। ইথিওপিয়ার আক্সুম রাজ্যের রাজা কালেব তখন রোমান সম্রাট জাস্টিনের সহায়তায় সেনা যোগাড় করলেন এবং ইয়েমেনে পোঁছালেন। সেখানে তিনি যু-নুওয়াসকে যুদ্ধে পরাজিত করেন যেখানে তার সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ কমান্ডার ছিলেন আল-আশরাম।
 
প্রকোপিয়াস আব্রাহাকে একজন রোমান বণিকের প্রাক্তন দাস হিসেবে চিহ্নিত করেন যিনি আদুলিসে ব্যবসা করতেন।<ref name="Procopius">{{cite book |author=Procopius |translator-last=Dewing |translator-first=Henry Bronson |date=1914 |title=Procopius, with an English translation by H. B. Dewing |publication-place=London |publisher=William Heinemann |page=191 |volume=1 |author-link=Procopius }}</ref> পরবর্তীতে, আবরাহা হয় একজন সেনাপতি বা ধু নুওয়াসেরযু-নুওয়াস বিরুদ্ধে অ্যাক্সামের রাজা কালেবের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন।<ref name="Kobishchanov">{{ cite book |last=Kobishchanov |first=Yuri M. |date=1990 |title=Axum |location=University Park, Pennsylvania |publisher=Penn State University Press |page=91 |isbn=0271005319 |author-link=Yuri Kobishchanov }}</ref> মূলত, কালেব দুটো বাহিনী পাঠিয়েছিলেন, প্রথমটা ব্যর্থ হলে দ্বিতীয়টি পাঠানো হয়। এই দ্বিতীয় বাহিনীর কমান্ডারই তার অধীনে ছিল এক লাখ সৈন্য আর শত শত যুদ্ধের হাতি। যু-নাওয়াসের মৃত্যুর পর কালেব ফিরে গেলে এ এলাকার দখল নিয়ে নিতে চায় আল-আশরাম। কিন্তু কালেব সেটা মানেন নি। কালেব দেশ থেকে জেনারেল আরিয়াতকে প্রেরণ করেন, যেন আরিয়াতকে ইয়েমেনের গভর্নর বানানো হয়। কিন্তু আল-আশরাম এটা মানেনি। ফলে রাজা কালেব রেগে যান। এ দ্বন্দ্ব অনেক দিন চলে। শেষ পর্যন্ত আরিয়াত আর আল-আশরাম এর দ্বন্দ্ব লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। সেটাতে আল-আশরাম এর মুখে আঘাত লাগে। মুখ কেটে যায়। কিন্তু ওদিকে আরিয়াত মারা যায়। আর জয়ী হন আল-আশরাম। তবে এরপর থেকে তার উপাধি হয় ‘আশরাম’ বা ‘যার মুখে কাঁটা দাগ’।<ref name="DACB"/> Abraha's nose had either been lost in battle or had fallen in owing to some disease.<ref>{{cite book |url=https://www.google.com/books/edition/An_Azanian_Trio/ZGzDDwAAQBAJ?hl=en&gbpv=1&dq=abraha+nose&pg=PA158&printsec=frontcover |author=Brill |year=2019 |title=An Azanian Trio: Three East African Arabic Historical Documents|publisher=BRILL |isbn=9789004258600 }}</ref> রাজা কালেব এরপর দু’বার আর্মি পাঠান আব্রাহাকে দমন করতে, কিন্তু সেই দুবারই পরাজিত হন। শেষ পর্যন্ত কালেব তার অধীনে ইয়েমেনের শাসক বা রাজা হিসেবে স্বীকৃতি দেন আব্রাহাকে।
 
==রাজত্ব==
শেষ পর্যন্ত আরিয়াত আর আল-আশরাম এর দ্বন্দ্ব লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। সেটাতে আল-আশরাম এর মুখে আঘাত লাগে। মুখ কেটে যায়। কিন্তু ওদিকে আরিয়াত মারা যায়। আর জয়ী হন আল-আশরাম। তবে এরপর থেকে তার উপাধি হয় ‘আশরাম’ বা ‘যার মুখে কাঁটা দাগ’। এটা সম্ভবত ৫৪৩ সালের ঘটনা। এর আগ পর্যন্ত তিনি তার নিজের আসল নামেই পরিচিত ছিলেন। তার আসল নাম ছিলো আব্রাহা।
[[Image:EthioYemenCities.jpg|thumb|300px|right|A reference map of the empire of Kaleb of Axum]]
 
রাজা হয়েই খ্রিস্টান আব্রাহা শুরু করেন ইহুদী আর পৌত্তলিক দমন। তিনি তার রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন সানাতে। অসম্ভব উগ্র খ্রিস্টান ছিলেন এই আব্রাহা। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি করেন। সেটা হলো, রাজ্যের সেচপ্রণালী উন্নত করেন আর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করেন। সাবিয়ান রাজধানী মা’রিবে তিনি বিশাল সেচ বাধ ঠিক করে দেন। এ সাফল্যে সারা রাজ্যে বিশাল ভোজ উদযাপিত হয়। তিনি সানাতে বিশাল এক চার্চ বা ক্যাথেড্রাল নির্মাণ করেন,করেন।<ref>Scott নামFitzgerald এক্লেসিয়াJohnson (গ্রিকed.) ভাষায়(2015), আরবিতে''The আল-কুলাইস।Oxford (বোঝাইHandbook যাচ্ছে,of Late আরবিAntiquity''. নামটাOxford গ্রিকUniversity থেকেPress. এসেছে।)p. 285. {{ISBN|019027753X}}</ref>
রাজা কালেব এরপর দু’বার আর্মি পাঠান আব্রাহাকে দমন করতে, কিন্তু সেই দুবারই পরাজিত হন। শেষ পর্যন্ত কালেব তার অধীনে ইয়েমেনের শাসক বা রাজা হিসেবে স্বীকৃতি দেন আব্রাহাকে।
 
 
রাজা হয়েই খ্রিস্টান আব্রাহা শুরু করেন ইহুদী আর পৌত্তলিক দমন। তিনি তার রাজ্যের রাজধানী স্থাপন করেন সানাতে। অসম্ভব উগ্র খ্রিস্টান ছিলেন এই আব্রাহা। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি করেন। সেটা হলো, রাজ্যের সেচপ্রণালী উন্নত করেন আর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করেন। সাবিয়ান রাজধানী মা’রিবে তিনি বিশাল সেচ বাধ ঠিক করে দেন। এ সাফল্যে সারা রাজ্যে বিশাল ভোজ উদযাপিত হয়। তিনি সানাতে বিশাল এক চার্চ বা ক্যাথেড্রাল নির্মাণ করেন, নাম এক্লেসিয়া (গ্রিক ভাষায়), আরবিতে আল-কুলাইস। (বোঝাই যাচ্ছে, এ আরবি নামটা গ্রিক থেকে এসেছে।)