জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: সংশোধন
Suvray (আলোচনা | অবদান)
→‎ইতিহাস: সংশোধন
৩২ নং লাইন:
জমিয়ত, ইসলামি প্রেক্ষাপটের একটি শব্দ, যা একটি সমাবেশ, লীগ বা অন্যান্য সংগঠনকে নির্দেশ করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://ejtaal.net/aa/#hw4=173,ll=495,ls=5,la=678,sg=264,ha=114,br=194,pr=36,aan=111,mgf=173,vi=105,kz=336,mr=132,mn=208,uqw=282,umr=210,ums=164,umj=132,ulq=497,uqa=82,uqq=55,bdw=h188,amr=h124,asb=h146,auh=h333,dhq=h102,mht=h127,msb=h49,tla=h39,amj=h122,ens=h379,mis=h334|শিরোনাম=ডিকশনারি অব মর্ডান রিটেন এরাবিক|তারিখ=১৯৭৯|পাতা=১৬০|সংস্করণ=৪|শেষাংশ১=ওয়েহর|প্রথমাংশ১=হ্যান্স|সম্পাদক১-শেষাংশ=কোয়ান|সম্পাদক১-প্রথমাংশ=মিল্টন}}</ref> আরবি জমায়েত ({{lang|ar|جمع}}) থেকে এই শব্দের উৎপত্তি এবং [[উর্দু ভাষা|উর্দুতে]] এটি বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জামিয়াত অর্থ|ইউআরএল=https://rekhtadictionary.com/meaning-of-jamiyyat?keyword=%D8%AC%D9%85%D8%B9%DB%8C%D8%AA |প্রকাশক=রেখতা|সংগ্রহের-তারিখ=২২ জুলাই ২০২১}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জমিয়ত অর্থ|ইউআরএল=http://urdulughat.info/words/6061-%D8%AC%D9%85%D8%B9%DB%8C%D8%AA |ওয়েবসাইট=উর্দুলোগাত.ইনফো|সংগ্রহের-তারিখ=২২ জুলাই ২০২১}}</ref>
 
সানাউল্লাহ অমৃতসারির অনুরোধে ১৯১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর [[অমৃতসর|অমৃতসরে]] জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে [[কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি]] এই সংগঠনের গঠনতন্ত্রের একটি খসড়া উপস্থাপন করেন।{{sfn|দেওবন্দি|p=১৪০}}{{sfn|জামি|১৯৯৫|p=৪৯২}} [[আবুল মুহাসিন মুহাম্মদ সাজ্জাদ]] ও মাজহার উদ্দিনকেও মূল প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৬৯}} একটি সাধারণ ভুল ধারণা বিদ্যমান যে, জমিয়ত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন [[মাহমুদ হাসান দেওবন্দি]] এবং [[হুসাইন আহমদ মাদানি]]সহ তার অন্যান্য সহকর্মীরা, তবে এটি সত্য নয়, কারণ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার সময় তারা [[মাল্টা|মাল্টায়মাল্টার]] কারাগারে ছিলেন।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৭,১৩}}
 
জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ প্রতিষ্ঠার পর কেফায়াতুল্লাহ দেহলভিকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি এবং [[আহমদ সাইদ দেহলভি|আহমদ সাইদ দেহলভিকে]] অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদক করা হয়।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৭৪}} অমৃতসরে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ সভায় সংগঠনটির প্রথম পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়।{{sfn|জামি|১৯৯৫|p=৪৯২}}{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৫৭,৬৫}} ১৯২০ সালের নভেম্বর মাসে [[দিল্লি|দিল্লিতে]] জমিয়তের দ্বিতীয় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে মাহমুদ হাসান দেওবন্দিকে সভাপতি এবং কেফায়াতুল্লাহ দেহলভিকে সহ-সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। এর কয়েকদিন পর [[মাহমুদ হাসান দেওবন্দি|দেওবন্দি]] মৃত্যুবরণ করলে ১৯২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি স্থায়ী সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সহ-সভাপতি এবং একই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৭৪}} মাহমুদ হাসান দেওবন্দির মুক্তির পর [[দারুল উলুম দেওবন্দ|দারুল উলুম দেওবন্দের]] আলেমগণ জমিয়তের সাথে যুক্ত হন এবং এটি প্রতিষ্ঠায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা ছিল না।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৪৭–৪৯}} বর্তমানে এটি [[দেওবন্দি]] আলেমদের একটি প্রধান সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ স্ল্যামস পাকিস্তান, সেইস নেইবারিং নেশন বেন্ট অন ডেস্ট্রয়িং কাশ্মীর|ইউআরএল=https://www.financialexpress.com/india-news/jamiat-ulama-i-hind-slams-pakistan-says-neighbouring-nation-bent-on-destroying-kashmir/1704903/ |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ জুলাই ২০২১|কর্ম=ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস|তারিখ=১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}</ref>
 
