শেখ মুজিবুর রহমান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
→‎৭০-এর সাধারণ নির্বাচন: বানান ও অন্যান্য সংশোধন অউব্রা ব্যবহার করে
দ্ব্যর্থতা নিরসন পাতা থেকে সংযোগ অপসারণ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৮০ নং লাইন:
{{মূল|আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা}}
 
সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক হয়ে জেলে দুই বছর থাকার পর ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবসহ ৩৫ জন<ref group ="টীকা">আসামিরা সকলেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তারা হলেন–শেখ মুজিবুর রহমান, আহমেদ ফজলুর রহমান, সিএসপি, [[মোয়াজ্জেম হোসেন (লেফটেন্যান্ট কমান্ডার)|কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন]], [[স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান]], সাবেক এলএস সুলতানউদ্দীন আহমদ, এলএসসিডিআই নূর মোহাম্মদ, ফ্লাইট সার্জেন্ট মফিজ উল্লাহ, কর্পোরাল আবদুস সামাদ, সাবেক হাবিল দলিল উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস, সিএসপি, ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক, [[ভূপতি ভূষণ চৌধুরী|বিভূতি ভূষণ চৌধুরী (ওরফে মানিক চৌধুরী)]], বিধান কৃষ্ণ সেন, সুবেদার আবদুর রাজ্জাক, সাবেক কেরানি মুজিবুর রহমান, সাবেক ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. আব্দুর রাজ্জাক, [[জহুরুল হক|সার্জেন্ট জহুরুল হক]], এ. বি. খুরশীদ, খান মোহাম্মদ শামসুর রহমান, সিএসপি, একেএম শামসুল হক, হাবিলদার আজিজুল হক, মাহফুজুল বারী, সার্জেন্ট শামসুল হক, শামসুল আলম, ক্যাপ্টেন মো. আব্দুল মোতালেব, [[শওকত আলী (ডেপুটি স্পিকার)|ক্যাপ্টেন এ. শওকত আলী]], [[খন্দকার নাজমুল হুদা|ক্যাপ্টেন খোন্দকার নাজমুল হুদা]], [[এ. এন. এম. নূরুজ্জামান|ক্যাপ্টেন এ. এন. এম নূরুজ্জামান]], [[আবদুল জলিল (সার্জেন্ট)|সার্জেন্ট আবদুল জলিল]], [[মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী|মাহবুব উদ্দীন চৌধুরী]], লে. এম রহমান, সাবেক সুবেদার তাজুল ইসলাম, আলী রেজা, ক্যাপ্টেন খুরশীদ উদ্দীন এবং ল্যা. আবদুর রউফ।</ref> বাঙালি সামরিক ও সিএসপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে যা ইতিহাসে [[আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা]] নামে সুপরিচিত।<ref name="আগরতলা বাংলাপিডিয়া" /> ৬ই জানুয়ারি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ২ জন সিএসপি অফিসারসহ ২৮ জনকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।<ref group="টীকা">গ্রেফতার সম্পর্কে সরকারি প্রেসনোটে উল্লেখ করা হয় যে,
{{cquote|গত মাসে (অর্থাৎ ডিসেম্বর, ১৯৬৭) পূর্ব পাকিস্তানে উদঘাটিত জাতীয় স্বার্থবিরোধী এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।|}}</ref> তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এই ষড়যন্ত্রকে “আগরতলা ষড়যন্ত্র” নামে অভিহিত করে। এই অভিযোগে ১৮ই জানুয়ারি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শিরোনাম=আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথে গণঅভ্যুত্থান|ইউআরএল=https://www.channelionline.com/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%B7%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0/|তারিখ=৮ ডিসেম্বর ২০১৮|সংগ্রহের-তারিখ=১৪ ডিসেম্বর ২০২০|প্রকাশক=চ্যানেল আই অনলাইন}}</ref> মামলায় পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১২১ ও ১৩১ ধারা অনুসারে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, শেখ মুজিবসহ এই কর্মকর্তারা ভারতের [[ত্রিপুরা]] অঙ্গরাজ্যের অন্তর্গত [[আগরতলা]] শহরে ভারত সরকারের সাথে এক বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে।<ref name="REF" /> এতে শেখ মুজিবকে এক নম্বর আসামি করা হয় এবং পাকিস্তান বিভক্তিকরণ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অভিযুক্ত সকল আসামিকে [[ঢাকা সেনানিবাস|ঢাকা সেনানিবাসে]] অন্তরীণ করে রাখা হয়।
 
