যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
৩ নং লাইন:
[[File:View of the Zoological Gardens1835.jpg|thumb|ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি চিড়িয়াখানা,১৮৩৫]]
[[File:World zoo.png|thumb|বিশ্ব জুড়ে ছোট-বড় চিড়িয়াখানা]]
'''যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণ''' বা '''এক্স-সিটু সংরক্ষণ''' হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনও জীবের বীজ,স্পার্ম জননকোষ বা নতুন কুঁড়ি জন্মাতে সক্ষম এমন অংশ ব্যাংকেকোনও ভাণ্ডারে সংরক্ষণ ও জীবকে তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে দূরে এক কৃত্রিম জায়গায় নিয়ে এসে পালন করা হয়। আরও ভাল একটি ব্যাখ্যা হল: যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণ এমন একটি পদ্ধতি যার দ্বারা বিপদগ্রস্ত উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতি তার নিজস্ব বাসস্থান থেকে বাইরে এনে বিপদমুক্তভাবে সংরক্ষণ করা হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় আলিপুর চিড়িয়াখানায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পালন অথবা শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিপন্ন উদ্ভিদ পালন। এইসব জায়গায় এই বিপদগ্রস্ত প্রাণীগুলি মানুষের সেবায় বসবাস করে। যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণ হল সবচেয়ে প্রাচীনতম এবং উল্লেখযোগ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি।
 
== যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণ কী==
৯ নং লাইন:
 
== যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণের কৌশল ==
[[যথাস্থানিক সংরক্ষণে|যথাস্থানিক সংরক্ষণের]] মতই যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণও একটি অত্যন্ত প্রাচীন পদ্ধত।পদ্ধতি। বহু যুগ আগে থেকে মানুষ উদ্ভিদ এবং প্রাণীকে পালন করে চলেছে যা হল যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণের মূল ভিত্তি। কিন্তু এই বদ্ধভাবে প্রজনন করানো শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্যই বিদ্যমান। আজকের দিনে বদ্ধ প্রজনন এবং প্রাণী সংরক্ষণ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ এই পদ্ধতিকে এক নতুন ধারা দান করেছে। যথাস্থান-বহির্ভূত সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলো হল - ১. প্রজাতির চিহ্নিতকরণ ২. সংরক্ষণের পদ্ধতি অবলম্বন ।
 
== মানুষের যত্ন পদ্ধতি সমূহপদ্ধতিসমূহ ==
চিড়িয়াখানা ও উদ্ভিদতাত্ত্বিক উদ্যান (বোটানিক্যাল গার্ডেন) হল সবচেয়ে প্রাচীনতম পদ্ধতি যেখান থেকে দরকার মতদরকারমত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বন্য জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ওইসব প্রজাতি গুলিশুধু যে সুবিধা পায়, তাই নয়, এর একটি এর একটি শিক্ষাগত মূল্যও আছে। এই সব কেন্দ্র গুলি তে দেশ -বিদেশের বহু মানুষ ভ্রমণপরিদর্শন করে। বিশ্ব প্রাণী সংরক্ষণ কৌশল (ওয়ার্ল্ড জু কন্সারভেশান স্ট্রাটেজি, World Zoo Conservation Strategy) অনুযায়ী যেকোনো সঠিক ভাবেসঠিকভাবে পরিচালিত চিড়িয়াখানায়চিড়িয়াখানা প্রতিবছর ৬০০৬০ মিলিয়নকোটি মানুষ ভ্রমণপরিদর্শন করে।
 
== মানুষের যত্ন পদ্ধতি সমূহ ==
চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন হল সবচেয়ে প্রাচীনতম পদ্ধতি যেখান থেকে দরকার মত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বন্য জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ওইসব প্রজাতি গুলি সুবিধা পায়, তাই নয়, এর একটি এর একটি শিক্ষাগত মূল্যও আছে। এই সব কেন্দ্র গুলি তে দেশ বিদেশের বহু মানুষ ভ্রমণ করে। বিশ্ব প্রাণী সংরক্ষণ কৌশল (ওয়ার্ল্ড জু কন্সারভেশান স্ট্রাটেজি, World Zoo Conservation Strategy) অনুযায়ী যেকোনো সঠিক ভাবে পরিচালিত চিড়িয়াখানায় প্রতিবছর ৬০০ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণ করে।
বিপদগ্রস্ত উদ্ভিদ এবং প্রাণীগুলিকে বীজভাণ্ডার এবং বংশগতীয় উপাদান ভাণ্ডারের (জার্মপ্লাজম ব্যাংক) মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বীজভাণ্ডার (সিড ব্যাংক) কথাটি অনেক সময় হিমজননীয় (ক্রায়োজেনিক) পরীক্ষা ব্যবস্থাকে নির্দেশ করে, যার মাধ্যমে কোন উদ্ভিদ প্রজাতির বীজকে প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট না করিয়ে কয়েকশ' বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। যেসব উদ্ভিদকে বীজভাণ্ডারে সংরক্ষণ করা যায় না, তাদের জন্য একমাত্র উপায় হল কাচের পরীক্ষানলে (ইন-ভিট্রো) সংরক্ষণ যেখানে উদ্ভিদের কোনও অংশ যেমন মূল কাণ্ড বা পাতার কোনও অংশকে কাচের পরীক্ষানলে বা এইরূপ কোনও কৃত্রিম আধারে রেখে ফলন মাধ্যমের (কালচার মিডিয়াম) সাহায্যে চাষ করা হয়।
 
বিপদগ্রস্ত প্রাণী-প্রজাতিদের একইরকম কৌশলে সংরক্ষণ করা হয়। এইসব প্রাণীদের বংশাণুগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য বংশাণুভাণ্ডারে (জিন ব্যাংকে) এদের শুক্রাণু , ডিম্বাণু অথবা ভ্রূণ সংরক্ষণ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ডিয়েগো (San Diego) তে জুওলজিকাল সোসাইটিনগরীর
প্রাণীবিজ্ঞান সমাজ (জুওলজিকাল সোসাইটি) একটি হিমায়িত চিড়িয়াখানা বা (ফ্রোজেন জু, (Frozen Zoo) প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে আধুনিক [[হিমজনন বিজ্ঞান|হিমজননীয়]] পদ্ধতির মাধ্যমে ৩৫৫ এর৩৫৫টিরও বেশি প্রাণী-প্রজাতি সংরক্ষিত আছে।আছে, যারযাদের মধ্যে স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ ও পাখী বর্তমান।
 
== তথ্যসূত্র ==