কুকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MdsShakil (আলোচনা | অবদান)
MdsShakil-এর করা 5411568 নং সংস্করণে পুনরানিত হয়েছে; বিশ্বকোষীয় শব্দ নয় (পুনরানয়ন)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
রুদ্র রাজীব (আলোচনা | অবদান)
→‎top: বানান ঠিক করা হয়েছে, ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে, লিংক সংযোজন
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
২১ নং লাইন:
 
প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে একপ্রকার নেকড়ে মানুষের শিকারের সঙ্গী হওয়ার মাধ্যমে গৃহপালিত পশুতে পরিণত হয়। তবে কারও কারও মতে কুকুর মানুষের বশে আসে ১০০,০০০ বছর আগে। <ref>http://news.bbc.co.uk/2/hi/science/nature/2498669.stm</ref> অবশ্য অনেক তথ্যসূত্র অনুযায়ী কুকুরের গৃহ পালিতকরণের সময় আরও সাম্প্রতিক বলে ধারণা প্রকাশ করে থাকে। <ref>Vilà, C. et al. (1997). Other research suggests that dogs have only been domesticated for a much shorter amount of time. [http://www.mnh.si.edu/GeneticsLab/StaffPage/MaldonadoJ/PublicationsCV/Science_Dog_Paper.pdf Multiple and ancient origins of the domestic dog.] ''Science'' '''276''':1687–1689. (Also [http://www.idir.net/~wolf2dog/wayne1.htm "Multiple and Ancient Origins of the Domestic Dog"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070926223204/http://www.idir.net/~wolf2dog/wayne1.htm |তারিখ=২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ }})</ref><ref>Lindblad-Toh, K, et al. (2005) [http://www.nature.com/nature/journal/v438/n7069/abs/nature04338.html Genome sequence, comparative analysis and haplotype structure of the domestic dog.] ''Nature'' '''438''', 803–819.</ref>. [[নেকড়ে]] ও [[শিয়াল]] কুকুরের খুবই ঘনিষ্ঠ প্রজাতি (নেকড়ে আসলে একই প্রজাতি)। তবে গৃহপালিত হওয়ার পরে কুকুরের বহু বৈচিত্র্যময় জাত (breed) তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র কয়েক ইঞ্চি উচ্চতার কুকুর (যেমন চিহুয়াহুয়া) থেকে শুরু করে তিন ফুট উঁচু (যেমন আইরিশ উলফহাউন্ড) রয়েছে।
 
'''কুকুর সম্পর্কিত তত্য'''
 
'''ঘ্রাণ কেন্দ্র মানুষের চেয়ে ৪০ গুণ বড়''':
কুকুরের ঘ্রাণ শক্তি মানুষের ঘ্রাণ শক্তির চেয়ে বেশ উন্নত। তাদের নাকের মধ্যে লক্ষ লক্ষ সুগন্ধি রিসেপ্টর আছে। যেখানে একজন মানুষের মধ্যে রয়েছে গড়ে ৫ লক্ষ রিসেপ্টর, সেখানে কুকুরের ক্ষেত্রে আছে ১২৫ লক্ষ রিসেপ্টর।
এগুলো কুকুরকে সহজেই মাদক খুজে, মৃত ব্যাক্তি, ছারপোকা, বিষ্ফোরক দ্রব্য সহ অনেক কিছু সহজে খুজে পেতে সাহায্য করে।
 
'''নাক কখনো এক নয়''':
প্রতিটি মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আলাদা আলাদা। একজনের সাথে আরেকজনেরটা কখনোই মিলবে না। তাই ফিঙ্গার প্রিন্ট দেখে মানুষকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা যায়। একইভাবে প্রতিটি কুকুরের নাকের খাজ এবং ভাজ আলাদা।
 
'''কুকুর স্বপ্ন দেখে''':
হয়তো কখনো লক্ষ্য করেছেন, কুকুর ঘুমাতে ঘুমাতে ঝাকিয়ে উঠছে, তারপর আবার ঘুমাচ্ছে তাহলে বুঝবেন সে সম্ভবত স্বপ্ন দেখছে। গবেষকরা বলছেন, মানুষের সাথে কুকুরের ঘুমানোর ধরন ও মস্তিষ্কের কার্যকরিতার অনেক মিল আছে। ছোট প্রজাতির কুকুগুলো বড় প্রজাতির কুকুরের চেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখে।
 
