চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
লিংক সংযোজন
২৪ নং লাইন:
 
== অবস্থান ==
[[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামের]] খুলশী থানার অন্তর্গত এবং নগরীর জাকির হোসেন রোডে এটি অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.chittagong.gov.bd/node/371472/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF |সংগ্রহের-তারিখ=১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170103013742/http://www.chittagong.gov.bd/node/371472/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF |আর্কাইভের-তারিখ=৩ জানুয়ারি ২০১৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে রয়েছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। আর সামনে পাহাড়তলী এলাকা। আর পেছনদিকে অর্থাৎ, উত্তর দিকে রয়েছে [[ফয়েজ লেক।লেক]]।
 
== ইতিহাস ==
১৯৯৫-১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার সিলেট ও চট্টগ্রামে দুটি ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে, দিনাজপুর ও বরিশালে আরো দুটি ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি কলেজের প্রাথমিক নাম ছিল চট্টগ্রাম সরকারী ভেটেরিনারি কলেজ, সংক্ষেপে চসভেক। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]] এর অধীনে একটি কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজটির পড়াশুনার ব্যাপকতার জন্য, বড় সিলেবাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি নিয়ে কলেজটিকে একটি আলাদা অনুষদে রূপান্তরিত করে। তখন পুরো চট্টগ্রামে কোন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ফলে চসভেককেই আলাদা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার জোড় দাবি ওঠে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এই দাবির সাথে একাত্নতা পোষণ করে। এই দাবী মোটামুটি একটি আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রামের সমাজ সেবক ও [[দৈনিক পূর্বকোণ|দৈনিক পূর্বকোণের]] চেয়ারম্যান ইউসুফ চৌধুরী। তার এই অবদানের জন্য সিভাসুর একটি ভবনের নাম রাখা হয় ইউসুফ চৌধুরী ভবন। এই আন্দোলনের ফলে ২০০৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে চসভেককে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী [[বেগম খালেদা জিয়া]] ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে এটিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ৭ই আগস্ট এটি যাত্রা শুরু করে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও মাৎস্যবিজ্ঞান নামে আরো দুটি অনুষদ সহ মোট তিনটি অনুষদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.cvasu.ac.bd/cms/journey |সংগ্রহের-তারিখ=২১ জানুয়ারি ২০১৫ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150923212023/http://www.cvasu.ac.bd/cms/journey |আর্কাইভের-তারিখ=২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> চসভেক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এর প্রিন্সিপাল ছিলেন অধ্যাপক নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ। বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হন। ২০১০ সাল পর্যন্ত উপাচার্য হিসেবে ছিলেন।
== গবেষণা ==
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়মিত গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়। ২০১৮ সালে ডিএনএ সেক্সিং প্রযুক্তির সাহায্যে শৌখিন পাখির লিঙ্গ নির্ধারণে সাফল্য পায় সিভাসুর একদল গবেষক। বাংলাদেশে এই প্রযুক্তিতে এই প্রথম সাফল্য অর্জিত হয়। আগে লিঙ্গ নির্ধারণে প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করে পাখির নমুনা বিদেশে পাঠাতে হতো।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=দেশেই হবে শৌখিন পাখির লিঙ্গ নির্ধারণ |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1565421/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3 |সংগ্রহের-তারিখ=২০ জুন ২০১৯ |প্রকাশক=প্রথম আলো |তারিখ=১৫ নভেম্বর ২০১৮}}</ref> ৩.৭৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে সিভাসু গবেষণা তরী [[কাপ্তাই হ্রদ|কাপ্তাই হ্রদে]] নামানো হয়। এই গবেষণা তরীতে ১২ জন গবেষক একসাথে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া এখানে থাকার সু-ব্যবস্থাও আছে। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছ কেন কমে যাচ্ছে, এই সংস্ক্রান্ত কারণ উদ্ঘাটনে গবেষণা প্রকল্পটি শুরু করা হয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=রাঙ্গামাটিতে গবেষণা তরী নামার জন্য প্রস্তুত |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/city/news/research-vessel-ready-set-sail-rangamati-1725043 |সংগ্রহের-তারিখ=৪ জুন ২০১৯ |প্রকাশক=দ্যা ডেইলি স্টার |তারিখ=৫ এপ্রিল ২০১৯}}</ref> ২০২০ সালে ছড়িয়ে পড়া [[করোনাভাইরাস|করোনা ভাইরাস]] মহামারীতে এই ভাইরাসের জিনোম রহস্য উন্মোচন করে সিভাসু। [[বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিসেস|বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস]][[বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট|বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের]] সাথে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়। চারটি দেশের ভাইরাসের সাথে জিনগত মিল দেখতে পাওয়া যায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=জিনোম সিকোয়েন্স: চট্টগ্রামের করোনাভাইরাসের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুরের ভাইরাসের মিল |ইউআরএল=https://www.thedailystar.net/bangla/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B2-151798 |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ মে ২০২০ |তারিখ=মে ২১, ২০২০}}</ref>
 
== শিক্ষাঙ্গণ ==
৫৯ নং লাইন:
* বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (নির্মানাধীন, হাটহাজারী ক্যাম্পাস)
=== কক্সবাজার আউটরিচ ক্যম্পাস ===
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই ক্যম্পাস তৈরির কাজ শুরু হয়। [[কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ]] সংলগ্ন দরিয়ানগর এলাকায় এই ক্যাম্পাস অবস্থিত। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=কক্সবাজারে আউটরিচ ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর আজ |ইউআরএল=https://samakal.com/todays-print-edition/tp-priyo-chittagong/article/1511174940/%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%9C |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ এপ্রিল ২০১৯ |তারিখ=২২ নভেম্বর ২০১৫}}</ref> এটিই বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আউটরিচ ক্যাম্পাস। ছাত্রদের জন্য পৃথক দুটি ছাত্রাবাস এবং শিক্ষকদের জন্য আবাসনের কাজ চলমান রয়েছে। ক্যাম্পাসটি তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় এবং পাহাড়ে ঘেরা ৫ একর জমি দেয়া হয়। ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাম্পাসটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=আরও একটি ক্যাম্পাস হবে কক্সবাজারে |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/645916/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87 |ওয়েবসাইট=প্রথম আলো |সংগ্রহের-তারিখ=২৪ এপ্রিল ২০১৯}}</ref>
 
=== হাটহাজারী রিসার্চ এন্ড ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাস ===