বাংলাদেশের পর্যটন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.8.1
১৪৩ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ|বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর}}
[[চিত্র:Varendra Arabic Script Stone.jpg|thumb|left|170px|রাজশাহী বরেন্দ্র জাদুঘরে রক্ষিত আরবী ক্যালিগ্রাফির শিলালিপি]]
'''বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর''' রাজশাহী শহরে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এটি প্রত্ন সংগ্রহে সমৃদ্ধ। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল= http://www.amaderrajshahi.com/gallery/index.php?s=3&photo_id=18 |শিরোনাম=All about Rajshahi |কর্ম=amaderrajshahi.com|সংগ্রহের-তারিখ=20 October 2010}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.dcrajshahi.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=92&Itemid=60 |শিরোনাম=জেলা প্রশাসনের পটভূমি |কর্ম=dcrajshahi.gov.bd |সংগ্রহের-তারিখ=20 October 2010 |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20101026022137/http://www.dcrajshahi.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=92&Itemid=60 |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ অক্টোবর ২০১০ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-05-06/news/61178 |শিরোনাম=শতবর্ষে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর |কর্ম=prothom-alo.com |সংগ্রহের-তারিখ=20 October 2010 |আর্কাইভের-তারিখ=৬ জুলাই ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170706102829/http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-05-06/news/61178 |ইউআরএল-অবস্থা=অকার্যকর }}</ref> বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর [[রাজশাহী]] মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। এটি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্র এবং রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আবদান রয়েছে। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন। এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করার জন্য শরৎ কুমার রায়ের দান করা জমিতে জাদুঘরটির নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। একই বছরের ১৩ নভেম্বর বাংলার তৎকালীন গভর্নর [[কারমাইকেল]] জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে [[কলকাতা জাদুঘর]] অকস্মাৎ এতে সংরক্ষিত সকল নিদর্শন দাবি করে বসে। তৎকালীন গভর্নর কারমাইকেলের প্রচেষ্টায় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে জারীকৃত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরেন্দ্র জাদুঘরকে এর নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যপারে স্বাধিকার প্রদান করা হয়
বরেন্দ্র জাদুঘরের সংগ্রহ সংখ্যা ৯ হাজারেরও অধিক। এখানে হাজার বছর আগের [[সিন্ধু সভ্যতা|সিন্ধু সভ্যতার]] নিদর্শন রয়েছে। [[মহেনজোদারো সভ্যতা]] থেকে সংগৃহীত প্রত্নতত্ত, পাথরের মূর্তি, খিষ্ট্রীয় একাদশ শতকে নির্মিত বুদ্ধু মূর্তি, ভৈরবের মাথা, গঙ্গা মূর্তি সহ অসংখ্য মূর্তি এই জাদুঘরের অমূল্য সংগ্রহের অন্তর্ভুত। [[মোঘল আমলের]] রৌপ্র মুদ্রা, গুপ্ত সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গোলাকার স্বর্ণমুদ্রা, সম্রাট শাহজাহানের গোলাকার রৌপ্য মুদ্রা বিশেষ ভাবে উল্যেখয়োগ্য। এখানে প্রায় ৫০০০ পুঁথি রয়েছে যার মধ্যে ৩৬৪৬টি সংস্কৃত আর বাকিগুলো বাংলায় রচিত। পাল যুগ থেকে মুসলিম যুগ পযর্ন্ত সময় পরিধিতে অঙ্কিত চিত্রকর্ম, নূরজাহানের পিতা ইমাদ উদ দৌলার অঙ্কিত চিত্র এখানে রয়েছে। নওগাঁর '''পাহাড়পুর''' থেকে উদ্ধারকৃত ২৫৬টি ঐতিহাসিক সামগ্রী রয়েছে।