বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
+ref
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
ফিক্স
১৭ নং লাইন:
বান্ধব, বিশিষ্ট, আজীবন, সহায়ক ও সাধারণ পরিষদে এই পঁাচ ধরনের সদস্যপদ রয়েছে। যেকোন ব্যক্তি পরিষদের সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন।
==গবেষণা==
বাংলা ভাষায় নানা বিষয়ের গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতা করে পরিষদ বিদ্বৎসমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। সংস্কৃত, আরবি ও ইংরেজি ভাষা হতে বহু গ্রন্থ অনুবাদ ও প্রকাশ করা এবং দুষ্পাপ্য বাংলা গ্রন্থ, সাহিত্য ও গবেষণা নিয়মিত পুস্তকাকারে প্রকাশ করা পরিষদের অন্যতম প্রধান কাজ। পরিষদের প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির বাংলা শব্দকোষ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, সংবাদপত্রে সেকালের কথা ও সাহিত্যসাধক চরিতমালা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।<ref name="Banglapedia"/>যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী ও রজনীকান্ত গুপ্তের বিশেষ আগ্রহে প্রাচীন বাংলা ও সংস্কৃত পুথি সংগ্রহের যে চেষ্টা নেওয়া হয়েছিল, তারই ফল হিসেবে পরিষদ গ্রন্থাগারেতে বর্তমানে পুথির সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের একমাত্র পুথি পরিষদে সংরক্ষিত।
 
==অবদান==
বাংলা ভাষায় নানা বিষয়ের গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতা করে পরিষদ বিদ্বৎসমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। সংস্কৃত, আরবি ও ইংরেজি ভাষা হতে বহু গ্রন্থ অনুবাদ ও প্রকাশ করা এবং দুষ্পাপ্য বাংলা গ্রন্থ, সাহিত্য ও গবেষণা নিয়মিত পুস্তকাকারে প্রকাশ করা পরিষদের অন্যতম প্রধান কাজ। পরিষদের প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির বাংলা শব্দকোষ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, সংবাদপত্রে সেকালের কথা ও সাহিত্যসাধক চরিতমালা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।<ref name="Banglapedia"/>
 
গবেষণা কাজ ছাড়াও পরিষদ আরও কিছু বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল। প্রাচীন মুদ্রা, প্রস্তরমূর্তি, ধাতুমূর্তি, তাম্রশাসন, প্রাচীন চিত্র, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের ব্যবহূত দ্রব্যাদি, হস্তলিপি পত্র ও দানপত্রাদি, প্রাচীন অস্ত্রশস্ত্র, পাণ্ডুলিপি (বিখ্যাত লেখকের রচনা) ও প্রাচীন দলিল প্রভৃতি বিভাগসমৃদ্ধ একটি চিত্রশালাও গঠন করা হয়েছে। বহু বছরের চেষ্টার ফলে পরিষদ একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে রয়েছে বেশ কিছু দুর্লভ প্রাচীন পুস্তক। পরিষদের নিজস্ব সঞ্চয়, উপহার প্রাপ্ত ও দানলব্ধ পুস্তকাদি ছাড়া [[ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]] , রমেশচন্দ্র দত্ত, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, [[বিনয়কৃষ্ণ দেব]], [[ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[প্রেমসুন্দর বসু]] ও যতীন্দ্রনাথ পালের সাতটি মূল্যবান গ্রন্থ সংগ্রহ পরিষদ গ্রন্থাগারের অঙ্গীভূত হওয়ায় এটি হয়ে উঠেছে আরও সমৃদ্ধ। গ্রন্থাগারে পুস্তকের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ।
গ্রন্থ প্রকাশ, পদক ও পুরস্কার দান, দুস্থ সাহিত্যিক ভাণ্ডার গঠন প্রভৃতি সদনুষ্ঠানে সহায়তা করার জন্য অনেক মহানুভব ব্যক্তি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে গচ্ছিত তহবিল স্থাপন করেছেন। [[পুলিনবিহারী দত্ত]] কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দুস্থ সাহিত্যিক ভাণ্ডারের আয় হতে বহু দুস্থ সাহিত্যিক পরিবারকে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।<ref name="Banglapedia"/>
 
যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী ও রজনীকান্ত গুপ্তের বিশেষ আগ্রহে প্রাচীন বাংলা ও সংস্কৃত পুথি সংগ্রহের যে চেষ্টা নেওয়া হয়েছিল, তারই ফল হিসেবে পরিষদ লাইবে্ররিতে বর্তমানে পুথির সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের একমাত্র পুথি পরিষদে সংরক্ষিত।
 
গ্রন্থ প্রকাশ, পদক ও পুরস্কার দান, দুস্থ সাহিত্যিক ভাণ্ডার গঠন প্রভৃতি সদনুষ্ঠানে সহায়তা করার জন্য অনেক মহানুভব ব্যক্তি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে গচ্ছিত তহবিল স্থাপন করেছেন। পুলিনবিহারী দত্ত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দুস্থ সাহিত্যিক ভাণ্ডারের আয় হতে বহু দুস্থ সাহিত্যিক পরিবারকে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে।<ref name="Banglapedia"/>