স্বপ্নের মধ্যে ইদুর তাড়া করা, মশাকে মুখ দিয়ে ধরার চেষ্টা করা, মালিকের সাথে খেলা করা সহ অনেক কিছুই স্বপ্নে উপলব্ধি করতে পারে তারা।
 
'''কুকুরেরা স্মার্ট''':
গবেষক স্ট্যানলি কোরেনের মতে, আপনার ছোট বাচ্চা যেমন কিছু শব্দ বলতে পারে তেমনই কুকুরের মস্তিষ্কও এমন করতে পারে।
 
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, মানুষের ছোট বাচ্চা যেমন ভাল বন্ধুদের চিনতে পারে, অল্প কিছু শব্দ বলতে পারে ঠিক তেমনই কুকুরও তা করতে পারে।
 
'''লেজ নাড়ানো তার নিজস্ব ভাষা''':
কুকুর যদি ইচ্ছেমতো লেজ দিয়ে আপনার পায়ে ঝাঁকুনি দেয়, তাহলে বুঝবেন সে আপনার উপর অনেক খুশি। আপনি ঠিকমত তার পরিচর্যা করেছেন।
 
ডিসকভারির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন কুকুর খুশিতে থাকে তখন সে ডান দিকে লেজ নাড়ায়, আর যখন সে ভীত সন্ত্রস্ত হয় তখন বাম দিকে লেজ নাড়িয়ে থাকে।
 
নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করলে সে নীচের দিকে লেজ নাড়ায়। লেজ নাড়ানোর উপর ভিত্তি করে কুকুরের শরীরের শক্তির অবস্থা বোঝা যায়।
 
'''জন্মের সময় অন্ধ ও বধির থাকে''':
নতুন জন্ম নেয়া কুকুরের বাচ্চার চোখ ও কান বন্ধ থাকে। পরে ধীরে ধীরে এসব অঙ্গের উন্নতি ঘটলে তারা দেখতে ও শুনতে পায়।
বেশিরভাগ বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রায় ২ সপ্তাহ বয়সের পর তাদের চোখ ফোটে এবং ডাকে সাড়া দেয়।
 
'''তুখোড় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়''':
মানুষের আছে পঞ্চ ইন্দ্রিয়। দেখা, শোনা, স্বাদ নেওয়া, কথা বলা, ও স্পর্শের অনুভূতি আছে। এগুলোর বাইরেও অবশ্য অনুভূতি আছে, যেমন অভিকর্ষের টান অনুভব করা ইত্যাদি।
 
কুকুরের মধ্যে একটা ব্যতিক্রমী ইন্দ্রিয় আছে। পুর্বাভাসের ব্যাপারে তারা অনেকটা এগিয়ে। বিশেষত প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন, ঝড়ের আগে, বৃষ্টির আগে, জলোচ্ছ্বাস এমনকি ভূমিকম্পের আগে তাদের অদ্ভুত আচারণ পরিলক্ষিত হয়।
 
২০১০ সালের এক জরিপে কুকুরের মালিকরা অনেক আশ্চর্যজনক তথ্য দিয়েছেন। শতকরা ৬৭ ভাগ মালিক জানান ঝড়ের পুর্বে তাদের কুকুরগুলো অদ্ভুত আচরণ প্রকাশ করে।
 
আর ৪৩ শতাংশ মালিক জানান খারাপ অবহাওয়ার অনেক আগে থেকেই তাদের কুকুর অদ্ভুত আচরণ করে। এমন পরিস্থিতে তারা চিৎকার করে, অস্তিরতা দেখায় এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে।
 
'''ঘামগ্রন্থী আছে থাবার মাঝে''':
কুকুরের ঘামগ্রন্থী থাকে তাদের পায়ের থাবায়। সেখান থেকে শরীরের অতিরিক্ত তাপ বের হয়ে যায়।{{https://m.daily-bangladesh.com/feature/28079}}
 
== তথ্যসূত্র ==