বাগর্থবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ Zaheen শব্দার্থবিদ্যা কে বাগর্থবিজ্ঞান শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন: প্রমিত পরিভাষা অনুযায়ী শিরোনামে স্থানান্তর |
পরিভাষা সংশোধন (শব্দার্থবিদ্যা--> বাগর্থবিজ্ঞান) |
||
১ নং লাইন:
{{ভাষাবিজ্ঞান}}
'''
আপাতদৃষ্টিতে অর্থকে বেশ অস্পষ্ট, বিমূর্ত, ধরা-ছোঁয়ার বাইরের একটি বস্তু বলে মনে হতে পারে। তবে
একই বাক্য বা শব্দ ভিন্ন ভিন্ন বক্তা পরিস্থিতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করতে পারেন। এমনকি কোন কোন বাক্যের আক্ষরিক অর্থ স্ববিরোধী বা অবাস্তব হলেও ঐ বাক্যগুলির মাধ্যমে বক্তা কোন অনুভূতি অপরের কাছে প্রকাশ করতে পারেন।
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক [[এরিস্টটল|আরিস্তোত্ল]] অর্থ নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করেন, তবে তার পর
== উক্তি, [[বাক্য]] ও বচন ==
উক্তি, বাক্য ও বচন এবং এদের মধ্যকার পার্থক্য
কোন ব্যক্তির উচ্চারিত কথা, যার আগে ও পরে ব্যক্তিটি নৈঃশব্দ্য রাখেন, তাকে উক্তি (utterance) বলে। উক্তির বিশেষ্য শব্দ - কহন, বাচন, কথন, ভাষণ ইত্যাদি। উক্তি কোন ব্যক্তি দ্বারা সম্পাদিত একটি ক্ষণস্থায়ী ভৌত ঘটনা, যা সম্পাদন শেষে বাতাসে মিলিয়ে যায়। উক্তি হল কোন ব্যক্তি কর্তৃক ভাষার একটি অংশের ব্যবহার। এটা একটিমাত্র শব্দ হতে পারে, একটি শব্দগুচ্ছ হতে পারে, এক বা একাধিক বাক্যও হতে পারে। উক্তির সাথে বক্তার বলার ভঙ্গি, স্বরাঘাত, ও কণ্ঠস্বর, ইত্যাদি ব্যাপারগুলি জড়িত।
১৯ নং লাইন:
বাস্তব বিশ্বে বেশির ভাগ মানুষের উচ্চারিত বিভিন্ন উক্তি পূর্ণাঙ্গ বাক্য হিসেবে উচ্চারিত হয় না। কিন্তু এই উক্তিগুলি বিশ্লেষণ করার সময় এগুলিকে পূর্ণাঙ্গ বাক্যের খণ্ডিত অংশ হিসেবে গণ্য করলে বিশ্লেষণে সুবিধা হয়।
দুইটি বচন একই কি না তা বের করার জন্য সত্যের ধারণা কাজে লাগানো যায়। যদি একই পরিস্থিতিতে কোন একটি বচন [[সত্য]] হয় এবং অপরটি মিথ্যা হয়, তবে বচন দুইটি ভিন্ন। সত্য বচনগুলি সত্য ঘটনা (fact)-র সাথে সম্পর্কিত। মিথ্যা বচনগুলি সত্য ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমরা মনের ভেতরে সত্য বা মিথ্যা দুই ধরনের বচনই তৈরি করতে পারি এবং এগুলি বিশ্বাসও করতে পারি, কিন্তু কেবল সত্য বচনগুলিই "জানা" সম্ভব। অর্থাৎ জ্ঞান বা knowledge হল সমস্ত সত্য বচনের সমষ্টি।
৪৯ নং লাইন:
== অর্থ ও নির্দেশন ==
নির্দেশন বলতে শব্দ বা শব্দগুচ্ছের মাধ্যমে কোন বক্তার বাস্তব বিশ্বের কোন ব্যক্তি, বস্তু, ঘটনা, ইত্যাদিকে নির্দেশ করাকে বোঝায়। যেমন - ''তামীম একটা খেলনা গাড়ি উপহার পেল।'' বাক্যটিতে "খেলনা গাড়ি" শব্দগুচ্ছটি দিয়ে বক্তা একটি বাস্তব খেলনা গাড়িকে নির্দেশ করছেন এবং "তামীম" শব্দটি দিয়ে সম্ভবত একটি বাস্তব মনুষ্যশিশুকে নির্দেশ করছেন। একই শব্দ, শব্দগুচ্ছ বা বাক্য দিয়ে পরিস্থিতিভেদে বিভিন্ন বাস্তব বস্তু নির্দেশ করা যেতে পারে। যেমন - "তামীম" শব্দটি ঐ নামের অসংখ্য মানুষের যেকোন একটিকে নির্দেশ করতে পারে। "খেলনা গাড়ি" শব্দদ্বয় পৃথিবীর অসংখ্য খেলনা গাড়ির যেকোনটিকে নির্দেশ করতে পারে। আবার উলটোবভাবে দুইটি ভিন্ন শব্দ, শব্দগুচ্ছ বা বাক্য একই বস্তু বা ব্যক্তিকে বোঝাতে পারে। যেমন - "২০০৫ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান" এবং "জর্জ ওয়াকার বুশ" একই ব্যক্তিকে নির্দেশ করে। যাকে নির্দেশ করা হয়, তাকে বলা হয় নির্দেশিত (referent)।
৫৫ নং লাইন:
অন্যদিকে অর্থ (ইংরেজি sense-এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে) বলতে একটি আর্থিক সম্পর্কের সংশ্রয়ে (system of semantic relationship) অন্যান্য কথার (expressions) প্রেক্ষিতে কোন একটি কথার অবস্থানকে বোঝায়। ভিন্ন ভিন্ন শব্দ বা শব্দগুচ্ছ কোন বাক্যে একই অর্থে (sense-এ) ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন - ''লাঠিটা খাঁড়া দাড়িয়ে আছে'' এবং "লাঠিটা উল্লম্ব দাঁড়িয়ে আছে" বাক্য দুইটিতে "খাঁড়া" ও "উল্লম্ব" একই অর্থে ব্যবহৃত।
একই শব্দ ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন - "নদীর পাড়" এবং "শাড়ির পাড়"-এ "পাড়" শব্দটি দুইটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত। এই ধরনের ঘটনাকে
অর্থ (sense) কোন বাস্তব বস্তুকে নির্দেশ করে না। এটা আসলে ঠিক কী নির্দেশ করে তা সংজ্ঞার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা কঠিন। অর্থ বিমূর্ত ও মানসিক। যখন একজন ব্যক্তি কোন কথা বুঝতে পারেন, তখন তিনি কথাটির অর্থ (sense) ধরতে পেরেছেন বলে গণ্য করা হয়।
সমস্ত কথা বা
কোন শব্দ বা শব্দগুচ্ছের যেমন একটি পূর্ণ বাক্যের মত ব্যাকরণগত সম্পূর্ণতা নেই, ঠিক একইভাবে কোন শব্দ বা শব্দগুচ্ছের অর্থ (sense) একটি বচনের মত আর্থিক সম্পূর্ণতা ও স্বাধীনতা প্রকাশ করতে পারে না। কোন শব্দ বা শব্দের অর্থ জেনেই এটি কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে তা বলা যায় না, একটি বৃহত্তর বচনের কাঠামোয় ফেলে এর অর্থ (sense) বিশ্লেষণ করতে হয়।
অর্থ (sense) বলতে আসলেই কী বোঝায়, তা সম্পর্কে
== পাদটীকা ও তথ্যনির্দেশ ==
|