কিতো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Swarlok100 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Swarlok100 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে/২০২১}}{{Infobox settlement
<!--See Template:Infobox settlement for additional fields that may be available-->
| name = কিতো
১১৯ নং লাইন:
=== ঔপনিবেশিক পর্যায় ===
১৫৩৪ সাল পর্যন্ত ইনকা উপজাতিদের স্প্যানিশ উপনিবেশ প্রতিরোধের প্রচেষ্টা পাওয়া যায়। দিয়েগো দি আলমাদ্রো ১৫ই আগস্ট, ১৫৩৪ সালে সান্তিয়াগো দি কিতো প্রতিষ্ঠা করেন যাকে পরবর্তীতে ২৮শে আগস্ট, ১৫৩৪ সালে স্যান ফ্রান্সিসকো দি কিতো নামে নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে ৬ই ডিসেম্বর, ১৫৩৪ এ সেবাস্তিয়ান দি বেনালকাজার এর নেতৃত্বে ২০৪ জন ব্যক্তি মিলে শহরটির বর্তমান স্থানেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। তিনি এলাকার নেতা রুমিনাহুলকে আটক করেন যার মধ্য দিয়ে সকল প্রতিরোধের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ১৫৩৫ সালের ১০ই জানুয়ারি রুমিনাহুলকে হত্যা করা হয়।
 
 
 
১৮৪১ সালের ২৮শে মার্চ কিতো কে শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ১৫৫৬ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি শহরটিকে Noble y Muy Leal Ciudad de San Francisco de Quito (স্যান ফ্রান্সিসকো দি কিতো এর খুব মহৎ ও অনুগত শহর) উপাধি দেওয়া হয়। এই ঘোষণা শহরটির উন্নয়নের পরবর্তী ধাপের সূচনা করে। ১৫৬৩ সালে শহরটির স্পেনের Real Audiencia (প্রশাসনিক জেলা) এর একটি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৭১৭ সাল পর্যন্ত শহরটি পেরু viceroyalty (রাজপ্রতিনিধিত্ব) এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে তা নব্য গ্রানাদা রাজ প্রতিনিধিত্ব এর অংশ হয়। উভয় রাজপ্রতিনিধিত্ব এর অধীনেই জেলাটি কিতো থেকেই পরিচালিত হয়।
 
 
 
স্প্যানিশরা কিতোতে রোমান ক্যাথলিক ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিল। শহরটি সরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই প্রথম গির্জা (এল বেলান) নির্মিত হয়েছিল। ঔপনিবেশিক সময়কালে নির্মিত প্রায় ২০টি গির্জা এবং কনভেন্টগুলির মধ্যে প্রথমটি স্যান ফ্রান্সিসকো কনভেন্ট যা ১৫৩৫ সালের জানুয়ারিতে নির্মিত হয়েছিল। স্প্যানিশরা আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে খ্রিস্টধর্মে রূপান্তরিত করে এবং তাদের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে।
 
 
 
১৭৩৩ সালে, স্প্যানিশ উপনিবেশের প্রায় ২১০ বছর পরে কিতো প্রায় ১০,০০০ জনগণের একটি শহর ছিল। কিতো বিদ্রোহের সময় ১৭৬৫ এবং ১৭৬৬ এর মধ্যে স্প্যানিশদের কাছ থেকে স্বল্প সময়ের জন্য কিতো নিজের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেছিল।
 
 
 
১৮১০ সালের ২রা আগস্ট পেরু থেকে ঔপনিবেশিক সেনারা উপস্থিত হয়ে এই বিদ্রোহের নেতাদের এবং প্রায় ২০০ জন ব্যাক্তিকে হত্যা করে এই প্রাথমিক আন্দোলনটিকে ব্যর্থ করে। তবে ধারাবাহিক বিদ্রোহের শেষে সিমন বলিভারের নেতৃত্বে হোসে দি সুক্রে ১৮২২ সালের ২৪শে মে আগ্নেয়গিরির ঢালে পিচিঞ্চা যুদ্ধে সেনাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাদের বিজয় কিতো এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলির স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছিল।
 
=== প্রজাতান্ত্রিক ইকুয়েডর ===
 
১৮৩৩ সালে কিতো মুক্ত অধিবাসী সমাজের সদস্যরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। ১৮৪৫ সালের মার্চ মাসের ৬ তারিখ মার্সিস্ট বিপ্লব শুরু হয়। ১৮৭৫ সালে দেশটির রাষ্ট্রপতি গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মোরেনোকে কিতোতে হত্যা করা হয়েছিল। এর দু'বছর পরে, ১৮৭৭ সালে আর্চবিশপ হোসে ইগানাসিও চেকা ওয়াই বার্বাকে কুইটোতে গণ উদযাপনের সময় বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়।
 
১৪৪ ⟶ ১৩৫ নং লাইন:
১৮৮২ সালে বিদ্রোহীরা স্বৈরশাসক ইগনাসিও দে ভেনটিমিল্লার শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। যাহোক, এতে সারা দেশে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল তা শেষ করেনি। ১৮৮৩ সালের ৯ই জুলাই উদারপন্থী কমান্ডার এলয় আলফারো গায়াকিলের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং ৪ঠা সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯১১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব শেষ করে তিনি ইউরোপে চলে যান।১৯১২ সালে তিনি ইকুয়েডরে ফিরে এসে ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন। ১৯১২ সালের ২৮ জানুয়ারী তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ও কারাগারে বন্দী করা হয় এবং হত্যা করা হয়। তাঁর মৃতদেহ রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় কিতো শহরের একটি পার্কে, যেখানে তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
 
১৯৩২ সালে Four Days' War (চার দিনের যুদ্ধ) শুরু হয়। এটি ছিল একটি গৃহযুদ্ধ যা নেপতালি বোনিফাজ এর পেরুভিয়ান পাসপোর্ট বহনের উপলব্ধি ও তার নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শুরু হয়। ১৯৪৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি এইচ জি ওয়েলসের উপন্যাস দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডসের উপন্যাসের বাস্তবধর্মী প্রচারের ফলে শহরব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দাঙ্গাবাজদের দেওয়া আগুনে পুড়ে বিশেরওবিশের বেশি লোকের মৃত্যু হয়।
 
একুশ শতক
 
=== একুশ শতক ===
২০১১ সালে শহরটির জনসংখ্যা ছিল ২,২৩৯,১৯১। ২০০২ সাল থেকে শহরটি ঐতিহাসিক কেন্দ্রগুলো নবায়নের কাজ চলছে। একটি জলাশয় ভরাট করে নির্মিত পুরনো বিমানবন্দরটি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এ বন্ধ করা হয়। এই অঞ্চলটি "পার্কে বাইসেনটারিও" (দ্বিখণ্ডক পার্ক) হিসেবে পুনর্নবীকরণ করা হয়। কেন্দ্রীয় কুইটো থেকে ৪৫ মিনিট দূরত্বের নতুন মার্সিকাল সুক্রে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ এ বিমান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
 
২০০৩ এবং ২০০৪ এর মধ্যে শহরটি উত্তর থেকে দক্ষিণে অতিক্রমকারী করে মেট্রোবাস (Ecovia) এর বাস লাইনগুলি নির্মিত হয়েছিল। ট্র্যাফিক প্রবাহ বৃদ্ধি করতে অনেক রাস্তা বর্ধিত ও প্রসারিত করা হয় এবং রাস্তাগুলো জ্যামিতিকভাবে পুনর্গঠন করা হয়। একটি নতুন পাতাল রেল তৈরির কাজ এখনো চলছে।
 
== ভূগোল ==
 
কিতো ইকুয়েডরের উত্তর উচ্চভূমি অঞ্চলে গুয়ায়ল্লাম্বা নদী অববাহিকায় অবস্থিত। শহরটি পিচিঞ্চা আগ্নেয়গিরির পূর্ব অংশে একটি দীর্ঘ মালভূমিতে অবস্থিত। গুয়ায়ল্লাম্বা নদীর উপত্যকায় যেখানে কিতো রয়েছে আগ্নেয়গিরিতে পূর্ণ যাদের মধ্যে কয়েকটি বরফ দ্বারা আবৃত এবং একটি পরিষ্কার দিনে শহর থেকে দৃশ্যমান। নিরক্ষীয় অঞ্চলের নিকটতম রাজধানী শহর কিতো। কিতোর উচ্চতা ২,৮২০ মিটার (৯,২৫০ ফুট)।
 
