মেঘনাদ সাহা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সংশোধন
৪৪ নং লাইন:
| module = {{তথ্যছক পদস্থ কর্মকর্তা
|embed = yes
| office = সাংসদ[[সংসদ সদস্য (ভারত)|সংসদ সদস্য]], প্রথম [[লোকসভা]]
| termstart = ৩ এপ্রিল ১৯৫২
| termend = ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭
৫৪ নং লাইন:
}}
 
'''মেঘনাদ সাহা''' [[ফেলো অফ দ্য রয়েল সোসাইটি|এফআরএস]] ({{অডিও|Meghnad Saha.ogg|<small>শুনুন</small>|help=no}}) (অক্টোবর ৬, ১৮৯৩ – ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৫৬) একজন [[ভারতীয়]] [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]] [[তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা|তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী]] ও [[জ্যোতির্বিজ্ঞানী]]। তিনি [[গণিত]] নিয়ে পড়াশোনা করলেও [[পদার্থবিজ্ঞান]] ও [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]] বিষয়েও গবেষণা করেছেন। তিনি তাত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে [[তাপীয় আয়নীকরণ তত্ত্ব]] প্রতিষ্ঠাতাপ্রতিষ্ঠা করেন। তার আবিস্কৃত [[সাহা আয়নীভবন সমীকরণ]] [[নক্ষত্র|নক্ষত্রের]] রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মগুলো ব্যাখ্যা করতে অপরিহার্য।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Meghnad Saha: Physicist and nationalist|শেষাংশ=ব্যানার্জি|প্রথমাংশ=সোমাদিত্য|তারিখ=১ আগস্ট ২০১৬|পাতাসমূহ=৩৮–৪৪|ভাষা=en|ডিওআই=10.1063/PT.3.3267|issn=0031-9228|doi-access=free|সাময়িকী=Physics Today|খণ্ড=৬৯|সংখ্যা নং=৮|বিবকোড=2016PhT....69h..38B}}</ref><ref>{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.britannica.com/biography/Meghnad-N-Saha|শিরোনাম=Meghnad N. Saha {{!}} Indian astrophysicist|বিশ্বকোষ=[[Encyclopædia Britannica]]|সংগ্রহের-তারিখ=2016-11-23}}</ref> তিনি ভারতে [[নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞান]]ে আধুনিক গবেষণার জন্য ১৯৫০ সালে [[পশ্চিমবঙ্গ]]ে [[সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স]] প্রতিষ্ঠা করেন। পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদানের জন্য ১৯২৭ সালে [[লন্ডন]]ের [[রয়েল সোসাইটি|রয়াল সোসাইটি]] তাকে [[ফেলো অফ দ্য রয়েল সোসাইটি|এফআরএস]] নির্বাচিত করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://articles.adsabs.harvard.edu/cgi-bin/nph-iarticle_query?1994JHA....25..155D&defaultprint=YES&filetype=.pdf|শিরোনাম=Quantum Physics and Stars(IV): Meghnad Saha's Fate|শেষাংশ=DeVorkin|প্রথমাংশ=David|তারিখ=|সাময়িকী=|arxiv=|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201015053823/http://articles.adsabs.harvard.edu/cgi-bin/nph-iarticle_query?1994JHA....25..155D=&defaultprint=YES&filetype=.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=15 October 2020|সংগ্রহের-তারিখ=15 October 2020}}</ref>
 
