ভিমের পান্টি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
(সংশোধন)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
১৩৩ নং লাইন:
১- শান্ডিল্য বংশে (বিষ্ণু ?) তদীয় অন্বয়ে বীরদেব, তদগোত্রে পাঞ্চাল এবং পাঞ্চাল হইতে (তৎপুত্র) গর্গ জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন।
 
২- সেই গর্গ বৃহস্পতিকে এই বলিয়া উপহাস করিতেন যে- ( শত্রু) ইন্দ্রদেব কেবল পূর্বদিকেরই অধিপতি, দিগন্তরের অধিপতি ছিলেন না ( কিন্তু বৃহস্পতির মত মন্ত্রী থাকিতেও ) তিনি সেই একটি মাত্র দিকেও ( সদ্য) দৈত্যপতিগণ কতৃককর্তৃক পরাজিত হইয়াছিলেন, ( আর) আমি সেই পূর্বদিকের অধিপতি ধর্ম (নামক) নরপালকে অখিল দিকের স্বামী করিয়া দিয়াছি।
 
৩- নিসর্গ- নির্মল- স্নিগ্ধা চন্দ্রপত্নী কান্তিদেবীর ন্যায়, অন্তবিবর্তিনী ইচ্ছায় অনুরূপা, তাহার ইচ্ছা নাম্নী পত্নী ছিলেন।
১৮৬ নং লাইন:
২৭- তাঁহার (সুকুমার) শরীর-শোভার ন্যায় লোক-লোচনের আনন্দদায়ক, তাঁহার উচ্চান্তকরণের অতুলনীয় উচ্চতার ন্যায় উচ্চতা-যুক্ত, তাঁহার সুদৃঢ় প্রেম-বন্ধনের ন্যায় দৃঢ় সংবদ্ধ, কলি-হৃদয়-প্রোথিত-শল্যবৎ সুস্পষ্ট ( প্রতিভাত) এই স্তম্ভে, তাঁহার দ্বারা হরির প্রিয়সখা ফণিগণের (শত্রু) এই গরুড়মূর্তি ( তার্ক্ষ্য) আরোপিত হইয়াছে।
 
২৮- তাঁহার যশ অখিল দিগন্ত পরিভ্রমণ করিয়া, এই পৃথিবী হইতে পাতাল-মূল পর্যন্ত গমন করিয়া, (আবার) এখানে হৃতাহি- গরুড়চ্ছলে উত্থিত হইয়াছে। (এই) প্রশস্তি সূত্রধার বিষ্ণুভদ্র কতৃককর্তৃক উৎকীর্ণ হইয়াছে।পাল নৃপতি নারায়ণপাল দেবার রাজত্বকালে ( ৮৫৪-৯০৮ খ্রি) তার মন্ত্রী গুরব মিশ্রের এই প্রশস্তিতে তার পূর্বপুরুষ কেদার মিশ্র ( পিতা), সোমেশ্বর ( পিতামহ), দর্ভপাণি ( প্রপিতামহ), গর্গ ( প্র-প্র-পিতামহ) প্রমুখ সম্পর্কেও প্রশংসা বাক্য আছে। গুরব মিশ্র নারায়ণ পালের, কেদার মিশ্র সূরপাল ও দেবপালের, দর্ভপাণি দেবপালের এবং গর্গ ধর্মপালের মন্ত্রী ছিলেন বলে স্তম্ভলিপিতে উল্লেখ আছে।
 
স্তম্ভলিপিটি দেখে অতি সহজেই অনুমান করা যায় যে, এটি একটি বিশেষ লিপি এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে এবং বিশেষ একটি স্থানে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অথচ বর্তমানে মঙ্গলবাড়িতে প্রাচীন কীর্তির এমন কোন ধ্বংসবাশেষ মেলে না যাতে এই স্থানকে পালদের কোন জয়স্কন্ধকার না প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ধরা যায়। কতগুলি প্রাচীন জলাশয়, একটি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসবাশেষ বহনকারী একটি ঢিবি ( শিব মন্দিরের ঢিবি), মাটির নিচে এখানে ওখানে কিছু কিছু প্রাচীন কালের ইটের অস্তিত্ব এবং কিছু কিছু প্রাচীন মূর্তির ভগ্নাংশ এ স্থানের প্রাচীনত্বের নির্দেশ বহন করে তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু এর বেশি কিছুর প্রমাণ মেলে না।প্রাপ্ত তথ্য মতে মনে হয় এখানে পাল বংশীয় নৃপতিদের কোন প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল না। খুব সম্ভব এখানে গুরবমিশ্র- কেদার মিশ্রের বাসস্থান বা মিশ্রবংশীয় ব্রাহ্মণদের আদি নিবাস ছিল এবং তাদের বংশের প্রশস্তি প্রচার করার প্রকৃষ্ট স্থান হিসেবে স্তম্ভ লিপিটি তাদের বংশপরম্পরাগত বাসস্থানের নিকটবর্তী স্থানে প্রোথিত হয়েছিল। তাদের আবাসবাটি যে এখানে ছিল তা লিপির পাঠ থেকে বোঝা যায়। ১৫ নং শ্লোকে আছে -- সেই বৃহস্পতি- প্রতিকৃতি ( কেদার মিশ্রের) যজ্ঞস্থলে সাক্ষাৎ ইন্দ্র তুল্য শত্রু- সংহারকারী নানা-সাগর-মেখলা-ভরণা বসুন্ধরার চির-কল্যাণকামী শ্রী শূরপাল ( নামক) নরপাল, স্বয়ং উপস্থিত হইয়া, অনেকবার শ্রদ্ধা- সলিলাপ্লুত হৃদয়ে নতশিরে পবিত্র ( শান্তি) বারি গ্রহণ করিয়াছিলেন। এতে কেদার মিশ্রের যজ্ঞ শেষে শান্তিবারি প্রদান করার সুস্পষ্ট উল্লেখ দেখা যাচ্ছে।