সোহরাওয়ার্দী উদ্যান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ, চিত্র, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
২টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8.1
১৪ নং লাইন:
১৮২৫ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার ব্রিটিশ কালেক্টর মি. ডয়েস ঢাকা নগরীর উন্নয়নকল্পে কতগুলি বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং তখন থেকেই ঢাকা আবার তার পুরানো গৌরব ফিরে পেতে শুরু করে। ঐ সময় কালেক্টর ডয়েস [[রমনা কালী মন্দির|কালী মন্দির]] ছাড়া অন্যান্য বেশির ভাগ পুরানো স্থাপনা সরিয়ে ফেলেন এবং জঙ্গল পরিষ্কার করে রমনাকে একটি পরিচ্ছন্ন এলাকার রূপ দেন। পুরানো হাইকোর্ট ভবনের পশ্চিমে বর্তমানে অবস্থিত মসজিদ এবং সমাধিগুলি তিনি অক্ষত রাখেন। পুরো এলাকাটি পরিষ্কার করে তিনি এর নাম দেন রমনা গ্রীন এবং এলাকাটিকে রেসকোর্স হিসেবে ব্যবহারের জন্য কাঠের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেন। রমনা রেসকোর্সের মাঝখানে একটি কালী মন্দির ছিল। এটি ছিল দশনামী গোত্রের হিন্দুদের কালী মন্দির। মনে করা হয় যে, নেপাল থেকে আগত দেবী কালীর একজন ভক্ত এই মন্দির নির্মাণ করেন। ঢাকা শহরের অন্যতম পুরানো এবং বনেদি এই কালী মন্দিরটি পরে ভাওয়ালের রানী বিলাসমণি দেবী সংস্কার ও উন্নয়ন করেন।
[[File:Race-course-dhaka-1890.jpg|thumb|১৮৯০ সালে রমনা রেসকোর্স ময়দান]]
[[নাজির হোসেন]] ''কিংবদন্তির ঢাকা'' গ্রন্থে লিখেছেন, "ব্রিটিশ আমলে রমনা ময়দানটি ঘোড়দৌড়ের জন্য বিখ্যাত ছিল। প্রতি শনিবার হতো ঘোড়দৌড়। এটা ছিল একই সঙ্গে ব্রিটিশ শাসক ও সর্বস্তরের মানুষের চিত্তবিনোদনের একটি স্থান। [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদের এক বিবরণ থেকে জানা যায়, চার্লস ডজ রমনায় রেসকোর্স বা ঘোড়দৌড়ের মাঠ নির্মাণ করেন। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ঢাকার খ্যাতনামা আলেম মুফতি দীন মহম্মদ এক মাহফিল থেকে ঘৌড়দৌড়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। এ কারণে সরকার ১৯৪৯ সালে ঘৌড়দৌড় বন্ধ করে দেয়। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর জাতীয় নেতা [[হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী|হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর]] নামানুসারে রমনা রেসকোর্স ময়দানের নাম পরিবর্তন করতঃ "সোহরাওয়ার্দী উদ্যান" রাখা হয়। <ref name="প্রথম আলো দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/news/5587|শিরোনাম=- প্রথম আলো|কর্ম=prothom-alo.com|সংগ্রহের-তারিখ=১২ জানুয়ারি ২০১৪|আর্কাইভের-তারিখ=২১ এপ্রিল ২০১৪|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140421083856/http://archive.prothom-alo.com/detail/news/5587|ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর}}</ref> ১৯৭০ দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে এখানে প্রচুর গাছ-গাছালি রোপণ করা হয়েছে। বর্তমানে ফাঁকা জায়গা তুলনামূলকভাবে কম। যদিও ছোটোখাটো বৈশাখী মেলা জাতীয় অনুষ্ঠানের পরিসর এখনো আছে কিন্তু কোনরূপ জনসভা করার অবকাশ আর নেই। এটি সময় কাটানো, হাঁটাহাটিঁ প্রভৃতির জন্য উপযুক্ত।
 
ঢাকার নওয়াবদের আনুকূল্যে একসময় ঘোড়দৌড় ঢাকায় খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রাবাস মহসীন হলের উত্তরপাশে নওয়াবদের ঘোড়ার আস্তাবল কিছুদিন আগেও ছিল অক্ষত। ঢাকার নওয়াবগণ রেসকোর্স এলাকাটির উন্নয়ন সাধন করেন এবং এলাকায় একটি সুন্দর বাগান তৈরি করে তার নাম দেন শাহবাগ বা রাজকীয় বাগান। নওয়াবগণ এলাকাতে একটি চিড়িয়াখানাও স্থাপন করেছিলেন। ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে রেসকোর্সের উত্তর কোণে ব্রিটিশ আমলারা ঢাকা ক্লাব স্থাপন করেন। পরে ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের শাসনামলে বঙ্গভঙ্গের সময় পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে নবগঠিত প্রদেশের গভর্নরের সরকারি বাসভবন স্থাপনের জন্যও রমনা এলাকাকে নির্বাচন করা হয়। এই গভর্নমেন্ট হাউজ পরে হাইকোর্ট ভবনে (পুরাতন) রূপান্তরিত হয়। গভর্নমেন্ট হাউজের পাশে মিন্টো রোড এলাকায় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং হাইকোর্টের বিচারকদের বসবাসের জন্য বেশ কিছু সুন্দর ও উন্নতমানের ভবন তৈরি করা হয়। বৃহত্তর রমনা এলাকায় ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে এলাকাটির গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়।
৩১ নং লাইন:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংক্রান্ত যেসব ঐতিহাসিক ঘটনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলিকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে এখানে ‘শিখা চিরন্তন’ স্থাপন করা হয়েছে এবং একইসাথে তার পাশেই যেখানে পাকিস্তানি সেনাগণ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছিল সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে স্বাধীনতা টাওয়ার।
 
১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে [[আওয়ামী লীগ]] ক্ষমতায় এলে এখানে [[স্বাধীনতা স্তম্ভ]] ও [[শিখা চিরন্তন]] নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রকল্পের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ [[জনতার দেয়াল]] নামে ২৭৩ ফুট দীর্ঘ একটি দেয়ালচিত্র। এটি ইতিহাসভিত্তিক [[টেরাকোটা|টেরাকোটার]] পৃথিবীর দীর্ঘতম ম্যুরাল। এর বিষয়বস্তু ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খনন করা হয়েছে একটি কৃত্রিম জলাশয় বা লেক। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে [[চারদলীয় জোট সরকার]]-এর শাসনামলে আমলে উদ্যানের ভেতর [[ঢাকা জেলা|ঢাকা জেলার]] শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সংবলিত একটি স্থাপনা তৈরি করা হয়।<ref name="প্রথম আলো দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ"/> জনতার দেয়াল টেরাকোটা ম্যুরালের নিচের অংশে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে [[স্বাধীনতা জাদুঘর]]।<ref>[https://www.thedailystar.net/bangla/anandadhara/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%B0-79024 স্বাধীনতা জাদুঘর, ডেইলি স্টার, ২৩ মার্চ ২০১৭]</ref> এখানে দেশের বৃহত্তম মুক্তমঞ্চ অবস্থিত, যেটি ২০১১ সালের ৭ মার্চ থেকে বিভিন্ন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। <ref>[{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-06-16/news/162658 |শিরোনাম=মুক্তমঞ্চের যাত্রা শুরু, প্রথম আলো, ১৬ জুন ২০১১] |সংগ্রহের-তারিখ=২০২০-১০-০২ |আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-১০-০৮ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201008050444/http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-06-16/news/162658 |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref>
 
===স্বাধীনতা জাদুঘর===