আলাপ:প্রধান পাতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SAIF AHMMED SAJIB (আলোচনা | অবদান)
→‎জাতীয় চারনেতা: নতুন অনুচ্ছেদ
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
SAIF AHMMED SAJIB (আলোচনা | অবদান)
→‎জেলহত্যা মামলা: নতুন অনুচ্ছেদ
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৯ নং লাইন:
 
কুশীলব কারা,বের করতে তদন্ত কমিশন চায় পরিবার। ষড়যন্ত্র, ক্ষমতা দখল-পাল্টাদখলের ধারাবাহিকতায় ৪৬ বছর আগে কারাগারে বন্দী অবস্থায় জাতীয় চারনেতা কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলা জেলহত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়। এ মামলার বিচার কাজ শেষ হলেও নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত, তা এখনো বের করা যায়নি বলে মনে করেন জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন,আগামী প্রজম্ম ও ইতিহাসের স্বাথে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জরিত ও নেপথ্যের কুশীলব বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।৷৷ ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতাকে। তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধামনএী তাজউদ্দীন আহমদ,মন্ত্রীসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবংএইচ এম কামরুজ্জামান। নৃশংস এই ঘটনার আড়াই মাস আগে দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম ঘটনা ঘটে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করা হয়। জাতীয় চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি এখন জাতীয় সংসদের সদস্য। তিনি বলেন, যেসব হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্রের কাঠামো বদলে দেয় বা রাষ্ট্রের মূল ভাবধারাকে ভিন্ন পথে প্রভাবিত করে,সেসব হত্যাকান্ডের বিচার পাশাপাশি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ও বের করা প্রয়োজন। আগামী প্রজম্ম ও ইতিহাসের স্বাথে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জরিত ও নেপথ্যের কুশীলব বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।জেলহত্যা মামলার আদালতের রায়ে ৩ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তও ৮ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদপর মধ্যে ১০ জন এখনো পলাতক। অপর চসামি ক্যাপ্টেন( বরখাস্ত ) আবদুলমাজেদ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তাকে গত বছরের ৬ এপ্রিল গ্রেপৃতারের কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জেলহত্যা মামলায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। মাজেদ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তআসামি ছিলেন। গত বছরের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাতে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। জেলহত্যা মামলার মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন রিসালাদার মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মোঃ আবুল কাশেম মৃধা। এই তিন আসামি এখন কোথায় আছেন,সে ব্যাপারে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। [[ব্যবহারকারী:SAIF AHMMED SAJIB|SAIF AHMMED SAJIB]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:SAIF AHMMED SAJIB|আলাপ]]) ১২:৫৩, ৩ নভেম্বর ২০২১ (ইউটিসি)
 
== জেলহত্যা মামলা ==
 
জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যার ঘটনাটি বাংলার ইতিহাসে জেলহত্যা নামে পরিচিত। এই নৃশংস ঘটনার জন্য প্রথম মামলা করা হয ৪ এ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে। মামলাটি করেন সেই সময়ের উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল। তিনি মামলাটি করেন লালবাগ থানায়। মামলায় সেনাবাহিনীর রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় বলা হয়, মোসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে গুলি করেন এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনার পরদিন মামলা করা হলেও এই মামলার তদন্ত থেমে ছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেন তখন আবার এই মামলার তদন্ত শুরু হয়। জেলহত্যার ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষনা করেন। রায়ে তিনি আসামি রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ এবং দফাদার মো. আবদুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যু দন্ড এবং ১২ জন কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন আসামি হলেন লে. কনেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কনেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান,মেজর ( অব.) বজলুল হুদা, মেজর ( অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, কনেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কনেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম,কনেল(অব.) এম বি নূর চৌধুরী, লে. কনেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর ( অব.) আহম্মেদ শরিফুল হোসেন, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ,ক্যাপ্টেন ( অব.) কিশনত হাশেম এবং ক্যাপ্টেন ( অব.) নাজমুল হোসেন আনসার।পরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চার আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ( ল্যান্সার) বিচারক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৮ সালের ২৮ আগষ্ট হাইকোট রায় দেন। রায়ে মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে রিসালাদার মোসলেহ উদ্দিন মৃত্যু দন্ড বহাল থাকে। মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাশেম মৃধা মৃত্যু দন্ড থেকে খালাস পান। এ ছাড়া আপিল করা চার আসামি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর আট আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষ আপিল করে। আপিল বিভাগে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল রায় দেন। রায়ে দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মোঃ আবুল হাশেম মৃধা কে খালাস করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যু দন্ড বহাল রাখা হয়। [[ব্যবহারকারী:SAIF AHMMED SAJIB|SAIF AHMMED SAJIB]] ([[ব্যবহারকারী আলাপ:SAIF AHMMED SAJIB|আলাপ]]) ১৩:৩২, ৩ নভেম্বর ২০২১ (ইউটিসি)
"প্রধান পাতা" পাতায় ফেরত যান।