আবরাহা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন:
 
==জীবনী==
যু-নাওয়াস তখন সেই আবিসিনিয়া/ইথিওপিয়া আক্রমণ করেন। নাজরানও (আরবের দক্ষিণে, মক্কা মদিনা থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে) আক্রমণ করেন।
 
হিমিয়ার রাজ্যের শেষ ইহুদী রাজা হন যু-নুওয়াস (ذو نواس‎‎)।<ref name="DACB">[http://www.dacb.org/stories/ethiopia/_abraha.html "Abraha."] {{webarchive|url=https://web.archive.org/web/20160113213718/http://www.dacb.org/stories/ethiopia/_abraha.html |date=2016-01-13 }} ''Dictionary of African Christian Biographies''. 2007. (last accessed 11 April 2007)</ref> যু-নাওয়াস রাজা হয়েই ঘোষণা করেন,রাজ্যের খ্রিস্টানদের শাস্তি দেয়া হবে, কারণ অন্য রাজ্যে খ্রিস্টানরা ইহুদীদের নিপীড়ন করে। তিনি তাদের ইহুদী ধর্মে আসতে বলেন। কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করে। ক্রোধে যু-নুওয়াস তাদের আক্রমণ করেন নাজরানে। ছয় মাস তাদের অবরোধ করে রাখা হয়। অনেক লোক আত্মসমর্পণ করে এই প্রতিশ্রুতি পাবার পর যে, তাদের শাস্তি দেয়া হবে না কিন্তু যু-নুওয়াস তাদের সকলের শাস্তির ব্যবস্থা করেন। পরিখায় আগুন লাগিয়ে চার্চের কাছেই সেখানে তাদের জীবিত পুড়িয়ে মারেন, যারা সমর্পণ করেনি তাদেরও। কুরআনে এ ঘটনাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে।
এরপর তিনি উত্তর আরব (মক্কা মদিনা) আক্রমণের চিন্তা করেন। খ্রিস্টানদের নির্যাতন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রতিবেশী রাজাদের কাছেও পত্র দেন, এ খ্রিস্টান নিধনের সংবাদ সারা রোমান আর পারস্যে ছড়িয়ে পড়ল। শেষ পর্যন্ত রোমান সম্রাট জাস্টিন দা ফার্স্টের কাছেও নাজরান থেকে আর্তি গেল খ্রিস্টান নিধনের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। ইথিওপিয়ার আক্সুম রাজ্যের রাজা কালেব (নামটা মনে রাখা জরুরি) তখন রোমান সম্রাট জাস্টিনের সহায়তায় সেনা যোগাড় করলেন এবং ইয়েমেনে পোঁছালেন। সেখানে তিনি যু-নুওয়াসকে যুদ্ধে পরাজিত করেন।
এটা সম্ভবত ৫২৫ সালের কথা। যুদ্ধে জিতবার পর কালেব দেশে ফিরে যান। তার সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ কমান্ডার ছিলেন আল-আশরাম। মূলত, কালেব দুটো বাহিনী পাঠিয়েছিলেন, প্রথমটা ব্যর্থ হলে দ্বিতীয়টি পাঠানো হয়। এই দ্বিতীয় বাহিনীর কমান্ডারই তার অধীনে ছিল এক লাখ সৈন্য আর শত শত যুদ্ধের হাতি। যু-নাওয়াসের মৃত্যুর পর কালেব ফিরে গেলে এ এলাকার দখল নিয়ে নিতে চায় আল-আশরাম। কিন্তু কালেব সেটা মানেন নি। কালেব দেশ থেকে জেনারেল আরিয়াতকে প্রেরণ করেন, যেন আরিয়াতকে ইয়েমেনের গভর্নর বানানো হয়। কিন্তু আল-আশরাম এটা মানবেন না। ফলে রাজা কালেব রেগে যান। এ দ্বন্দ্ব অনেক দিন চলে।
 