তিনি ও তার সহপাঠী এবং সহকর্মী [[সত্যেন্দ্রনাথ বসু]] সর্বপ্রথম [[আলবার্ট আইনস্টাইন]]ের [[বিশেষ আপেক্ষিকতা|স্পেশালবিশেষ থিওরি অফ রিলেটিভিটিআপেক্ষিকতার]] সূত্রকে [[জার্মান ভাষা|জার্মান]] থেকে [[ইংরাজিইংরেজি ভাষা|ইংরাজিইংরেজিতে]] [[অনুবাদ]] করেন যা [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে প্রকাশিত হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.researchgate.net/profile/Charles_Clark2/publication/315907662_Meghnad_Saha_and_the_contemporary_scene/links/5af1fa740f7e9ba36645dbce/Meghnad-Saha-and-the-contemporary-scene.pdf?origin=publication_detail|শিরোনাম=Meghnad Saha and the contemporary scene|শেষাংশ=Charles Winthrop Clark|প্রথমাংশ=|তারিখ=April 2017|সাময়িকী=Physics Today|ডিওআই=10.1063/PT.3.3508|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> স্বনামধন্য এই পদার্থবিজ্ঞানী পদার্থবিজ্ঞান ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি [[বিজ্ঞান|বিজ্ঞানসম্মত]] সম্মত ধারায় [[পঞ্জিকা]] সংশোধন করেন। এছাড়া [[ভারতের নদীনিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা]]য় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি ভারতে পদার্থবিদ্যারপদার্থবিজ্ঞানের বিকাশ ও প্রসারের জন্য ১৯৩১ সালে [[ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স, ইন্ডিয়া]] প্রতিষ্ঠা করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.nasi.org.in/vision.htm|শিরোনাম=The National Academy of Sciences, India - Vision|ওয়েবসাইট=www.nasi.org.in|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-18|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-০৬-০৬|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200606144310/http://nasi.org.in/vision.htm|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> এছাড়াও ১৯৩৪ সালে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://iacs.res.in/indian-physical-society.html|শিরোনাম=IPS Home Page|লেখক=IACSCC|তারিখ=|প্রকাশক=iacs.res.in|সংগ্রহের-তারিখ=2010-09-01|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৬-১০-১০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161010144509/http://iacs.res.in/indian-physical-society.html|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ভারতে পদার্থবিজ্ঞানীদের সংগঠন [[ইন্ডিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটি]]ও প্রতিষ্ঠা করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=|শিরোনাম=Recent Developments in the Organization of Science in India|শেষাংশ=মহালানবিস|প্রথমাংশ=পি.সি|তারিখ=|বছর=১৯৬৩|সাময়িকী=Sankhya (journal){{!}}Sankhyā: The Indian Journal of Statistics, Series B|প্রকাশক=[[ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট]]|খণ্ড=২৫|সংখ্যা নং=১/২|পাতাসমূহ=৬৭–৪৬|jstor=25051480|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> তাঁর উদ্যোগেই ভারতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অব সায়েন্সের সূচনা হয়, যা বর্তমানে [[ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান|ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অব টেকনোলজি]] (আই.আই.টি.) নামে বর্তমানে পরিচিত।
 
১৯৫২ সালে [[ভারত]]ীয়লোকসভা|ভারতীয় [[লোকসভা]]র [[নির্বাচন]]েনির্বাচনে [[কলকাতা]] উত্তর পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্র|কলকাতা উত্তর-পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্র]] (বর্তমানে [[কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্র]]) থেকে [[স্বতন্ত্র প্রার্থী]] হিসেবে নির্বাচিত [[সংসদ সদস্য (ভারত)|সাংসদ]] হন।<ref name="Distillations">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sciencehistory.org/distillations/magazine/a-forgotten-star|শিরোনাম=A forgotten star|তারিখ=২০১৭|পাতাসমূহ=৪–৫|সংগ্রহের-তারিখ=২২ মার্চ ২০১৮|শেষাংশ১=Kean|প্রথমাংশ১=Sam|সাময়িকী=Distillations|খণ্ড=৩|সংখ্যা নং=১}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books?id=qKhAAAAAMAAJ&source=gbs_book_similarbooks|শিরোনাম=Meghnad Saha in Parliament|শেষাংশ=Saha|প্রথমাংশ=Meghnad|তারিখ=1993|প্রকাশক=Asiatic Society|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=১৩ অক্টোবর ২০২০|আর্কাইভের-তারিখ=১৭ অক্টোবর ২০২০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201017115158/https://books.google.co.in/books?id=qKhAAAAAMAAJ&source=gbs_book_similarbooks|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
 