=== নিকটবর্তী আগ্নেয়গিরি ===
 
কিতোর নিকটতম আগ্নেয়গিরিটি হলো পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত পিচিঞ্চা। কিতো হলো একমাত্র রাজধানী শহর যা একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির এত কাছাকাছি গড়ে উঠেছে। পিচিঞ্চা আগ্নেয়গিরির কয়েকটি চূড়া রয়েছে যার মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৭০০ মিটার (১৫,৪০০ ফুট) উপরে রুকু পিচিঞ্চা এবং ৪,৭৯৪ মিটার (১৫,৭২৮ ফুট) উপরে গুয়াগুয়া পিচিঞ্চা রয়েছে।
 
১৬৪ ⟶ ১৫২ নং লাইন:
আশেপাশের অন্যান্য আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপও শহরটিকে প্রভাবিত করতে পারে। ২০০২ সালের নভেম্বরে আগ্নেয়গিরি রেভেন্টেডর উদ্গীরিত হয়েছিল এবং শহরটিতে বেশ কয়েক সেন্টিমিটার গভীরতার সূক্ষ্ম ছাই কণা বর্ষিত হয়েছিল।
 
=== জলবায়ু ===
 
কিতোর দক্ষিণাঞ্চলের জলবায়ু উপ-ক্রান্তীয় উচ্চভূমি জলবায়ু রয়েছে (কপেন জলবায়ু শ্রেণিবিভাগ সিএফবি), যেখানে উত্তরাঞ্চলে উষ্ণ-গ্রীষ্মীয় ভূমধ্য জলবায়ু রয়েছে (কপেন জলবায়ু শ্রেণিবিভাগ সিএসবি)। নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থান ও এর উচ্চতার কারণে, কিতোতে মোটামুটি শীতল আবহাওয়া বিদ্যমান থাকে। দুপুরের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.৪° সেলসিয়াস (৭০.৫° ফারেনহাইট), এবং রাতের সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮° সেলসিয়াস ৪৯.৬° ফারেনহাইট) হয়। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ১৫.৬° সেলসিয়াস (৬০.১° ফারেনহাইট) হয়। শহরটিতে কেবল দুটি ঋতু রয়েছে: শুষ্ক এবং আর্দ্র। শুকনো মৌসুম হচ্ছে জুন থেকে সেপ্টেম্বর (৪ মাস) যাকে গ্রীষ্ম হিসাবে উল্লেখ করা হয়। আর্দ্র মৌসুম হচ্ছে অক্টোবর থেকে মে (৮ মাস) যাকে শীত হিসাবে অভিহিত করা হয়। অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ১০০০ মিমি (৩৯ ইঞ্চি) হতে পারে।
 
১৭২ ⟶ ১৫৯ নং লাইন:
কুইটো প্রায় নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থিত যার অর্থ হলো উচ্চ চাপ এখানে অত্যন্ত বিরল। চাপ স্থিতিশীল থাকায় খুব নিম্নচাপও বিরল।উচ্চ চাপের অভাব সত্ত্বেও কিতো নিষ্পত্তি আবহাওয়া অনুভব করতে পারে। সাধারণত, উচ্চচাপ মধ্যরাতের কাছাকাছি এবং নিম্নচাপ মধ্য বিকেলের দিকে দেখা যায়।
 
== স্থল অঞ্চল ==
কিতো তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত যাদের প্রতিটি পাহাড় দ্বারা পৃথকীকৃত:
 
# কেন্দ্রীয়: ঔপনিবেশিক প্রাচীন শহরটি এখানে অবস্থিত
# দক্ষিণ: মূলত শিল্পাঞ্চল ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির আবাসিক অঞ্চল
# উত্তর: আধুনিক কিতো, সুউচ্চ ভবন, শপিং সেন্টার, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষদের আবাসিক অঞ্চলে পরিপূর্ণ।
 