৩৩৭ নং লাইন:
=== জাতীয় রক্ষীবাহিনী ===
{{মূল|জাতীয় রক্ষীবাহিনী}}
শেখ মুজিবের ক্ষমতালাভের পরপরই [[জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)|জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের]] সশস্ত্র বিভাগ [[গণবাহিনী]] কর্তৃক সংগঠিত বামপন্থী বিদ্রোহীরা মার্ক্সবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/js-sees-debate-over-role-of-gono-bahini-31691 |শিরোনাম=JS sees debate over role of Gono Bahini |তারিখ=৪ জুলাই ২০১৪ |কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার |সংগ্রহের-তারিখ=৯ জুলাই ২০১৫ |ভাষা=ইংরেজি |অনূদিত-শিরোনাম=গণবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতীয় সংসদে বিতর্ক}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.thedailystar.net/politics/rizvi-now-blasts-inu-press-briefing-1240042 |শিরোনাম=Rizvi now blasts Inu at press briefing |তারিখ=১৫ জুন ২০১৬ |কর্ম=দ্য ডেইলি স্টার |সংগ্রহের-তারিখ=১২ জুলাই ২০১৬ |এজেন্সি=ইউএনবি |ভাষা=ইংরেজি |অনূদিত-শিরোনাম=এবার প্রেস ব্রিফিংয়ে ইনুকে এক হাত নিলেন রিজভী}}</ref> গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা রোধে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২৪শে জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার ''জাতীয় মিলিশিয়া'' গঠনের ব্যাপারে একটি আদেশ জারি করেন। এরপর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই ফেব্রুয়ারি ''জাতীয় রক্ষীবাহিনী'' গঠনের সরকারি আদেশ জারি করা হয়।<ref name="books.google_a">{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=zGIKAQAAIAAJ |শিরোনাম=Bangladesh: Jatiya Rakkhi Bahini Act |শেষাংশ=হোসেন |প্রথমাংশ=হামজা |শেষাংশ২=কামরুল ইসলাম |প্রথমাংশ২=এ টি এম |তারিখ=১৯৭৪ |ভাষা=ইংরেজি}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://press-files.anu.edu.au/downloads/press/p33231/pdf/ch0731.pdf |শিরোনাম=The military and democracy in Bangladesh |শেষাংশ=আহমেদ |প্রথমাংশ=ইমাজউদ্দিন |বছর=২০০৪ |প্রকাশক=অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রেস |অবস্থান=সিডনি |পাতাসমূহ=১০৮–১১০ |ভাষা=ইংরেজি}}</ref> রক্ষীবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল সেনাবাহিনীর এক-ষষ্ঠাংশ।<ref name="হ" /> শুরুর দিকে রক্ষীবাহিনী বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে অনেক অস্ত্রশস্ত্র, চোরাচালানের মালামাল উদ্ধার করে এবং মজুতদার ও কালোবাজারীদের কার্যকলাপ কিছুটা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু খুব শীঘ্রই ঐ বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হতে থাকে। এর কারণ রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড,<ref name="amardeshonline">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/15/63217 |তারিখ=১৬ জানুয়ারি ২০১১ |কর্ম=আমার দেশ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110117040756/http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/15/63217 |আর্কাইভের-তারিখ=১৭ জানুয়ারি ২০১১ |লিপির-শিরোনাম=রক্ষীবাহিনীর নৃশংসতা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছিল}}</ref><ref name=":3">{{বই উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=SpFaBwAAQBAJ&pg=PA30&lpg=PA30&dq=Rape+by+Rakkhi+Bahini&source=bl&ots=QvdtQTId08&sig=WCcy9LjLYd_NVR09Ae_MEtiX5UU&hl=en&sa=X&redir_esc=y#v=onepage&q=Rape%20by%20Rakkhi%20Bahini&f=false |শিরোনাম=Political Islam and Governance in Bangladesh |শেষাংশ=ফেয়ার |প্রথমাংশ=ক্রিস্টাইন সি |শেষাংশ২=রিয়াজ |প্রথমাংশ২=আলি |তারিখ=২০১০ |প্রকাশক=রুটলেজ |পাতাসমূহ=৩০–৩১ |আইএসবিএন=1136926240 |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ জুন ২০১৬}}</ref> গুম, গোলাগুলি,<ref name=":5">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.huffingtonpost.com/atif-choudhury/bangladesh-no-justice-wit_b_4455782.html |শিরোনাম=Bangladesh: Baptism By Fire |শেষাংশ=চৌধুরী |প্রথমাংশ=আতিফ |তারিখ=১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ |কর্ম=হাফিংটন পোস্ট |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ জুন ২০১৬}}</ref> এবং [[ধর্ষণ|ধর্ষণের]]<ref name=":3" /> সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। তাদের যথেচ্ছাচার নিয়ন্ত্রণ বা তাদের কার্যকলাপের জবাবদিহিতার আইনগত কোন ব্যবস্থা ছিল না। অপরাধ স্বীকার করানোর জন্য গ্রেফতারকৃত লোকদের প্রতি অত্যাচার, লুটপাট এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়। রক্ষীবাহিনীর সদস্যদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ন্যায় জলপাই রঙের পোশাক এবং বাহিনী গঠন ও প্রশিক্ষণে ভারতের সহায়তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
 
গণঅসন্তোষ সত্ত্বেও মুজিব সরকার ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই অক্টোবর “জাতীয় রক্ষীবাহিনী (সংশোধনী) অধ্যাদেশ-১৯৭৩” জারি করে রক্ষীবাহিনীর সকল কার্যকলাপ আইনসঙ্গত বলে ঘোষণা করেন।<ref name="Human Rights Watch">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.hrw.org/sites/default/files/reports/bangladesh0509webwcover.pdf |শিরোনাম=Ignoring Executions and Torture : Impunity for Bangladesh's Security Forces |তারিখ=১৮ মার্চ ২০০৯ |ওয়েবসাইট=হিউম্যান রাউটস ওয়াচ |ভাষা=ইংরেজি |অনূদিত-শিরোনাম=উপেক্ষিত মৃত্যুদণ্ড ও নির্যাতন: বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর অব্যাহতি |সংগ্রহের-তারিখ=১৬ আগস্ট ২০১৩}}</ref> এতে জনগণের মধ্যে মুজিব সরকারের প্রতি সুপ্ত ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে। সেইসাথে রক্ষীবাহিনীর বিভিন্ন অনাচারের কারণে জনগণের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়।<ref name="Moudud">{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বাংলাদেশ, এরা অব শেখ মুজিবুর রহমান |শেষাংশ=আহমেদ |প্রথমাংশ=মওদুদ |তারিখ=২০১৫ |প্রকাশক=দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড |অবস্থান=ঢাকা |পাতা=৬৯ |প্রকৃত-বছর=প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৩ |আইএসবিএন=978-984-506-226-8}}</ref> রক্ষীবাহিনীকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া এবং সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর অভিযোগে সেনাবাহিনীর একাংশের মধ্যেও সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম=রক্ষীবাহিনীর সত্য-মিথ্যা |শেষাংশ=আলম |প্রথমাংশ=আনোয়ার উল |লেখক-সংযোগ=আনোয়ার উল আলম |প্রকাশক=প্রথমা প্রকাশন |আইএসবিএন=9789849025399}}</ref>