দেবেন্দ্র মোহন বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সিতাংশু কর (আলোচনা | অবদান)
অতিরিক্ত শব্দ অপসারণ
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সিতাংশু কর (আলোচনা | অবদান)
বানান শুদ্ধি
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৫ নং লাইন:
 
== শৈশব ও শিক্ষাজীবন ==
বাংলাদেশের [[কিশোরগঞ্জ]] জেলার ইটনা থানার জয়সিদ্ধি গ্রামে ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী দেবেন্দ্র মোহন বসু জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহিনী মোহন বসু। তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। রেংলার আনন্দ মোহন বসু তার সহোদর কাকা। বাল্যকালে পিতৃবিয়োগ ঘটলে মাতুল বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর সান্নিধ্যে ভারতে বসবাস করেন।<ref>[http://www.kishorgonj.com/?p=3127 আমাদের কিশোরগঞ্জ]</ref> শৈশবে দেবেন্দ্রমোহনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল একটি ব্রাহ্ম বালিকা বিদ্যালয়ে। বালিকা বিদ্যালয় হলেও এতে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত সহশিক্ষা চালু ছিল। এরপর তিনি আনন্দমোহন বসু প্রতিষ্ঠিত সিটি কলেজিয়েট স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং এ স্কুল থেকেই [[এন্ট্রান্স]] পাশ করেছেন। ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে তার পিতার মৃত্যু হয়। এসময় তিনি অভিভাবক হিসেবে পেলেন বৈজ্ঞানিক জগদীশচন্দ্র বসুকে। এন্ট্রান্স পাশ ক'রে দেবেন্দ্রমোহন [[প্রেসিডেন্সি কলেজ|প্রেসিডেন্সি কলেজে]] ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পিতার মৃত্যুর পর দ্রুত জীবিকা অর্জ্জনেরঅর্জনের তাগিদে ভর্তি হলেন শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, প্রকৌশলী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। এ সময় তিনি ছাত্রবাসে অবস্থান করতেন। কিছুদিন পর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাকে বাড়ী ফরেঁ আসতে হয় ; আর তার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফিরে যাওয়া হয় নি। এসময় কবি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] পরামর্শ দিলেন মামা জগদীশচন্দ্রের মত পদার্থবিজ্ঞান পড়তে। দেবেন্দ্রমোহন পুনরায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হলেন পদার্থবিদ্যা আর ভূতত্ত্ব নিয়ে। যথাসময়ে প্রথম শ্রেণী সহ বিএসসি পাস করলেন। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে এমএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হলেন;- জগদীশচন্দ্র বসু তখন বায়োফিজিক্স ও প্ল্যান্ট ফিজিওলজি নিয়ে গবেষণা করছেন। দেবেন্দ্র মোহন যোগ দিলেন জগদীশচন্দ্রের রিসার্চ গ্রুপে শিক্ষানবিশ গবেষক হিসেবে [3]। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে দেবেন্দ্র মোহন ইংল্যান্ডে গিয়ে [[কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়|কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হলেন। এখানে তিনি ক্যাভেনডিশ ল্যাবে স্যার জে জে থমসন ও চার্লস উইলসনের সাথে কাজ করার সুযোগ লাভ করলেন। ১৯০৮ থেকে ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ক্যাভেন্ডিশ ল্যাবে কাজ করেছেন দেবেন্দ্রমোহন। ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে দেবেন্দ্রমোহন লন্ডনের [[রয়েল কলেজ অব সায়েন্স|রয়েল কলেজ অব সায়েন্সে]] ভর্তি হলেন। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে এখান থেকেই ডিপ্লোমা ও প্রথম শ্রেণীর অনার্স সহ বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। <ref name="সংসদ"> সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৩০৫, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref>
 
== কর্মজীবন ==