== জন্ম, বাল্যকাল ও সমাজ জীবন ==
মেঘনাথ সাহা ৬ অক্টোবর, ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে [[পূর্ব বাংলাপূর্ববঙ্গ|পূর্ববঙ্গের]] [[ঢাকা]] জেলার অন্তর্গত শেওড়াতলী গ্রামে (অধুনাবর্তমানে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]]  [[গাজীপুর জেলা|গাজীপুর জেলার]] [[কালিয়াকৈর উপজেলা|কালিয়াকৈর উপজেলার]] অন্তর্গত) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জগন্নাথ সাহা ও মাতার নাম ভুবনেশ্বরী সাহা। তিনি ছিলেন পঞ্চম সন্তান।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thebetterindia.com/199157/meghnad-saha-nobel-prize-unsung-indian-scientist-history/|শিরোনাম=Meghnad Saha: How a Village Boy Became One of India's Greatest Scientists|তারিখ=2019-10-05|ওয়েবসাইট=The Better India|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-21|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-০৯-৩০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20200930201031/https://www.thebetterindia.com/199157/meghnad-saha-nobel-prize-unsung-indian-scientist-history/|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> তার পিতা ছিলেন পেশায় মুদি।<ref name="34a">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক1=মুনির হাসান |সম্পাদক1-শেষাংশ=আব্দুল |সম্পাদক1-প্রথমাংশ=কাইয়ুম |শিরোনাম=মেঘনাদ সাহার অন্য ভুবন |সাময়িকী=বিজ্ঞানচিন্তা |তারিখ=নভেম্বর ২০১৮ |খণ্ড=বর্ষ ৩ |পাতা=২৭-২৯ |সংগ্রহের-তারিখ=৩০ নভেম্বর ২০১৮}}</ref>
 
তৎকালীন সময়ের ধর্মগোড়া উচ্চ-অহংকারী ব্রাহ্মণদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মীয় মতাদর্শের কারণে এবং শৈশব-কিশোর এবং কর্মজীবনে জাতপাতের শিকার হওয়ায় তার হৃদয়ে বৈদিক হিন্দুধর্মের গোঁড়ামির প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মেছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.anandabazar.com/supplementary/patrika/article-on-indian-astrophysicist-meghnad-saha-1.891680|শিরোনাম=মেঘনাথ থেকে মেঘনাদ|শেষাংশ=মান্না|প্রথমাংশ=অর্ঘ্য|ওয়েবসাইট=anandabazar.com|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-07-03|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৯-০৪-১২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190412142347/https://www.anandabazar.com/supplementary/patrika/article-on-indian-astrophysicist-meghnad-saha-1.891680|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Meghnad Saha, scientist with a vision|বছর=1984|প্রকাশক=National Book Trust, India|লেখক=Santimay Chatterjee, Enakshi Chatterjee|পাতা=5|উক্তি=Even though he later came to be known as an atheist, Saha was well-versed in all religious texts— though his interest in them was purely academic.}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Nucleus and Nation: Scientists, International Networks, and Power in India|ইউআরএল=https://archive.org/details/nucleusnationsci00ande|বছর=2010|প্রকাশক=University of Chicago Press|আইএসবিএন=9780226019758|লেখক=Robert S. Anderson|সংগ্রহের-তারিখ=10 July 2012|পাতা=[https://archive.org/details/nucleusnationsci00ande/page/n646 602]|উক্তি=a self-described atheist, saha loved swimming in the river and his devout wife loved the sanctity of the spot. swimming and walking were among the few things they could do together.}}</ref>
৬৮ নং লাইন:
===প্রাথমিক শিক্ষা===
[[চিত্র:SahaInBerlin.jpg|thumbnail|left|150px|বার্লিনে তরুণ মেঘনাদ সাহা]]
গ্রামের টোলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। সেই সময় তার গ্রামের বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার করার সুযোগ ছিল। তার পিতা ছোটবেলায় তার বিদ্যাশিক্ষা অপেক্ষা দোকানের কাজ শেখা আবশ্যক মনে করেন। কিন্তু তার দাদা জয়নাথ এবং তার মায়ের ঐকান্তিক চেষ্টায় এবং তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তার [[ইতিহাস]] এবং [[গণিত|গণিতের]] মেধার কথা তার পিতার কাছে অবগত করলে তার পিতা তাকে হাই স্কুলে ভর্তি করতে সম্মত হন। এরপর তিনি শেওড়াতলী গ্রাম থেকে সাত মাইল দূরে শিমুলিয়ায় মধ্য ইংরাজি বিদ্যালযয়ে (মিডল স্কুল - ব্রিটিশ আমলে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি পড়ার স্কুল) ভর্তি হন। এত দূরে প্রতিদিন যাওয়া আসা করে তার পক্ষে পড়াশোনা করা দুরূহ হওয়ার পাশাপাশি মেঘনাদের বাবার পক্ষেও আর্থিক সামর্থ্য ছিল না শিমুলিয়া গ্রামে মেঘনাদকে রেখে পড়ানোর। তখন মেঘনাদের বড় ভাই এবং পাটকল কর্মী জয়নাথ শিমুলিয়া গ্রামের চিকিৎসক অনন্ত কুমার দাসকে মেঘনাদের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করায় তিনি রাজি হন। সেখানে তিনি শিমুলিয়ার ডাক্তার অনন্ত নাগের বাড়িতে থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ লাভ করেন। এই স্কুল থেকে তিনি শেষ পরীক্ষায় ঢাকা জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে বৃত্তি পায়।পান।<ref name=":0" />
 
===উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা===
এরপর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে [[ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল|ঢাকা কলেজিয়েট বিদ্যালয়েস্কুলে]] ভর্তি হন। সেই সময় [[বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন|বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে]] ঘিরে সারাবাংলা উত্তাল হয়েছিল। সেই সময় তাদের বিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য তৎকালীন [[গভর্নর জেনারেল|গভর্নর]] [[বামফিল্ড ফুলার]] আসলে মেঘনাথ সাহা ও তার সহপাঠীরা বয়কট আন্দোলন করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://articles.adsabs.harvard.edu/cgi-bin/nph-iarticle_query?1995JApAS..16...35D&defaultprint=YES&filetype=.pdf|শিরোনাম=Meghnad Saha's Influence in Astrophysics / Meghnad Saha Lecture|শেষাংশ=Devorkin, D.|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=Journal of Astrophysics and Astronomy, Vol. 16, NO. SUPPL, P. 35, 1995|ভাষা=EN|বিবকোড=1995JApAS..16...35D|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> ফলত আন্দোলনকারী সহপাঠীদের সাথে তিনিও বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত হন এবং তার বৃত্তি নামঞ্জুর হয়ে যায়।<ref name=Banglapedia>{{citation |author=Madhumita Mazumdar and Masud Hasan Chowdhury |chapter=Saha, Meghnad |chapter-url=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Saha,_Meghnad |title=Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh |editor=Sirajul Islam and Ahmed A. Jamal |publisher=[[Asiatic Society of Bangladesh]] |year=2012 |edition=Second |সংগ্রহের-তারিখ=২৯ মার্চ ২০১৮ |আর্কাইভের-তারিখ=১০ জানুয়ারি ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170110232853/http://en.banglapedia.org/index.php?title=Saha,_Meghnad |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর }}</ref> পার্শ্ববর্তী [[কিশোরীলাল জুবিলি হাই স্কুল|কিশোরীলাল জুবিলি হাই স্কুলের]] একজন শিক্ষক স্বঃপ্রণোদিত হয়ে তাকে তাদের স্কুলে ভর্তি বিনাবেতনেকরে বিনা বেতনে অধ্যয়নের ব্যবস্থা করেন। সেখান থেকেই তিনি ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে পূর্ববঙ্গের সমস্ত বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে [[মাধ্যমিক পরীক্ষা|এন্ট্রান্স পরীক্ষায়]] মাসিক ৪ টাকার সরকারি বৃত্তি সহ উত্তীর্ণ হন। এই পরীক্ষায় গণিত এবং ভাষা বিষয়ে তিনি সর্বোচ্চ নম্বর অধিকার করে।
 
বিদ্যালয় শিক্ষার পর তিনি [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] [[উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট|ইন্টারমিডিয়েটে]] বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে তিনি বৈশ্য সমিতির মাসিক দুই টাকা বৃত্তিও লাভ করেন। সেই সময় তিনি কলেজের রসায়নের শিক্ষক হিসেবে হরিদাস সাহা, পদার্থবিজ্ঞানে বি এন দাস এবং গণিতের নরেশ চন্দ্র ঘোষ এবং কে পি বসু সহ প্রমুখ স্বনামধন্য শিক্ষকদের সান্নিধ্যে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি বিজ্ঞান ছাড়াও ডক্টর [[নগেন্দ্রনাথ সেন|নগেন্দ্রনাথ সেনের]] কাছে [[জার্মান ভাষা|জার্মান ভাষার]] প্রশিক্ষণ নেন। এই বিদ্যালয় থেকে তিনি [[উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট|আই এস সি পরীক্ষায়]] তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
 
