সুরজিৎচন্দ্র সিনহা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Surajit Chandra Sinha" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে ট্যাগ: দ্ব্যর্থতা নিরসন পাতায় সংযোগ বিষয়বস্তুঅনুবাদ বিষয়বস্তুঅনুবাদ২ |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| name = Surajit Chandra Sinha
১৮ ⟶ ১৭ নং লাইন:
== জন্ম ও পারিবারিক পরিচয় ==
সুরজিৎচন্দ্র সিংহের জন্ম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১লা আগস্ট অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের [[দুর্গাপুর উপজেলা, নেত্রকোণা|দুর্গাপুর উপজেলার]] সুসং দুর্গাপুরের জমিদার বাড়িতে। পিতা ছিলেন সুসং-এর মহারাজা ভূপেন্দ্রচন্দ্র সিংহ এবং মাতা পাবনা জেলার [[শীতলাই রাজবাড়ি|শীতলাইয়ের জমিদার]] যোগেন্দ্রনাথ মৈত্রর কন্যা প্রতিভা দেবী। পিতা কলকাতার [[প্রেসিডেন্সি কলেজ| প্রেসিডেন্সি কলেজের]] ছাত্র এবং বিখ্যাত ভূদৃশ্য চিত্রশিল্পী ছিলেন। তাঁর মাতুল বংশের উদ্ভব সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে ঘটেছিল। সুরজিৎচন্দ্রের কনিষ্ঠ ভগিনী ছিলেন বিশিষ্ট [[রবীন্দ্রসঙ্গীত]] [[পূর্বা দাম|শিল্পী পূর্বা দাম]]।
তাঁর ঘনিষ্ঠ পিতৃব্য প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা "জীবন সংগ্রাম"-এর রচয়িতা মহারাজ কুমার [[মণি সিংহ]] পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হন। তরুণ বয়সে তিনি তাঁর পিতৃব্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতেন। তাঁর মামা শীতলাই জমিদার পরিবারের কুমার [[জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র]] (ডাকনাম ছিল বটুকদা) ছিলেন একজন বিশিষ্ট [[রবীন্দ্রসঙ্গীত]] শিল্পী। তিনি কলকাতার [[পাঠ ভবন| পাঠ ভবন বিদ্যালয়ের]] সঙ্গীত - 'আমাদের পাঠভবনে' রচনা
▲তাঁর ঘনিষ্ঠ পিতৃব্য প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা "জীবন সংগ্রাম"-এর রচয়িতা মহারাজ কুমার [[মণি সিংহ]] পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হন। তরুণ বয়সে তিনি তাঁর পিতৃব্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতেন। তাঁর মামা শীতলাই জমিদার পরিবারের কুমার [[জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র]] (ডাকনাম ছিল বটুকদা) ছিলেন একজন বিশিষ্ট [[রবীন্দ্রসঙ্গীত]] শিল্পী। তিনি কলকাতার [[পাঠ ভবন| পাঠ ভবন বিদ্যালয়ের]] সঙ্গীত - 'আমাদের পাঠভবনে' রচনা করেন
সুরজিৎচন্দ্র সিংহ বিখ্যাত আইনজীবী ও বাঙালি ঔপন্যাসিক [[নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত|নরেশচন্দ্র সেনগুপ্তর]] কন্যা পদার্থবিদ, লেখক ও সঙ্গীতজ্ঞ [[পূর্ণিমা সিনহা|ড. পূর্ণিমা কে]] বিবাহ করেন।
২৭ ⟶ ২৬ নং লাইন:
সুরজিৎ-এর পড়াশোনা শুরু হয় ময়মনসিংহের এক হাই স্কুলে এবং তারপর কলকাতার [[বালিগঞ্জ রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়| বালিগঞ্জ রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে]]। এরপর তিনি পদার্থবিদ্যা অনার্স নিয়ে ভরতি হন কলকাতার [[প্রেসিডেন্সি কলেজ| প্রেসিডেন্সি কলেজে]]। কিন্তু বিষয় পরিবর্তন করে ভূতত্ত্বে [[স্নাতক উপাধি| স্নাতক]] হন ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে। ভূতত্ত্ব অনুশীলনে পাথর সন্ধানের পথে সাঁওতালদের নাচ দেখে আকৃষ্ট হন নৃতত্ত্বে। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়| কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] এম-এসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। <ref name="সংসদ"></ref>
<ref>[https://www.academia.edu/37045882/Historical_Anthropology_of_Surajit_Sinha_by_Anjan_Ghosh_Published_in_JIAS_ Historical Anthropology of Surajit Sinha by Anjan Ghosh]. JIAS.</ref> নৃতত্ত্বচর্চার পথে বিশিষ্ট নৃবিজ্ঞানী [[নির্মলকুমার বসু| অধ্যাপক নির্মলকুমার বসু]] ছিলেন তাঁর প্রধান অনুপ্রেরণা। প্রসঙ্গত সুরজিৎ-এর এম. এসসির মৌখিক বিষয়ের পরীক্ষক ছিলেন অধ্যাপক বসু। পরে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে সুরজিৎ [[ফুলব্রাইট বৃত্তি]] নিয়ে [[যুক্তরাষ্ট্র| আমেরিকার নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। সুরজিৎ [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়| কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] তারকচন্দ্র দাসের অধীনে সামাজিক নৃতাত্ত্বিক ক্ষেত্রের কাজে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৫০-৫৩ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন [[বিহার]] বর্তমানে [[ঝাড়খণ্ড]] রাজ্যের মানভূম অঞ্চলে ভূমিজ আদিবাসীদের পার্শ্ববর্তী হিন্দুসমাজের সংস্পর্শে হিন্দু সংস্কৃতিতে সমন্বয়ের ক্রমবিবর্তন অনুশীলন ও বিশ্লেষণ করেন। এটি তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভে সহায়ক হয়েছিল।
