অঞ্চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
103.242.23.185-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে কুউ পুলক-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
২৩ নং লাইন:
'''প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চল''' (Natural resource regions) : প্রাকৃতিক সম্পদ প্রায়শ সহজে চিহ্নিতকরণযোগ্য অঞ্চলে উৎপত্তি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ অঞ্চল প্রাকৃতিক ভূগোল বা পারিবেশিক ভূগোলের বিষয়বস্তু হতে পারে, কিন্তু এতে মানবীয় ভূগোল ও অর্থনৈতিক ভূগোলেরও জোড়ালো উপাদান রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি কয়লা অঞ্চল হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক বা ভূরূপতাত্তি¡ক অঞ্চল, কিন্তু এর উন্নয়ন এবং উত্তোলন একে একটি অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঞ্চলে পরিণত করতে পারে।
 
==ঐতিহাসিক অঞ্চল ==
'''ঐতিহাসিক অঞ্চল''' (Historical regions) :  ঐতিহাসিক ভূগোলের ক্ষেত্রটিতে কোনো স্থান বা অঞ্চলের সাথে মানুষের ইতিহাস জড়িত থাকায়, অথবা সময়ের সাথে সাথে স্থান ও অঞ্চলগুলো কীভাবে পরিবর্তীত হয় তা সমীক্ষা করার জন্য এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐতিহাসিক ভূগোলবিদ ডি.ডব্লিউ. মেইনিং (D. W. Meinig) তার `The Shaping of America: A Geographical Perspective on 500 Years of History' নামক পুস্তকে অনেকগুলো ঐতিহাসিক অঞ্চলের বর্ণান দিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমেরিকার প্রাথমিক উপনিবেশ স্থাপনের জন্য যেসব ইউরোপীয়রা প্রচেষ্টা করেছিলো, তাদের উৎস অঞ্চল শনাক্তকরণ করতে যেয়ে তিনি উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের আটলান্টিক উপকূলের প্রটেস্টাইন ধর্মালম্বি অধ্যুষিত অঞ্চলকে চিহ্নিত এবং সেগুলোর বর্ণনা করেছেন। এ অঞ্চলগুলোর মধ্যে কতকগুলো উপাঞ্চল রয়েছে, যেমন- ‘ওয়েস্টার্ন চ্যানেল কমিউনিটি’ যার রয়েছে আরও কতিপয় উপ-উপাঞ্চল, যেমন- কর্নওয়েল, ডেভন, সমরসেট, ডরসেট প্রভৃতি।
 
৮৫ নং লাইন:
মানদণ্ড নির্বাচনের ওপর একটি প্রথাগত বা আনুষ্ঠানিক অঞ্চল নির্ধারণ সহজ বা কঠিন হতে পারে। যখন একটি ভৌগোলিক অঞ্চল ভূভাগের স্থির অবয়বের বদলে অধিক পরিবর্তনশীল মানবীয় উপাদানের (যেমন- ভাষা) ওপর নির্ভর করে, সেখানে অঞ্চল নির্ধারণ কঠিন হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি অঞ্চলের প্রতিবেশীদের মধ্যে ৫০% ইংরেজিতে কথা বলে, এ জনসংখ্যা সারা বছরই একই ধরনের না-ও থাকতে পারে, বরং সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়ে কম-বেশি হতে পারে। তবু, নীতিগতভাবে, প্রতিটি প্রথাগত অঞ্চল কতিপয় গণনাযোগ্য চলকের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।
 
=== '''প্রথাগত বা নিয়মানুগ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য''' Ch ===
'''১. প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য''' (Physical Characteristics) : যেকোনো প্রথাগত অঞ্চলকে প্রাথমিকভাবে প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হয়। যেমন- সুন্দরবন, ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চল।
 
১১৫ নং লাইন:
কার্মিক অঞ্চলের সীমানা এলাকাটির অবকাঠামো এবং সেবার উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে সময় সময়ে পরিবর্তিত হয়। ভূগোলে পৃথিবীকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এসব অঞ্চলের রয়েছে কৃত্রিম সীমানা, যা সীমানার বাইরের অপেক্ষা ভিতরের অধিক প্রাধান্যবিশিষ্ট গুণাবলিকে পৃথক করার জন্য ব্যবহার করা হয়।   তিন ধরনের অঞ্চল রয়েছে, যথা- প্রথাগত বা নিয়মানুগ, কার্মিক বা প্রায়োগিক এবং ভ্যানাকিউলার বা উপলব্ধিগত। প্রথাগত অঞ্চলগুলোর অফিসিয়াল সীমানা রয়েছে, যেমন- দেশের, রাজ্যের, শহরের সীমানা। উপলব্ধিগত অঞ্চল বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের সাংস্কৃতিক উপস্থাপন এবং যা মানুষের মতামতের ওপর প্রতিষ্ঠিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=পৃথিবীর আঞ্চলিক ধরন|শেষাংশ=তাহা|প্রথমাংশ=আবু|বছর=২০০০|প্রকাশক=রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তক অনুবাদ ও প্রকাশনা বোর্ড|অবস্থান=রাজশাহী, বাংলাদেশে|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref>
 
=== '''কার্মিক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য''' Characteristics of Functional Region ===
'''১. আন্তঃনির্ভরশীলতা''' (Inter-dependence) : কার্মিক অঞ্চলসমূহের পরস্পরের আন্তঃনির্ভরশীলতা একান্ত প্রয়োজন। অর্থাৎ, কার্মিক অঞ্চল আন্তঃনির্ভরশীল কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত হয়। আবার বিভিন্ন কার্মিক অঞ্চলের মধ্যে আন্তঃনির্ভরশীলতা দেখা যায়।