===পরিচালন প্রক্রিয়া===
জমিয়তের প্রাথমিক নীতি ও গঠনতন্ত্র রচনা করেন কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি। অমৃতসরে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় যে, এগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর উপস্থিত একদল আলেমের মতামত নেওয়া হবে এবং পরবর্তী সভায় এগুলো আবার আলোচনা করা হবে।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৫৬}} দিল্লিতে [[মাহমুদ হাসান দেওবন্দি|মাহমুদ হাসান দেওবন্দির]] সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সভায় দেহলভির প্রণীত নীতি ও গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয়।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৫৬}} সেখানে সংগঠনটির নাম, “জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ”, সদর দফতর “[[দিল্লি]]”“দিল্লি” এবং সীলমোহর “আল জমিয়তুল মারকাজিয়াহ লিল উলামায়িল হিন্দ” ঠিক হয়।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৫৬}} এর উদ্দেশ্য ছিল [[ইসলাম|ইসলামকে]] বাইরের বা বিদেশি হুমকি থেকে রক্ষা করা; সাধারণ মানুষকে রাজনীতিতে ইসলামি অনুশাসনের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া এবং ‘দারুলকাধা’ নামে একটি ইসলামি আদালত প্রতিষ্ঠা করা।{{sfn|ওয়াসিফ দেহলভি|১৯৭০|p=৫৬}}
 
অমৃতসরে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ সভায় জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের প্রথম পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়। এর সদস্যরা ছিলেন—আবদুল মজিদ বাদায়ুনি, [[আবুল মুহাসিন মুহাম্মদ সাজ্জাদ]], [[আহমদ সাইদ দেহলভি]], [[হাকিম আজমল খান]], [[হযরত মোহানি]], খোদা বখশ, মাজহার উদ্দিন, মুহাম্মদ আবদুল্লাহ সিন্ধি, মুহাম্মদ ফখির এলাহাবাদী, [[মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী]], [[মোহাম্মদ আকরম খাঁ]], মুহাম্মদ ইব্রাহিম মীর শিয়ালকোটি, মুহাম্মদ সাদিক কারাচিভি, রুকনুদ্দিন দানা, সালামাতুল্লাহ ফিরিঙ্গি মহল্লী, সানাউল্লাহ অমৃতসারী, সৈয়দ মুহাম্মদ দাউদ গজনভি এবং তুরাব আলী সিন্ধি।{{sfn|জামি|১৯৯৫|p=৪৯২}}
৪৯ নং লাইন:
[[চিত্র:আজাদ, নেহেরু ও অন্যান্যদের সাথে হিফজুর রহমান সিওহারভি.jpeg|থাম্ব|[[আবুল কালাম আজাদ]] ও [[জওহরলাল নেহেরু]]র উপস্থিতিতে বক্তৃতা দিচ্ছেন জমিয়তের বিশিষ্ট আলেম [[হিফজুর রহমান সিওহারভি]]।]]
 