=== স্নাতক ও স্নাতকোত্তর===
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে গণিতে অনার্স নিয়ে [[কলকাতা|কলকাতায়]] [[প্রেসিডেন্সি কলেজ|প্রেসিডেন্সি কলেজে]] ভর্তি হন। সেই সময় ১৯১১-১৯১৩ সাল পর্যন্ত দু'বছর ইডেন ছাত্রাবাস এবং পরে একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে [[সত্যেন্দ্রনাথ বসু]], [[নিখিলরঞ্জন সেন]], [[জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ]], [[জ্ঞানেন্দ্রজ্ঞানেন্দ্রনাথ নাথ মুখার্জীমুখোপাধ্যায়]], [[শৈলেন্দ্রনাথ গুহরায়|শৈলেন্দ্রনাথ গুহ]], [[সুরেন্দ্র নাথ মুখার্জী]] প্রমূখ তার সহপাঠী ছিলেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে [[সংখ্যাতত্ত্ব]] বিজ্ঞানী [[প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ|প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ]] এক বছরের এবং রসায়নবিদ [[নীলরতন ধর]] দুই বছরের সিনিয়র ছিলেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি গণিতের অধ্যাপক হিসাবে [[বি এন মল্লিক]] এবং রসায়নে [[প্রফুল্ল চন্দ্র রায়]] এবং পদার্থবিজ্ঞানে [[জগদীশ চন্দ্র বসু|জগদীশচন্দ্র বসুকে]] পেয়েছিলেন। তিনি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ১৯১৩ সালে গণিতে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯১৫ সালে ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রথম হন।
 
===ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ===
মেঘনাদ ১৯২৮ সালে তার সমস্ত গবেষণাগবেষণার ফলাফল গুলো একত্র করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে [[ডক্টর অব সায়েন্স]] ডিগ্রির জন্য আবেদন করেন। তার সব গবেষণা বিবেচনা করার জন্য উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তার থিসিস পেপার বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বিদেশে অধ্যাপক ডাবলু রিচার্ডসন, ডঃ পোর্টার এবং ডঃ ক্যাম্বেল তার থিসিস পেপার পর্যালোচনা করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ১৯১৯ সালে ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://physicstoday.scitation.org/doi/abs/10.1063/1.3070728|শিরোনাম=Collected Scientific Papers of Meghnad Saha|শেষাংশ=Chatterjee|প্রথমাংশ=S.|শেষাংশ২=Brush|প্রথমাংশ২=Stephen G.|তারিখ=2008-12-29|সাময়িকী=Physics Today|খণ্ড=25|সংখ্যা নং=2|পাতাসমূহ=55|ভাষা=en|ডিওআই=10.1063/1.3070728|issn=0031-9228}}</ref> একইবছরএকই বছর মেঘনাদ [[প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি|প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি]] লাভ করেন। যার ফলে তিনি ইংল্যান্ড ও জার্মানীতে গবেষণার সুযোগ পান।
 
==কর্মজীবন==
=== কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯১৬-১৯)===
[[চিত্র:M N Saha, J C Bose, J C Ghosh, Snehamoy Dutt, S N Bose, D M Bose, N R Sen, J N Mukherjee, N C Nag.jpg|thumb|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের [[জগদীশ চন্দ্র বসু]], [[সত্যেন বোস]] সহ অন্যান্য বাঙালী বিজ্ঞানীদের সাথে মেঘনাদ সাহা]]
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] তৎকালীন উপাচার্য [[আশুতোষ মুখোপাধ্যায় (শিক্ষাবিদ)|আশুতোষ মুখোপাধ্যায়]] , কলকাতার বিখ্যাত আইনজীবী [[তারকনাথ পালিত]] [[রাসবিহারী ঘোষ|রাজবিহারী ঘোষঘোষের]] অর্থানুকূল্যে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত বিভাগে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম পঠন পাঠানোরপঠনের জন্য [[রাজাবাজার সাইন্সসায়েন্স কলেজ]] উদ্বোধন করেন। সেই সময়সেসময় উপাচার্য মেঘনাথ সাহা ও সত্যেন্দ্রনাথ বসুবসুর স্নাতকোত্তরের ফল ভাল থাকায় তাদের গণিত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়।জানানো হয়। তারা দুজনেই গণিতের প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন কিন্তু তাদের পদার্থবিজ্ঞান পছন্দসই বিষয় হওয়ায় উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে চলে আসেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cosmicculture.science/?sa_page=500|শিরোনাম=মেঘনাদ সাহা|শেষাংশ=Culture|প্রথমাংশ=Cosmic|ওয়েবসাইট=Cosmic Culture|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-07-13|আর্কাইভের-তারিখ=২০১৯-০৭-৩১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190731164427/http://www.cosmicculture.science/?sa_page=500|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> গণিত বিভাগের প্রভাষক থাকাকালীন মেঘনাথ সাহা [[জ্যামিতি]] ও [[ভূগোল|ভূগোলের]] বিষয় অধ্যায়ন করেছিলেন এবং পাঠদান করেছিলেন। তার [[ভূপ্রকৃতিবিদ্যা|ভূ-তাত্বিক বিজ্ঞান]] সম্পর্কিত আগ্রহ থেকেই পরবর্তীকালে ভারতবর্ষে ভূতত্ত্ববিদ্যা পাঠক্রমের সূচনা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি [[ভূতাত্ত্বিক সময়]] নিরূপণ বিষয়ের উপর গবেষণা করেছিলেন।
 
