মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিঙ্কের পরামর্শ: ৩টি লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা নবাগতদের কাজ পরামর্শ: লিঙ্ক যুক্ত করা
এই হলো অভীক (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, ট্যাগ যোগ/বাতিল
৬৫ নং লাইন:
|footnotes =
}}
<!--পরিচয়-->'''মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র''' [[আফ্রিকা]] মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত একটি স্থলবেষ্টিত [[রাষ্ট্র]]। দেশটির রাজধানী নগরীর নাম [[বাংগি (নগরী)|বাংগি]]। প্রায় ৬ লক্ষ ২৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের (বাংলাদেশের আয়তনের ৪ গুণের কিছু বেশি) এই দেশটিতে ৪৭ লক্ষ লোকের বাস; জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৭.৭২ জন।<!--অবস্থান, ভূগোল--> ভৌগোলিকভাবে এটি [[চাদ নদী]] ও [[কঙ্গো নদী]]র অববাহিকাদ্বয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে একটি নিম্ন উচ্চতাবিশিষ্ট মালভূমির[[মালভূমি]]<nowiki/>র উপরে দাঁড়িয়ে আছে। মালভূমিটি [[সাভানা]] জাতীয় তৃণভূমি এবং গুল্মজাতীয় উদ্ভিদে আবৃত। দেশটির উত্তরাংশ ঊষর; এর বিপরীতে দেশের দক্ষিণভাগে নিরক্ষীয় [[অতিবৃষ্টি অরণ্য]] পরিলক্ষিত হয়। উবাংগি নদীটি দেশটির সাথে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সীমানা গঠন করেছে।<!--জলবায়ু--> মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের উত্তরভাগের জলবায়ু উত্তপ্ত ও শুষ্ক প্রকৃতির; দক্ষিণের জলবায়ু নিরক্ষীয় প্রকৃতির। সারা বছর ধরেই বৃষ্টিপাত হয়, তবে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সবচেয়ে ভারী বর্ষণ হয়ে থেকে।
 
<!--নৃগোষ্ঠী-->[[বায়া (নৃগোষ্ঠী)|বায়া]] (৩৩%) ও [[বান্দা (নৃগোষ্ঠী)|বান্দা]] (২৭%) দেশটি দুইটি বৃহত্তম [[নৃগোষ্ঠী]]; এছাড়া [[মাঞ্জিয়া (নৃগোষ্ঠী)|মাঞ্জিয়া]] (১৩%) ও [[সারা (নৃগোষ্ঠী)|সারা]] (১০%) দুইটি অন্যতম সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠী।<!--ভাষা--> বান্দা ও গবায়া ভাষায় দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ কথা বললেও দক্ষিণের সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীগুলির মুখের বাণিজ্যিক "ক্রেওল" বা মিশ্রবুলি "সাংগো"-ই দেশটির সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা। এছাড়া ঔপনিবেশিক আমলে আগত [[ফরাসি ভাষা]]ও ব্যাপক প্রচলিত। ফরাসি ও সাংগো দেশটির সরকারি ভাষা।<!--ধর্ম--> দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অধিবাসী ঐতিহ্যবাহী আফ্রিকান ধর্মগুলিতে বিশ্বাসী। দেশের অর্ধেক জনগণ খ্রিস্টান[[খ্রিস্টধর্ম]] অনুগামী, (যাদের মধ্যে সমসংখ্যক [[ক্যাথলিক মণ্ডলী|রোমান ক্যাথলিক]] ও [[প্রতিবাদী বামতবাদ প্রোটেস্টান্ট(খ্রিস্টধর্ম)|প্রতিবাদী মতবাদ]] মণ্ডলীর অনুসারী। এছাড়া দেশের প্রায় ১৫% [[ইসলাম]] ধর্মাবলম্বী।<!--রাজনীতি--> ঐতিহাসিকভাবে দেশটির দক্ষিণের নৃগোষ্ঠীগুলি থেকেই সবচেয়ে বেশী রাজনৈতিক নেতার আগমন ঘটেছে। সাম্প্রতিককালে দেশের উত্তরভাগের জঙ্গী বাহিনীগুলির বিদ্রোহের কারণে বহুসংখ্যক ব্যক্তি ঘরহারা উদ্বাসীতে পরিণত হয়েছে। {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|date=}} দেশটিতে বর্তমানে একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি [[জাতিসংঘ|জাতিসংঘের]] শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশটিতে নিয়মিত কর্মরত আছে।
 
<!--অর্থনীতি--->জাতিসংঘের মতে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশ। উবাংগি নদীটি দেশটির প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি। নিতান্ত জীবিকানির্বাহী কৃষিকাজ দেশটির জনগণের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। তবে এখান থেকে হীরা, তুলা, তক্তাকাঠ ও কফি রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আক্রমণ ও পারস্পরিক দাঙ্গা দেশটির স্থিতিশীলতায় চরমভাবে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অবকাঠামোগত দারিদ্র্যের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত। উদ্বাস্তুদের জন্য দেশটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল। দেশটির মুদ্রার নাম [[মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রীয় ফ্রঁ]], যা ১০০ সঁতিমের (সেন্ট) সমান।