== কর্মজীবন ==
ড. সিনহা কলকাতার
সুরজিৎচন্দ্র সিনহা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্ব বিষয়ে ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। [[যুক্তরাষ্ট্র|
[[যুক্তরাষ্ট্র| যুক্তরাষ্ট্রে]] অবস্থান কালে ১৯৬১-৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি শিকাগো ও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। শেষ বছরে ক্যালিফোর্নিয়ার বিহেভিয়রল সায়েন্সের অ্যাডভান্সড সেন্টারের ফেলো ছিলেন। তিন মাস তিনি [[যুক্তরাষ্ট্র| যুক্তরাষ্ট্রের]] এক ছোট শহরে বাস করে মার্কিনি সমৃদ্ধ-জীবনে ধর্মচর্চার প্রকৃতি অনুসন্ধান করে নিবন্ধ লেখেন ''রিলিজিয়ন ইন অ্যান অ্যাফ্লুয়েন্ট সোসাইটি''।<ref>{{Cite journal|url=https://www.academia.edu/4079623|title=Religion in an affluent society|last=Sinha|first=Surajit|date=April 1966|pages=189–195|doi=10.1086/200693|jstor=2740027|journal=Current Anthropology|volume=7|issue=2|s2cid=143485789}}</ref>রচনাটি আমেরিকাতে স্কুলপাঠ্য হয়েছিল।<ref name="সংসদ"></ref>
ভারতীয় নৃবিজ্ঞানে সুরজিৎ সিনহার আসল অবদান 'মধ্য ভারতে উপজাতি-জাতি ও উপজাতি-কৃষক কন্টিনুয়া' (1965), 'উপজাতীয় মধ্য ভারতে রাজ্য গঠন ও রাজপুত মিথ' (1962) এবং 'ভূমিজ-ক্ষত্রিয়' প্রবন্ধে পাওয়া যাবে। দক্ষিণ মানভূমের সামাজিক আন্দোলন (১9৫9) যেখানে তিনি উপজাতি ও জাতকে পৃথক এবং বিচ্ছিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শ্রেণী হিসেবে নয় বরং বৃহত্তর ভারতীয় সভ্যতার অংশ হিসেবে একটি বিবর্তনমূলক পরিকল্পনায় দেখেছিলেন যার অধীনে ভারতে প্রাথমিক রাজ্যগুলি গঠিত হয়েছিল। সিনহা ছিলেন মূলত ভারতের একজন অগ্রণী
== মতামত ==
ড. সিনহা
<ref>{{Cite journal|url=https://www.academia.edu/4138120|title=India: A Western apprentice|last=Sinha|first=Surajit|pages=275–282|language=en|journal=Ancestors and Heirs}}</ref><ref>{{Cite journal|url=https://www.academia.edu/4160269|title=In there an Indian tradition in Social/Cultural Anthropology: Retrospect and Prospects by Surajit Sinha|last=Guha|first=Abhijit|year=1971|pages=1–14|journal=Journal of the Indian Anthropological Society|volume=6}}</ref><nowiki><ref></nowiki>{{Cite web|url=https://www.researchgate.net/publication/326610224|title=How Surajit Sinha viewed Indian Anthropology? Strengths and Limitations|website=ResearchGate|language=en|access-date=2021-07-20}}<nowiki></ref></nowiki>তাঁর তত্ত্বাবধানে গবেষক ছাত্রদের বিষয়বস্তু কালীঘাটের ভিখারি, মেথর, বস্তি থেকে লোকসঙ্গীত ও নৃত্য, বিজ্ঞানগোষ্ঠী, কাশীর সাধু পণ্ডিত সম্প্রদায় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি প্রথাগত পশ্চিমিধারার অনুকরণে আদিবাসীদের একটি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীরূপে গণ্য না করে, তাদের ভারতীয় সভ্যতায় অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত একসূত্রে গাঁথা প্রতিপন্ন করেছেন। ভারতীয় সভ্যতার শক্তি উৎস সন্ধান এবং তার পুনর্গঠনে তিনি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। সেই মত [[বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়| বিশ্বভারতীর]] উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে সব বিভাগের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের রাঢ় অঞ্চলের সাংস্কৃতিক নানা দিক অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হন। বিশেষজ্ঞদের দেশ-বিদেশ থেকে আমন্ত্রণ করে এনে নতুন উদ্দীপনা সঞ্চার করে নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেছেন। আইসিসিএসআর -এর কলকাতা সোশ্যাল সায়েন্স স্টাডিজ সেন্টারের অধ্যাপক-অধ্যক্ষরূপে অনুরূপ গবেষণার তত্ত্বাবধান অব্যাহত রেখেছিলেন।<ref name="সংসদ"></ref>
৪৬ ⟶ ৪৫ নং লাইন:
তিনি ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত হন। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ৭৫ বৎসর বয়সে শান্তিনিকেতনে প্রয়াত হন।
== প্রকাশিত
* ''সায়েন্স, টেকনোলজি, অ্যান্ড কালচার : এ স্টাডি অফ দ্য কালচারাল ট্র্যাডিশন্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউশন্স অফ ইন্ডিয়া অ্যান্ড সিলোন ইন রিলেশন টু সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি<nowiki>''</nowiki>''
|