== অর্থনীতি ==
জাতীয় জিডিপিতে ও মাথাপিছু আয়ে সর্বোচ্চ অবদানকারী শহর হলো কিতো। ইকুয়েডরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালিত সর্বশেষ সমীক্ষা অনুসারে কিতো ইকুয়েডরে সর্বোচ্চ পরিমাণ কর আদায় করেছে, যা ২০০৯ সালে ৫৭% ছাড়িয়েছে। বর্তমানে এটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
 
কুইটোতে শীর্ষস্থানীয় শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল শিল্প, ধাতু শিল্প। কৃষিক্ষেত্রে প্রধান রপ্তানি দ্রব্য কফি, চিনি, কাকাও, চাল, কলা এবং পাম তেল।
== সরকার ও রাজনীতি ==
 
কিতো একজন নগরাধ্যক্ষ এবং ১৫ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি নগর পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হয়। নগরাধ্যক্ষ পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন এবং পুনরায় নির্বাচিত জুয়াননরেন। কিতো (ক্যান্টন) মেট্রোপলিটন জেলার মেয়র হিসাবেও এই অবস্থানটি দ্বিগুণ। বর্তমান মেয়র হলেন হোর্হে ইউন্দা মাচাদো।
দেশটির বৃহত্তম এবং লাতিন আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান পেট্রোইকুয়েডরের সদর দপ্তর কিতোতে অবস্থিত।
 
অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তেল কর্পোরেশন এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের সদর দপ্তর এবং আঞ্চলিক দপ্তরগুলোও কিতোতে অবস্থিত যা একে একটি বিশ্বমানের ব্যবসায়িক নগরী হিসাবে গড়ে তুলেছে।
 
"The World according to" এর বৈশ্বিক শহর প্রতিবেদন, যা বৈশ্বিক শহরের নেটওয়ার্কের সাথে একটি শহরের সংহতকরণের পরিমাপ করে সেই প্রতিবেদনে কুইটোকে বিটা শহর হিসাবে স্থান দেওয়া হয়েছে যা অঞ্চলটিকে বা রাষ্ট্রটিকে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে যুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মহানগরী হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
 
== সরকার ও রাজনীতি ==
 
=== সরকার ===
কিতো একজন নগরাধ্যক্ষমেয়র এবং ১৫ সদস্য বিশিষ্ট্যসদস্যের একটি নগর পরিষদ দ্বারা পরিচালিতপরিচালিত। হয়। নগরাধ্যক্ষমেয়র পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন এবং মেয়াদ শেষে পুনরায় নির্বাচিত জুয়াননরেন।হতে পারবেন। কিতো (ক্যান্টন) মেট্রোপলিটন জেলারজেলায় মেয়রএই হিসাবেওপরিষদের এইসদস্য অবস্থানটিসংখ্যা দ্বিগুণ।দ্বিগুণ হয়। বর্তমান মেয়র হলেন হোর্হেজর্জে ইউন্দাইউন্ডা মাচাদো।
 
=== শহুরে যাজকপল্লী ===
ইকুয়েডরে ক্যান্টনগুলো যাজকপল্লীতে বিভক্ত হয় কারণ এগুলো মূলত ক্যাথলিক চার্চের দ্বারা পরিচালিত হতো। যাজকপল্লীগুলোকে শহুরে বলা হয় যদি তারা তাদের সংশ্লিষ্ট ক্যান্টনের মূল সীমানার মধ্যে থাকে এবং সেই সীমানার বাইরে থাকলে তাকে গ্রাম্য যাজকপল্লী বলা হয়। কিতো শহরের ভিতরে, যাজকপল্লীগুলো যেসব সংস্থার অধীনে (যেমন, পৌরসভা, ডাক পরিষেবা, ইকুয়েডর পরিসংখ্যান সংস্থা) সেসব সংস্থার উপর ভিত্তি করে ভাগ করা হয়।
 
