চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎বর্ণনা: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
58.145.187.225-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Sojol Rana-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৬১ নং লাইন:
দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার [[চন্দ্র রাজবংশ|চন্দ্রবংশীয়]] রাজা [[শ্রীচন্দ্র]] ৯৩৫ সালে চন্দ্রপুর শাসনে [[সিলেট বিভাগ|শ্রীহট্ট]] মণ্ডলের চন্দ্রপুর বিষয়ে ভূমি বণ্টনের মাধ্যমে নয়টি মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা সম্মিলিতভাবে একক বিদ্যায়তন বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল।<ref name="টিডিএস১"/>
 
চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট নয়টি মঠ ছিল। এর মধ্যে একটি ব্রহ্মপুর বা শ্রীচন্দ্রপুর মঠ (এখানে দেবতা [[ব্রহ্মা]]র উপাসনা করা হতো), চারটিওচারটি বাঙ্গাল (তাম্রশাসনে স্থানীয়দের বাঙ্গাল বলা হয়েছে) ও চারটি দেশান্তরীয় মঠ (বহিরাগত বা বিদেশী)।<ref name="সমকাল২"/> এই মঠগুলোতে মূলত [[বেদ|চতুর্বেদ]] অনুশীলন করা হতো।<ref name="টিডিএস১"/> তবে [[চন্দ্রগোমী]]র ব্যাকরণও এসব মঠে পাঠদান করা হতো। প্রথম মঠের উপাধ্যায় প্রতিবদ্ধ চন্দ্র চন্দ্রগোমী বা চান্দ্র ব্যাকরণে পণ্ডিত ছিলেন বলে ঐতিহাসিকেরা ধারণা করেন।<ref name="টিডিএস১"/> এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে [[বেদ|চতুর্বেদ]], [[হিন্দুশাস্ত্র]]বিদ্যা, [[চাণক্য|কৌটিল্যের]] ''[[অর্থশাস্ত্র (গ্রন্থ)|অর্থশাস্ত্র]]'',<ref name="জনতা">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Janata Bank Journal of Money, Finance and Development|ভাষা=ইংরেজি|প্রকাশক=জনতা ব্যাংক|তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=১৮ নভেম্বর ২০২০|ইউআরএল=https://www.jb.com.bd/includes/pdf/Vol_4_Num_1_june_2017.pdf|বিন্যাস=পিডিএফ|পৃষ্ঠা=৫৪}}</ref> হেতুবিদ্যা, [[চিকিৎসাশাস্ত্র|চিকিৎসাশাস্ত্র]], [[জ্যোতিষবিদ্যা]], [[শল্যচিকিৎসা|শল্যবিদ্যা]], [[ধাতু]]বিদ্যা, [[শব্দ]]বিদ্যা ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হতো।<ref name="সমকাল২"/><ref name="ডিটি১"/><ref name="কালের কণ্ঠ২"/> বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ আবাসিক ছিল এবং শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করত।<ref name="সমকাল২"/>
 
ইতিহাসবিদ কমলাকান্ত গুপ্ত রচিত "''কপার-প্লেটস অব সিলেট''" গ্রন্থ এবং [[দীনেশচন্দ্র সরকার]] সম্পাদিত "''Select Inscription: Bearing on Indian History and Civilization''" বইয়ে পশ্চিমভাগ শাসনের বিষয়বস্তুর বর্ণনায় বলা হয়েছে, চন্দ্রপুর বিষয়ের (জেলার মতো প্রশাসনিক বিভাগ) প্রথম ১২০ পাটক ভূমি চন্দ্রপুর বা ব্রহ্মপুর মঠে দান করা হয়, যার মধ্যে ১০ পাটক "প্রতিবদ্ধ চন্দ্র" নামক একজন উপাধ্যায়কে (অধ্যাপক বা শিক্ষক) প্রদান করা হয়।<ref name="টিডিএস১"/> ভূমির বাকি অংশ ১০ জন ছাত্র, পাঁচজন অপূর্ণ ব্রাহ্মণের প্রাত্যহিক আহার, রন্ধন কাজে নিযুক্ত একজন ব্রাহ্মণ, গণক, কায়স্থ বা লেখক, চারজন মালাকার, দুইজন তৈলিক, দুইজন কুম্ভকার, পাঁচজন কাহলিক, দুইজন শঙ্খবাদক, দুইজন ঢঙ্কাবাদক, আটজন দ্রাগঢ়িক, ২২ জন কর্মকার বা মজুর, চর্মকার, একজন নট, দুইজন সূত্রধর, দুইজন স্থপতি, দুইজন কর্মকার বা কামার। এছাড়া অন্যান্য নয়টি কাজের জন্য আরও ৪৭ পাটক ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে।<ref name="টিডিএস১"/> এরপর আরও ২৮০ পাটক ভূমি বাকি আটটি মঠে দান করা হয়।<ref name="সমকাল২"/> বিশ্ববিদ্যালয়টি নির্মাণশৈলী ও কারুকার্যে সুশোভিত ও মনোরম ছিল।<ref name="সমকাল২"/>