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে [[দেবেন্দ্র মোহন বসু|দেবেন্দ্রমোহন বসু]] গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান কিন্তু [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] জন্য অন্তরীণ হয়ে পরায় মেঘনাথ সাহা এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে তাত্বিক ও পরীক্ষামূলক গবেষণায় নিয়োজিত হতে হয়। সেই সময় প্রবীণ অধ্যাপক ছাড়াই মেঘনাথ সাহা পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষণা শুরু করেন। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে [[এস কে মিত্র]], [[পি এন ঘোষ|পি এন ঘোষয়ের]] সহযোগিতায় তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পড়ানোর ব্যবস্থা করতে সক্ষম হন। সেই সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তিনি প্রভাষক হিসেবে [[তাপগতিবিজ্ঞান|তাপ গতিবিদ্যা]] পড়াতেন। আধুনিক পদার্থবিদ্যার বিষয়গুলি তিনি ও তাঁর সহযোগীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেন। আপেক্ষিকতাবাদ সহ আধুনিক পদার্থবিদ্যার সদ্য আবিষ্কৃত বিষয়গুলি তারা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে পদার্থবিজ্ঞানে বিষয়গুলির মূলত জার্মান ভাষায় প্রকাশিত হত, সেগুলিকে ইংরাজিতে অনুবাদ করতে হয়েছিল। তার ঢাকা কলেজে পড়াকালীন জার্মান ভাষা শিক্ষা এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিল।
৯০ নং লাইন:
[[সাধারণ আপেক্ষিকতা|সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব]] আবিষ্কার তিন বছরের মধ্যেই তিনি ও [[সত্যেন্দ্রনাথ বসু]] জার্মান থেকে অনুবাদ করেছিলেন যা ইংরেজি ভাষায় [[সাধারণ আপেক্ষিকতা|সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের]] সর্বপ্রথম অনুবাদ। প্রিন্সটনের আইনস্টাইন আর্কাইভে তাদের অনুবাদের একটি প্রত্যায়িত রাখা আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.tribuneindia.com/2000/20000213/spectrum/main2.htm|শিরোনাম=The Sunday Tribune - Spectrum - Article|ওয়েবসাইট=www.tribuneindia.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-21|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-১০-২৮|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201028033053/https://www.tribuneindia.com/2000/20000213/spectrum/main2.htm|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
 
১৯১৭ থেকে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোন প্রবীণ অধ্যাপকের তত্ত্বাবধান ছাড়াই তিনি লন্ডনের ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিন ও ফিজিক্যালি রিভিউ জার্নালে তার মৌলিক গবেষণা গুলি প্রকাশ করেন। বিকিরণ চাপ সম্পর্কিত গবেষণা জন্য ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।<ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://insaindia.res.in/detail/F00-0688|শিরোনাম=INSA :: Deceased Fellow Detail|ওয়েবসাইট=insaindia.res.in|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-21|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-১০-২৫|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201025022526/http://insaindia.res.in/detail/F00-0688|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে অন হার্ভার্ড ক্লাসিফিকেশন অফ স্টেলার স্পেক্ট্রাম গবেষণার জন্য [[প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি|প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি]] পান এবং বিদেশে গবেষণার সুযোগ পেয়ে যান।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nature.com/articles/142145c0|শিরোনাম=Prof. M. N. Saha, F.R.S.|তারিখ=1938-07-01|সাময়িকী=Nature|খণ্ড=142|সংখ্যা নং=3586|পাতাসমূহ=145–146|ভাষা=en|ডিওআই=10.1038/142145c0|issn=1476-4687}}</ref>
 
