উইকিপিডিয়া:খেলাঘর ২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) অ বট: স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার করেছে ট্যাগ: হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন |
স্পর্শকাতর বিষয়: সুদ ও ছবি, পরিষ্কারকরণ, রচনাশৈলী, বিষয়শ্রেণী, বিষয়বস্তু যোগ, বানান সংশোধন ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন:
{{খেলাঘর}}<!-- অনুগ্রহপূর্বক এই লাইনটি অপসারণ করবেন না -->বাম প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম, এখন পেশা সমাজকর্মী। তাই ধর্ম নিয়ে কোনো কথা বললে সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কিছু মাউথ ক্যাডাররা পরিপক্কতার খোলস পরে পিছনে হর-হামেশাই নানা নেতিবাচক তকমা গায়ে চাপিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়। শিশুকালে পরিবারে পরবর্তীতে পাঠচক্রে বিশেষ করে জেল জীবনে ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান চর্চার সুযোগ হয়েছিল। ধর্মীয় আলোচনায় গভীর মনোযোগী হলেও স্পর্শকারত বিষয় বিধায় সঙ্গত কারণে অযথা বিতর্ক, বক্তব্য বা মন্তব্য এড়িয়ে চলি।
একান্ত বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্মের অতি স্পর্শকাতর বিষয় সুদ নিয়ে মাহে রমজানে কিছু লিখতে হচ্ছে। সুদের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্ক নেই আধুনিক বিশ্বে সে রকম মানুষ খুঁজে পাওয়া দুরূহ। এফডিআর, ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র অথবা সঞ্চয়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত ইন্টারেস্ট বা মুনাফা যে নামেই ডাকি না কেন তা পরিপূর্ণ সুদ তাই ‘কম্বলের লোম বাছতে গেলে কম্বলই থাকবে না।’ কিন্তু মজার বিষয় ব্যাংক মালিকেরা সুদের লভ্যাংশ সরাসরি গ্রহণ করে। সেই ব্যাংক মালিক, কর্মচারী-কর্মকর্তা বা গ্রাহকদের সুদের কারবারি বলছি না; বলছি শুধু উন্নয়ন সংগঠক বা সমাজকর্মীদের কিন্তু উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ তাদের নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। উপকারভোগী বা গ্রাহকদের কোনো প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা কোনো ঋণ গ্রহীতা অপারগ হলে বা কোনো ঋণী বা তার জামিনদার মৃত্যু হলে উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান সে ঋণ মওকুফ করে থাকে, ব্যাংকে সে সুযোগ নেই। বরং দেশেরে অধিকাংশ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ঋণ কর্মসূচি সর্বস্ব নয়। তারপরেও উন্নয়ন বা সমাজ কর্মীদের সুদখোরের তকমা গায়ে লাগে; যা সত্যিই দুঃখজনক ও বিব্রতকর। পবিত্র কারআনের আলোকে মন্দ নামে ডাকা হতে যারা নিবৃত থাকে না তারা জালিম। (সূরাঃ হুজরা-ত, আয়াত-১১)
অন্য প্রসঙ্গে আসি, যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন এবং যে কোনো পদ্ধতিতেই তৈরি, আঁকা বা তোলা হোক না কেন-কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াস অর্থাৎ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা মোতাবেক প্রাণির ছবি তৈরি করা, তোলা, তোলানো, আঁকা, রাখা, দেখা, দেখানো ইত্যাদি হারাম ও নাযায়িজ।
“যারা প্রাণির ছবি তৈরি করবে, কিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরি করেছো, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান কর।” (বুখারি শরীফ ২য় জিঃ, পৃষ্ঠা: ৮৮০, মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ, পৃষ্ঠা: ২০১)। আল কোরআন ও হাদীস শরীফে স্পষ্ট নিষেধ থাকলেও নানা প্রয়োজনে বা বাধ্য হয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণে শিক্ষা ও কর্মের জন্য সেই কাজটি হর-হামেশাই করতে হচ্ছে। সামর্থ্যবান লোকের উপর জীবনে একবার হজ্ব ফরয হলেও তখন ছবি তোলা ছাড়া তাদের কোনো গত্যন্তর নেই। এই বিষয়টিতে সবাই নিশ্চুপ কেন বোধগম্য নয়! বরং কারণে অকারণে আমরা অনেকে দেদার্শে ছবি তুলে চলছি এমনকি একজন মৃত মানুষ বা ভিকটিমও রেহায় না দিয়ে অনুমোদন ব্যতীত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছি। আবার অন্যের ঈমানের যে কোনো শর্ত ভঙ্গের আশঙ্কায় ইসলাম ডুবলো, ইসলাম ডুবলো বলে রব তুলে চলেছি যা সত্যিই হাস্যকর!
দুঃখজনক হলেও সত্য, ইতিপূর্বে অনেক আলেম, ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক বা রাষ্ট্রীয় প্রধান নারীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা প্রদানের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বলা বাহুল্য তা এ সমাজে অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়নি। সময়ের প্রয়োজনে রক্ষণশীল সৌদি আরবসহ অনেক মুসলিম দেশ কট্টরতা পরিহার করে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে; তখন আমরা উল্টা পথে চলা নীতি অবলম্বন করছি। তাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামে’র ভাষায় বলতে হয় “বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে-বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে।” তাই সময় এসেছে সুদের বিষয়টি কোরআন ও হাদীসের আলোকে বিচার বিশ্লেষণ পূর্বক স্পষ্ট ফতোয়া। অকারণে বা ইচ্ছামত কাউকে তকমা প্রদান বা সুদখোর, না বলি।
|