এই সংগঠনের আলেমদের ঘন ঘন গ্রেফতার করা হত এবং এর সাধারণ সম্পাদক [[আহমদ সাইদ দেহলভি]] তার জীবনের ১৫ বছর জেলে কাটান।{{sfn|আসির আদ্রাভি|২০১৬|p=২১}} জমিয়ত ব্রিটিশ কাপড় ব্যবহার এড়িয়ে চলতে মুসলিম সম্প্রদায়কে প্রতিজ্ঞা করায় এবং লবণ সত্যাগ্রহে অংশ নেওয়ার জন্য প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তালিকাভুক্ত করে।{{sfn|ইসলাম|২০১৮|p=১৫৮}} জমিয়তের সহ-প্রতিষ্ঠাতা [[কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি]] ১৯৩০ সালে [[লবণ সত্যাগ্রহ|আইন অমান্য আন্দোলনে]] অংশগ্রহণের জন্য ছয় মাস [[গুজরাত|গুজরাতের]] কারাগারে বন্দি ছিলেন। ১৯৩২ সালের ৩১ মার্চ তিনি এক লক্ষেরও বেশি মানুষের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেফতার হন এবং [[মুলতান]] কারাগারে ১৮ মাস কারাভোগ করেন।{{sfn|মনসুরপুরী|২০১৪|p=১৮৬}} জমিয়তের আরেক সাধারণ সম্পাদক [[মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দি|মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দিকে]] পাঁচবার গ্রেফতার করা হয় এবং [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ শাসন]] ও শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুসলিম আলেমদের লড়াই নিয়ে আলোচনা করার জন্য তার বই [[iarchive:UlamaEHindKaShandarMazi|''উলামায়ে হিন্দ কা শানদার মাযী'']] জব্দ করা হয়।{{sfn|আমিনী|২০১৭|p=৫৬৯}} জমিয়তের আরেক আলেম [[হিফজুর রহমান সিওহারভি]] ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য একাধিকবার গ্রেফতার হন। তিনি ৮ বছর কারাগারে কাটান।{{sfn|আসির আদ্রাভি|২০১৬|p=৮১}}<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|প্রথমাংশ=আবু তারিক|শেষাংশ=হিজাজী|শিরোনাম=মাওলানা হিফজুর রহমান এন্ড হিজ কসাসুল কুরআন|ইউআরএল=https://www.arabnews.com/islam-perspective/maulana-hifzur-rahman-and-his-qasas-ul-qur%E2%80%99 |সংগ্রহের-তারিখ=২৩ জুলাই ২০২১|কর্ম=আরব নিউজ |তারিখ=২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩}}</ref> জমিয়তের ২য় সভাপতি [[হুসাইন আহমদ মাদানি]] ৭ বছর ৯ মাস ব্রিটিশদের কারাগারে কাটান।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://islamicfoundation.portal.gov.bd/sites/default/files/files/islamicfoundation.portal.gov.bd/publications/ae553c25_ccc5_45f8_b3bb_4caa7e0bc2aa/Jiboni%20grontho.pdf|শিরোনাম=শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি রহ.|শেষাংশ=মুশতাক আহমদ|প্রথমাংশ=ডক্টর|বছর=২০০০|প্রকাশক=[[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]; [[ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ]]|অবস্থান=[[ঢাকা]], [[বাংলাদেশ]]|পাতা=৪৫৯|অন্যান্য=পিএইচডি অভিসন্দর্ভ|আইএসবিএন=9840606085}}</ref>
 
=== ভারত বিভাজন ===
৭৪ নং লাইন:
 
===জাতীয় নাগরিক পঞ্জি===
২০১৭ সালের মে মাসে জমিয়তের মাহমুদ গ্রুপ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে [[উসমান মনসুরপুরী|উসমান মনসুরপুরীর]] নেতৃত্বে [[আসাম চুক্তি]]র পক্ষালম্বন করে।<ref name="বিজনেস">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ ডিফেন্ডস আসাম একোর্ড-১৯৮৫ ইন এসসি|ইউআরএল=https://www.business-standard.com/article/news-ani/jamiat-ulema-e-hind-defends-assam-accord-1985-in-sc-117050300046_1.html |সংগ্রহের-তারিখ=১৩ জুলাই ২০২১|তারিখ=৩ মে ২০১৭ |আর্কাইভের-তারিখ=২৫ মে ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210525204037/https://www.business-standard.com/article/news-ani/jamiat-ulema-e-hind-defends-assam-accord-1985-in-sc-117050300046_1.html |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> তারা [[জাতীয় নাগরিক পঞ্জী|জাতীয় নাগরিক পঞ্জি]]র সমর্থনে একটি প্রস্তাবও পাস করে।<ref name="এনআরসি">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=প্রজ্ঞা|শেষাংশ=কৌশিকা |শিরোনাম=কাশ্মীর এস ইন্টেগ্রাল পার্ট অব ইন্ডিয়া: জমিয়ত পাসেস রেজুলেশন, সাপোর্টস এনআরসি|ইউআরএল=https://www.aninews.in/news/national/general-news/kashmir-as-integral-part-of-india-jamiat-passes-resolution-supports-nrc20190912154228/ |সংগ্রহের-তারিখ=১৩ জুলাই ২০২১|তারিখ=১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯|আর্কাইভের-তারিখ=২৫ মে ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210525205349/https://www.aninews.in/news/national/general-news/kashmir-as-integral-part-of-india-jamiat-passes-resolution-supports-nrc20190912154228/ |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> অবশ্য আরশাদ গ্রুপের সভাপতি [[আরশাদ মাদানি]] বলেন, "এনপিআর–এনআরসি প্রকল্প ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডার অংশ।”<ref name="ইন্ডিয়াটুডে">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ সেইস এনপিআর ইজ অ্যা বিগ থ্রেট টু মুসলিমস|ইউআরএল=https://www.indiatoday.in/india/story/jamiat-ulema-i-hind-says-npr-is-a-big-threat-to-muslims-1648509-2020-02-21 |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ জুলাই ২০২১|কর্ম=ইন্ডিয়া টুডে|তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০}}</ref> তিনি এটাও মনে করেন যে, এটি [[মুসলিম]] ও [[দলিত]]সহ আরও কিছু সম্প্রদায়ের জন্য বড় হুমকি।<ref name="ইন্ডিয়াটুডে"/> ফলশ্রুতিতে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মাহমুদ গ্রুপ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে [[নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯]]–এর বিরুদ্ধে একটি চ্যালেঞ্জ দায়ের করে এই কারণে, আইনটি অভিবাসীদের কোন ‘বোধগম্য ভিন্নতা’ ছাড়াই শ্রেণীবদ্ধ করেছে এবং বেশ কয়েকটি ধর্মীয় ভাবে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের উপেক্ষা করেছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ মুভস সুপ্রিম কোর্ট এগেইন্সট সিটিজেনশিপ ল|ইউআরএল=https://www.thehindu.com/news/national/jamiat-moves-sc-against-citizenship-law/article30322703.ece |সংগ্রহের-তারিখ=১৩ জুলাই ২০২১|কর্ম=দ্য হিন্দু|তারিখ=১৬ ডিসেম্বর ২০১৯|আর্কাইভের-তারিখ=১৩ জুলাই ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210713072317/https://www.thehindu.com/news/national/jamiat-moves-sc-against-citizenship-law/article30322703.ece |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> দলটি [[কাশ্মীর|কাশ্মীরকে]] ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেও সমর্থন করেছিল।<ref name="এনআরসি"/>
 
২০২০ সালের [[২০২০ দিল্লি দাঙ্গা|দিল্লি দাঙ্গা]] সম্পর্কে অক্টোবরে [[আরশাদ মাদানি]] বলেন, “জেলা প্রশাসনকে জবাবদিহি না করে দেশে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।”<ref name="উম্মিদ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=হোল্ড ডিএম রেসপন্সিবিল টু কন্ট্রোল কমিউনাল রায়োটস: আরশাদ মাদানি |ইউআরএল=https://ummid.com/news/2020/october/23.10.2020/hold-dm-responsible-for-communal-riots-arshad-madani.html |সংগ্রহের-তারিখ=13 July 2021 |কর্ম=উম্মিদ|তারিখ=২৩ অক্টোবর ২০২০|আর্কাইভের-তারিখ=১৪ জুলাই ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210714122527/https://ummid.com/news/2020/october/23.10.2020/hold-dm-responsible-for-communal-riots-arshad-madani.html |ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> ২০২০ সালের অক্টোবরের ''উম্মিদ'' রিপোর্টপ্রতিবেদন অনুযায়ী, তার নেতৃত্বে জমিয়ত দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্ত মুসলমানদের মামলাগুলো লড়ে এবং দিল্লি হাইকোর্ট ১৬টি জামিনের আবেদন গ্রহণ করে।<ref name="উম্মিদ"/>
 
=== যৌতুক ও জনসংখ্যা নীতি ===
[[যৌতুক|যৌতুকের]] কারণে আয়েশা নামে এক যুবতীর আত্মহত্যার ভিডিও ভাইরালসর্বত্র হওয়ারছড়িয়ে পর,পড়লে<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://news.abplive.com/news/india/ahmedabad-woman-ayesha-khan-releases-suicide-video-before-jumping-into-sabarmati-river-netizens-demand-justice-1446421|শিরোনাম=আহমেদাবাদ উইমেন রিলিসেস সুইসাইড ভিডিও বিফোর জাম্পিং ইনটু সবরমতী রিভার, নেটিজেন্স ডিমান্ড জাস্টিস|তারিখ=১ মার্চ ২০২১|সংবাদপত্র=এবিপি লাইভ}}</ref> জমিয়তের পুনে সার্কেল ২০২১ সালের মার্চ মাসে যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা শুরু করে।<ref name="পুনে">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=বিজয়|শেষাংশ=চভান|শিরোনাম=পুনে বডি টেইকস আপ ড্রাইভ এগেইন্সট ডোরি|ইউআরএল=https://punemirror.indiatimes.com/pune/civic/pune-body-takes-up-drive-against-dowry/articleshow/81336468.cms |কর্ম=ইন্ডিয়া টাইমস|সংগ্রহের-তারিখ=১৪ জুলাই ২০২১|তারিখ=৫ মার্চ ২০২১|আর্কাইভের-তারিখ=১১ মার্চ ২০২১|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20210311070614/https://punemirror.indiatimes.com/pune/civic/pune-body-takes-up-drive-against-dowry/articleshow/81336468.cms |ইউআরএল-অবস্থা=live }}</ref> জমিয়তের আলেমরা বলেন, মানুষকে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করতে তারা [[জুমার নামাজ|জুমার নামাজকে]] একটি মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করবেন।<ref name="পুনে"/>
 
২০২১ সালের জুনে [[আসাম|আসামের]] মুখ্যমন্ত্রী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতির ঘোষণা দিলে জমিয়তের আসাম শাখা ৫ জুলাই একটি বিবৃতিতে জানায়, “সরকার জোর করে এটি বাস্তবায়ন করলে জমিয়ত সমর্থন করবে না।”<ref name="ইন্ডিয়াটুডে১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |প্রথমাংশ=হেমন্ত কুমার|শেষাংশ=নাথ |শিরোনাম=জমিয়ত উনট সাপোর্ট ইফ আসাম ফোর্সফুলি ইমপ্লিমেন্টস পপুলেশন পলিসি: জমিয়ত উলামা|ইউআরএল=https://www.indiatoday.in/india/story/jamiat-wont-support-if-assam-forcefully-implements-population-policy-jamiat-ulama-1824099-2021-07-05 |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ জুলাই ২০২১|কর্ম=ইন্ডিয়া টুডে|তারিখ=৫ জুলাই ২০২১}}</ref> সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম কাসেমি বলেন, “সংখ্যালঘুদের উপর জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি আরোপ করা যাবে না এবং জনসংখ্যা নীতি সংখ্যাগরিষ্ঠের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপর একটি আইন থাকা উচিত।”<ref name="ইন্ডিয়াটুডে১"/>
 
===কোভিড-১৯ টিকা===
২০২১ সালের জুন মাসে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের [[গুজরাত]] শাখা কোভিড-১৯ টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি শিবিরের আয়োজন করে। [[ভাবনগর]] এবং পালনপুরের মতো অঞ্চলগুলো থেকে ৬০ জন আলেম এই শিবিরে অংশ নেয়।<ref name="ড্রাইভ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ টু হোল্ড ক্যাম্পস টু স্পেরেড এওয়্যারন্যাস অন কোভিড ভ্যাকসিন|ইউআরএল=https://indianexpress.com/article/cities/ahmedabad/jamiat-ulama-i-hind-to-hold-camps-to-spread-awareness-on-covid-vaccine-7359355/ |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ জুলাই ২০২১|কর্ম=ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস|তারিখ=১৫ জুন ২০২১}}</ref> জমিয়তের সাথে যুক্ত স্থানীয় আলেম ইমরান ধেরিওয়ালা বলেন, “টিকা নিয়ে সরকারের প্রতি সম্প্রদায়ের গভীর অবিশ্বাস রয়েছে, কিন্তু জনগণের বিশ্বাস [[আল্লাহ]] যেকারো মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করেন এবং কেউ টিকা না নিলেও তিনি তাকে রক্ষা করেন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মানুষের কাছ থেকে এই ভুল ধারণা দূর করার চেষ্টা করছি। কারণ ইসলামের শিক্ষায় একজন ব্যক্তির জীবন রক্ষার জন্য ওষুধের প্রয়োজন আছে; এইভাবে টিকাকরণ প্রয়োজন ছিল এবং আমরা এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ারদেয়ার চেষ্টা করছি।”<ref name="ড্রাইভ"/> জমিয়তের আরশাদ অংশের সভাপতি [[আরশাদ মাদানি]] বলেন, “যা মানুষের জীবন বাঁচায় তা জায়েজ। আমাদের টীকা নেওয়া উচিত এবং কোভিড-১৯ থেকে নিজেদের এবং আমাদের চারপাশের সবাইকে রক্ষা করা উচিত।”<ref name="ভ্যাকসিন">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ইজ পারমিশ্যাবল ফর মুসলিমস:ক্লেরিকস |ইউআরএল=https://www.newindianexpress.com/thesundaystandard/2021/jan/03/covid-19-vaccineis-permissible-for-muslims-clerics-2244578.html |সংগ্রহের-তারিখ=১৫ জুলাই ২০২১|কর্ম=নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস|তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০২১}}</ref>
 
==প্রতিষ্ঠান==