=== ইউরোপের বিভিন্ন গবেষণাগারে (১৯২০-১৯২১)===
এরপর ১৯১৯ সালে তিনি প্রথম পাঁচ মাস [[লন্ডন|লণ্ডনে]] বিজ্ঞানী [[আলফ্রেড ফাউলার|আলফ্রেড ফাউলারের]] পরীক্ষাগারে এবং পরবর্তীতে [[বার্লিন|বার্লিনে]] [[ওয়াস্টার নার্নস্ট|ওয়াস্টার নার্নস্টের]] সাথে কাজ করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.hindustantimes.com/inspiring-lives/meghnad-saha-shining-star-of-astrophysics/story-UNDIQIuBLj4FCG4TqzOjmI.html|শিরোনাম=Meghnad Saha: Shining star of astrophysics|তারিখ=2020-02-06|ওয়েবসাইট=Hindustan Times|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-21|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-১০-২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201021133133/https://www.hindustantimes.com/inspiring-lives/meghnad-saha-shining-star-of-astrophysics/story-UNDIQIuBLj4FCG4TqzOjmI.html|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
[[File:Solar eclips 1999 5.jpg|thumb|left|200px|১৯৯৯ সালে [[ফ্রান্স]] থেকে [[সূর্যগ্রহণ|পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের]] সময় সূর্যের [[বর্ণমণ্ডল|ক্রোমোস্ফিয়ার]] দৃশ্যমান।]]
মেঘনাদ সাহা ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে [[ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিন|ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিনে]] তার গবেষণা লব্ধ [[তাপীয় আয়নায়ন তত্ত্ব]] বিষয়ে '''''Ionisation of the solar chomosphere''''' শীর্ষক গবেষণাপত্র<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.saha.ac.in/web/images/library/digitised%20doc/papers/Page%2038.pdf|শিরোনাম=Ionisation of the solar chromosphere|শেষাংশ=Meghnad Saha|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> প্রকাশিত হলে তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেন। তার গবেষণাটি মূলত উচ্চ তাপমাত্রায় আয়নয়নআয়নায়ন তত্ত্ব ও নক্ষত্রের আবহমন্ডলেরআবহমন্ডলে তার প্রয়োগ বিষয়ের নিয়ে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nature.com/articles/105232b0|শিরোনাম=Ionisation in the Solar Chromosphere|শেষাংশ=Saha|প্রথমাংশ=M. N.|তারিখ=1920-04-01|সাময়িকী=Nature|খণ্ড=105|সংখ্যা নং=2634|পাতাসমূহ=232–233|ভাষা=en|ডিওআই=10.1038/105232b0|issn=1476-4687|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref>
 
তিনি ইউরোপ যাত্রার আগে '''''Ionisation of the solar chromospher and on the Harvard classification of steller spectra''''' গবেষণাপত্র দুটি প্রকাশের জন্য ''Philosophical Magazine'' এর কাছে পাঠান কিন্তু সেখানে ফাউলারের গবেষণাগারে থাকাকালীন হার্ভার্ড গ্রুপ ছাড়াও নক্ষত্রের শ্রেণীবিভাগে লাইকার ও ছাত্রদের অবদান সম্বন্ধে অবহিত হওয়ার পর তিনি আরো কিছু নতুন তথ্য দিয়ে তার দ্বিতীয় গবেষণাপত্রটি সম্প্রসারিত করেছেন। যা '''''On the physical theory of steller sprectra''''' শিরোনামে<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.saha.ac.in/web/images/library/digitised%20doc/papers/page%2059.pdf|শিরোনাম=On the physical theory of steller sprectra|শেষাংশ=Meghnad Saha|প্রথমাংশ=|তারিখ=|সাময়িকী=|সংগ্রহের-তারিখ=}}</ref> লন্ডনের রয়েল সোসাইটি পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://adsabs.harvard.edu/full/1994JApA...15..201.|শিরোনাম=1994JApA...15..201. Page 201|ওয়েবসাইট=adsabs.harvard.edu|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-21|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-১২-১২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201212092707/http://adsabs.harvard.edu/full/1994JApA...15..201.|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> জ্যোতির্বিজ্ঞানের তার এই কাজটি সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান বলে মনে করা হয়। এস রজল্যান্ড তার ''theoreticalTheoretical Astrophysics'' গ্রন্থে তার গবেষণার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.co.in/books/about/Theoretical_Astrophysics_Atomic_Theory_a.html?id=yByNugEACAAJ&redir_esc=y|শিরোনাম=Theoretical Astrophysics: Atomic Theory and the Analysis of Stellar Atmospheres and Envelopes|শেষাংশ=Rosseland|প্রথমাংশ=Svein|তারিখ=1936|প্রকাশক=Clarendon Press|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=২১ সেপ্টেম্বর ২০২০|আর্কাইভের-তারিখ=১২ ডিসেম্বর ২০২০|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201212092714/https://books.google.co.in/books/about/Theoretical_Astrophysics_Atomic_Theory_a.html?id=yByNugEACAAJ&redir_esc=y|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
 
=== এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯২২-১৯৩৮)===
১৯২১ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বর মাসে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে খয়রা অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। সেই সময় তৎকালীন আচার্য ও গভর্নরের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিরোধ থাকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে সহকারী পাননি। সেই কারণেসেকারণে গবেষণার জন্য তিনি [[এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়|এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের]] রসায়নের অধ্যাপক [[নীলরতন ধর|নীলরতন ধরের]] আগ্রহেরআগ্রহে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ভালো পরিমণ্ডল না থাকা সত্ত্বেও তার চেষ্টায় তিনি একটি গবেষণা দল করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল স্ট্যাটিসটিকালস্ট্যাটিস্টিক্যাল মেকানিক্স, পরমাণু ও অণুর বর্ণালী, নেগেটিভ ইলেক্ট্রন আফিনিটিঅ্যাফিনিটি, অণুর উষ্ণতাজনিত বিভাজন, আয়নোস্ফিয়ারে রেডিও তরঙ্গের আয়নোস্পিয়ারে গতিবিধি, উচ্চতর আবহমণ্ডল ইত্যাদি। তিনি তাপীয় আয়নন তথ্য পরীক্ষার জন্য একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.caluniv.ac.in/about/Alumni.html|শিরোনাম=Distinguished Alumni|ওয়েবসাইট=www.caluniv.ac.in|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-21|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-১১-০১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201101154050/https://www.caluniv.ac.in/about/Alumni.html|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>
 
১৯৩১ সালে ইংল্যান্ডের [[রয়্যাল সোসাইটি]] থেকে তিনি ১৫০০ পাউন্ড আর্থিক সাহায্য পান, তা দিয়ে তিনি আয়ননতত্ত্বেরআয়নতত্ত্বের পরীক্ষামূলক প্রমাণ করেন।
[[File:Arthur Eddington’s visit to the Allahabad University, 1934.jpg|thumb|১৯৩৪ সালে এরিংটনের এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রদর্শন করতে আসেন।]]
১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় সাইন্স কংগ্রেসের গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান শাখার সভাপতিত্ব করেন।<ref name=":1" /> ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। ইতালিতে সরকারের আমন্ত্রণে ভোল্টার শতবার্ষিকী উৎসবে আমন্ত্রিত হন এবং মৌলিক পদার্থের মৌলিক পদার্থের জটিল বর্ণালির ব্যাখ্যা সম্পর্কে গবেষণাপত্রটি পাঠ করেন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কারনেসি ট্রাস্টের ফেলো নির্বাচিত হয়েহয়েছিলেন। ছিলেন। ওই সময়ঐসময় তিনি [[জার্মানি]], [[ইংল্যান্ড]] [[আমেরিকা]] পরিদর্শন করেন। সেই সময় [[হাভার্ডহার্ভার্ড কলেজ|হার্ভার্ড কলেজের]] ল্যাবরেটরীতে [[এইচ শেফ্লি]]র সাথে গবেষণা করেন।
 
তিনি মিউনিখে থাকাকালীন [[জার্মান একাডেমি]] সংবর্ধনা পান। আমেরিকায় লরেন্সের [[সাইক্লোট্রন]] যন্ত্র পর্যবেক্ষণ করেন। যা পরবর্তীতে ভারতবর্ষে সাইক্লোট্রন তৈরিতে সাহায্য করেছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thestatesman.com/opinion/a-city-of-cyclotronsi-1502841374.html|শিরোনাম=A City of Cyclotrons~I|তারিখ=2020-01-05|ওয়েবসাইট=The Statesman|ভাষা=en-US|সংগ্রহের-তারিখ=2020-09-21|আর্কাইভের-তারিখ=২০২০-১০-২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20201021183416/https://www.thestatesman.com/opinion/a-city-of-cyclotronsi-1502841374.html|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref>