উপসর্গ (ব্যাকরণ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2409:4061:2080:12CB:6AEA:8B75:6C3C:1055 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 4960111 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{বাংলা ব্যাকরণ}}
‘উপসর্গ’'''উপসর্গ''' কথাটিরহলো মূলকিছু অর্থঅর্থহীন শব্দাংশ, যেগুলি অন্য শব্দের শুরুতে বসে নতুন [[শব্দ]] গঠন ‘উপসৃষ্ট’।করে। এর কাজ হলো নতুন নতুন শব্দ গঠন করা। উপসর্গের নিজস্ব কোনকোনো অর্থ নেই, তবে এগুলো অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে থাকে। মনে রাখতে হবে, '''উপসর্গ''' সব সময় মূল শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়।<ref name=nb>বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ২০২১ শিক্ষাবর্ষ, [[জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড]], [[ঢাকা]], [[বাংলাদেশ]]</ref>
 
উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই; কিন্তু নতুন নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরিতে উপসর্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বলা হয়{{who}} - "উপসর্গের অর্থ নেই, কিন্তু অর্থের দ্যোতনা তৈরি করার ক্ষমতা আছে।"<ref name=nb/> এভাবেই মূলত উপসর্গের সাহায্যে নতুন নতুন শব্দ গঠিত হয়।
‘তাপ’ (বিশেষ্য পদ) তৎসম পদ। ‘তাপ’ অর্থ উষ্ণতা বা উত্তাপ। এর পূর্বে ‘প্র’ বা ‘অনু’ যুক্ত হয়ে যথাক্রমে প্রতাপ (প্র+তাপ) যার অর্থ পরাক্রান্ত বা বীরত্ব। অনুতাপ (অনু+ তাপ) যার অর্থ অনুশোচনা বা আফসোস ইত্যাদি নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে এবং ‘তাপ’ শব্দের অর্থের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আবার ‘প্র’ বা ‘অনু’ এর নিজস্ব কোন অর্থ নেই বা এগুলো স্বাধীনভাবে কোন বাক্যেও ব্যবহৃত হতে পারে না। তাই ভাষাবিদগণ এরূপ অব্যয়সূচক শব্দ বা শব্দাংশের নাম দিয়েছেন 'উপসর্গ'। যেমন- ‘হার’ একটি শব্দ। এর সাথে উপ, আ, প্র, বি উপসর্গ যুক্ত হয়ে যথাক্রমে উপহার, আহার, প্রহার, বিহার শব্দ গঠিত হয়েছে। এভাবে উপসর্গের সাহায্যে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে বাংলা ভাষার শব্দ সম্ভার সমৃদ্ধি লাভ করেছে। অতএব, '''কতকগুলো অব্যয় নামবাচক বা কৃদান্ত শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে এবং অর্থের পরির্বতন সাধন করে, এগুলোকে উপসর্গ বলে।'''
 
== সংজ্ঞা ==
[[সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়|ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের]] মতে, “সংস্কৃতে কতগুলো অব্যয় শব্দ আছে, এগুলো ধাতুর পূর্বে বসে এবং ধাতুর মূল ক্রিয়ার গতি নির্দেশ করে এর অর্থের প্রসারণ, সঙ্কোচন বা অন্য পরিবর্তন আনয়ন করে দেয়। এরূপ অব্যয় শব্দকে উপসর্গ বলে।”
‘উপসর্গ’ কথাটির মূল অর্থ ‘উপসৃষ্ট’। যেসব অর্থহীন [[অব্যয় পদ]] নামবাচক বা কৃদান্ত শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে এবং অর্থের পরির্বতন সাধন করে, এগুলোকে উপসর্গ বলে।<ref name=nb/>
 
[[সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়|ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের]] মতে,
[[মুহম্মদ এনামুল হক|ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের]] মতে, “যেসব অব্যয় শব্দ কৃদান্ত বা নামপদের পূর্বে বসে শব্দগুলোর অর্থের সংকোচন, সম্প্রসারণ বা অন্য কোন পরিবর্তন সাধন করে, ঐ সব অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে।”
[[সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়{{উক্তি|ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের]] মতে, ''“সংস্কৃতে কতগুলো অব্যয় শব্দ আছে, এগুলো ধাতুর পূর্বে বসে এবং ধাতুর মূল ক্রিয়ার গতি নির্দেশ করে এর অর্থের প্রসারণ, সঙ্কোচন বা অন্য পরিবর্তন আনয়ন করে দেয়। এরূপ অব্যয় শব্দকে উপসর্গ বলে।”''}}
 
[[মুহম্মদ এনামুল হক|ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের]] মতে,
[[অশোক মুখোপাধ্যায়|অশোক মুখোপাধ্যায়ের]] মতে, “বাংলা ভাষায় কিছু অব্যয় আছে যারা ধাতু বা শব্দের আগে যুক্ত হয়ে তাদের অর্থ বদল করে দেয়। এদেরই বলা হয় উপসর্গ।”
[[মুহম্মদ এনামুল হক{{উক্তি|ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের]] মতে, ''“যেসব অব্যয় শব্দ কৃদান্ত বা নামপদের পূর্বে বসে শব্দগুলোর অর্থের সংকোচন, সম্প্রসারণ বা অন্য কোন পরিবর্তন সাধন করে, ঐ সব অব্যয় শব্দকে বাংলা ভাষায় উপসর্গ বলে।”''}}
 
[[অশোক মুখোপাধ্যায়|অশোক মুখোপাধ্যায়ের]] মতে,
[[অশোক মুখোপাধ্যায়{{উক্তি|অশোক মুখোপাধ্যায়ের]] মতে, ''“বাংলা ভাষায় কিছু অব্যয় আছে যারা ধাতু বা শব্দের আগে যুক্ত হয়ে তাদের অর্থ বদল করে দেয়। এদেরই বলা হয় উপসর্গ।”''}}
 
== উপসর্গের প্রকারভেদ ==