২০০৮ সালের হিসাব অনুসারে কিতো পৌরসভা শহরটিকে ৩২ টি শহুরে যাজকপল্লীতে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনিক কাজের উদ্দেশ্যে কিতোর পৌরসভাগুলো এই যাজকপল্লীগুলো ব্যবহার করে যা ২০০১ সাল থেকে এটি  ক্যাবিলডোস নামেও পরিচিত। এই যাজকপল্লীগুলো হলো:
 
# বেলিসারিও কুয়েভেদো
# কারসেলেন
# সেন্ট্রো হিস্তোরিকো
# চিলিবুলো
# চিলোগালো
# চিম্বাকাল্লে
# কচাপাম্বা
# কমিতে দেল পুয়েবলো
# কনসেপসিওন
# কতোকোল্লাও
# এল কনডাডো
# এল ইনকা
# গুয়ামানি
# ইনাকিতো
# ইচিম্বা
# জিপিজাপা
# কেনেডি
# লা আর্গেলিয়া
# লা ইকুয়েটোরিয়ানা
# লা ফেরোভিয়ারিয়া
# লা লিবার্তাদ
# লা মেনা
# মাগদালেনা
# ম্যারিস্কাল সুক্রে
# পনকিয়ানো
# পুয়েনগাসি
# কিতুম্বে
# রুমিপাম্বা
# স্যান বার্তোলো
# স্যান হুয়ান
# সোলান্দা
# তুরুবাম্বা
 
=== ধর্মচর্চা সংক্রান্ত যাজকপল্লী ===
কিতোর রোমান ক্যাথলিক আর্চডোসিস শহরটিকে ১৬৭টি যাজকপল্লীতে বিভক্ত করেছে যা ১৭টি অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত।
 
== যোগাযোগ ==
 
মার্সিকাল সুক্রা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যাত্রীদের ভ্রমণ এবং মাল পরিবহনের জন্য শহরের প্রধান বিমানবন্দর হিসাবে কাজ করে। বিমানবন্দরটি শহরের কেন্দ্র থেকে ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) পূর্বে তাববেলা প্যারাশিয়ায় অবস্থিত। ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ বিমানবন্দরটি চালু করা হয়েছিল। এটি শহরের সীমানার ১০ কিলোমিটার (২.২ মাইল) মধ্যে অবস্থিত পুরাতন মার্সিকাল সুক্রা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্রতিস্থাপন করেছে। পুরানো বিমানবন্দরটি উঁচু দালান এবং রাতের সময়ের কুয়াশার কারণে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল যা দক্ষিণ থেকে অবতরণকে জটিল করে তুলেছিল। পুরানো বিমানবন্দরটিকে পর্বতীতে একটি মহানগরী পার্কে পরিণত হয়েছে।
=== গণপরিবহন ===
মেট্রোবাস কিউ নেটওয়ার্ক যা "রেড ইন্টিগ্রেডা দে ট্রান্সপোর্টে পাবলিকো" নামেও পরিচিত। এটি কিতোতে দ্রুত বাস ট্রানজিট ব্যবস্থা এবং এটি  শহরে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে যায়। এটি তিনটি বিভাগে বিভক্ত - সবুজ লাইন (কেন্দ্রীয় বাস ব্যবস্থা, এল ট্রলি বা ট্রলিবাস নামেও পরিচিত), লাল লাইন (উত্তর-পূর্ব ইকোভা) এবং নীল লাইন (উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রীয় করিডোর)। দ্রুত বাস ট্রানজিট ব্যবস্থা ছাড়াও শহরে প্রচুর বাস চলাচল করে। বাসগুলোর নাম এবং নম্বর উভয়ই রয়েছে এবং তাদের নির্দিষ্ট রুট রয়েছে। সকল ট্যাক্সি ক্যাবগুলো হলুদ এবং তাদের প্রত্যেকটির মিটারই ভাড়া দেখায় । এখানে প্রায় ৮৮০০ টি নিবন্ধিত ট্যাক্সিক্যাব রয়েছে।
 
আগস্ট ২০১২ এ কিতো পৌরসভা বাইসাই কিউ নামে বাইসাইকেল ভাগাভাগির পদ্ধতি চালু করে।
 
== খেলাধুলা ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/কিতো' থেকে আনীত