এরপর তিনি উত্তর আরব (মক্কা মদিনা) আক্রমণের চিন্তা করেন। খ্রিস্টানদের নির্যাতন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রতিবেশী রাজাদের কাছেও পত্র দেন, এ খ্রিস্টান নিধনের সংবাদ সারা রোমান আর পারস্যে ছড়িয়ে পড়ল। শেষ পর্যন্ত রোমান সম্রাট জাস্টিন দা ফার্স্টের কাছেও নাজরান থেকে আর্তি গেল খ্রিস্টান নিধনের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। ইথিওপিয়ার আক্সুম রাজ্যের রাজা কালেব (নামটা মনে রাখা জরুরি) তখন রোমান সম্রাট জাস্টিনের সহায়তায় সেনা যোগাড় করলেন এবং ইয়েমেনে পোঁছালেন। সেখানে তিনি যু-নুওয়াসকে যুদ্ধে পরাজিত করেন।করেন যেখানে তার সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ কমান্ডার ছিলেন আল-আশরাম।
 
এটাপ্রকোপিয়াস সম্ভবতআব্রাহাকে ৫২৫একজন সালেররোমান কথা।বণিকের যুদ্ধেপ্রাক্তন জিতবারদাস পরহিসেবে কালেবচিহ্নিত দেশেকরেন ফিরেযিনি যান।আদুলিসে তারব্যবসা করতেন।<ref name="Procopius">{{cite book |author=Procopius |translator-last=Dewing |translator-first=Henry Bronson |date=1914 |title=Procopius, with an English translation by H. B. Dewing |publication-place=London |publisher=William Heinemann |page=191 |volume=1 |author-link=Procopius }}</ref> পরবর্তীতে, আবরাহা হয় একজন সেনাপতি বা ধু নুওয়াসের বিরুদ্ধে অ্যাক্সামের রাজা কালেবের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একজন দক্ষসদস্য কমান্ডারছিলেন।<ref ছিলেনname="Kobishchanov">{{ আলcite book |last=Kobishchanov |first=Yuri M. |date=1990 |title=Axum |location=University Park, Pennsylvania |publisher=Penn State University Press |page=91 |isbn=0271005319 |author-আশরাম।link=Yuri Kobishchanov }}</ref> মূলত, কালেব দুটো বাহিনী পাঠিয়েছিলেন, প্রথমটা ব্যর্থ হলে দ্বিতীয়টি পাঠানো হয়। এই দ্বিতীয় বাহিনীর কমান্ডারই তার অধীনে ছিল এক লাখ সৈন্য আর শত শত যুদ্ধের হাতি। যু-নাওয়াসের মৃত্যুর পর কালেব ফিরে গেলে এ এলাকার দখল নিয়ে নিতে চায় আল-আশরাম। কিন্তু কালেব সেটা মানেন নি। কালেব দেশ থেকে জেনারেল আরিয়াতকে প্রেরণ করেন, যেন আরিয়াতকে ইয়েমেনের গভর্নর বানানো হয়। কিন্তু আল-আশরাম এটা মানবেন না।মানেনি। ফলে রাজা কালেব রেগে যান। এ দ্বন্দ্ব অনেক দিন চলে।
 
শেষ পর্যন্ত আরিয়াত আর আল-আশরাম এর দ্বন্দ্ব লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। সেটাতে আল-আশরাম এর মুখে আঘাত লাগে। মুখ কেটে যায়। কিন্তু ওদিকে আরিয়াত মারা যায়। আর জয়ী হন আল-আশরাম। তবে এরপর থেকে তার উপাধি হয় ‘আশরাম’ বা ‘যার মুখে কাঁটা দাগ’। এটা সম্ভবত ৫৪৩ সালের ঘটনা। এর আগ পর্যন্ত তিনি তার নিজের আসল নামেই পরিচিত ছিলেন। তার আসল নাম ছিলো আব্রাহা।