শোলে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
50-Man (আলোচনা | অবদান)
→‎শ্রেষ্ঠাংশে: সংশোধন, সম্প্রসারণ
MdsShakil (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন (By FindAndReplace)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৭ নং লাইন:
 
==কাহিনীসংক্ষেপ==
দুই প্রানের বন্ধু বীরু ([[ধর্মেন্দ্র]]) ও জয় ([[অমিতাভ বচ্চন]]) বিভিন্ন সময় লোক ঠকিয়ে, চুরি করে বাউণ্ডুলে জীবন কাটায়। কোনো বিষয়ে দ্বিমত হলে তারা কয়েন টস করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তারা বহুবার জেল খেটেছে কিন্তু জেল পালাতে সিদ্ধহস্ত। এমনকি ইংরেজ জমানার জাঁদরেল জেলারকে ফাঁকি দিয়ে তারা পালিয়ে আসে। তাদের একবার গ্রেপ্তার করেছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ঠাকুর বলদেব সিং ([[সঞ্জীব কুমার]])। তার মনে পড়ে একদল ডাকাতের সাথে অতীতে বলদেব সিং এর পক্ষ হয়ে লড়াই করেছে এই দুজনে চলন্ত ট্রেন থেকে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে জানেন এই দুই আউট-ল বদমাস হতে পারে কিন্তু তারা বাহাদুর। গুলি চালনা, গায়ের জোরে তাদের সাথে এঁটে ওঠা ভার। একদিন তাদের ঠাকুর তলব করেন ও জানান যে রামগড়ের নামকরা ডাকাত গব্বর সিংকে ধরার জন্যে তাকে সাহায্য করতে। সরকার একাজে {{INR}} ৫০,০০০{{efn|name=exchange|The exchange rate in 1975 was 8.94 Indian rupees ({{INR}}) per 1 US dollar (US$).{{sfn|Statistical Abstract of the United States|1977|p=917}}}} রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। আর গব্বরকে জীবিত ধরে আনতে পারলে ঠাকুর তাদেরকে আরো {{INR}} ২০,০০০ রুপে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। ঠাকুরের গ্রাম রামগড়ের কাছে ডাকাত সর্দার গব্বর ([[আমজাদ খান]]) ও তার সাথীরা অমানুষিক অত্যাচার চালায়। গ্রামবাসীদের ফসল ও আনাজপাতি লুঠ করে। জয় এবং বীরু ঠাকুরের আমন্ত্রনে রামগড় আসে। রাস্তায় টাংগাওয়ালী বসন্তী ([[হেমা মালিনী]])র সাথে বীরুর হৃদ্যতা হয়। বীরু বাসন্তীর প্রেম ও সংশ্লিষ্ট হাস্যকৌতুক এই কাহিনীর অন্যতম উপজীব্য হয়ে ওঠে। অপরদিকে ঠাকুর বলদেবের বিধবা পুত্রবধূ রাধা ([[জয়া ভাদুড়ি]]) কে জয় পছন্দ করতে শুরু করে। সমাজের বাধা ও সংস্কারকে পরোয়া না করে ঠাকুর সাহেব নিজেও তাদের বিবাহ প্রস্তাব নিয়ে যান রাধার পিতৃগৃহে। ইতিমধ্যে জয় বীরুর সাথে একাধিকবার গব্বর বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। গব্বরের দলবল মারা পড়তে থাকে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে একছত্র সাম্রাজ্য এই দুই বাহাদুর ছেলের কাছে। হোলির দিন গব্বর বাহিনী গ্রাম আক্রমনআক্রমণ করে। গব্বর প্রায় ধরা পড়তে গিয়েও পালাতে সক্ষম হয় এবং আকস্মিকভাবে জয় ও বীরু জানতে পারে গব্বর অতীতে তাকে বন্দী করার প্রতিশোধ স্বরূপ ঠাকুর সাহেবের দুটি হাতই দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, ঠাকুর পরিবারের প্রায় সমস্ত সদস্যকে সে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল জেল থেকে পালাবার পরই। এই হলো ঠাকুর-গব্বর শত্রুতার ইতিহাস। একদিন গব্বরের লোকেরা বসন্তীকে ধরে নিয়ে গেলে বীরু তাদের পিছু নেয় এবং ডাকাতদলের হাতে বন্দী হয়। ডাকাত সাম্ভা যখন বন্দীকে খুন করতে উদ্যত তখনই পাহাড়ের ওপর থেকে নিখুঁত নিশানায় তাকে গুলি করে হত্যা করে জয়। কিছু গোলাগুলির পর জয়- বীরু-বাসন্তী ডাকাতদের খপ্পর থেকে পালাতে সক্ষম হলেও জয় জানায় তিনজনে একটি ঘোড়ায় পালানো যাবেনা। সে বসন্তীকে গ্রামে রেখে কার্তুজ সহ ফিরে আসতে নির্দেশ দেয় বীরুকে। সিদ্ধান্ত নিতে টস করা হয় এবং প্রতিবারের মত জয় টসে জেতে কারণ কয়েনের দুটি দিকই হেড, যা জয় একাই জানতো। অভিন্নহৃদয় বন্ধুকে বীরু বাধ্য হয়ে রেখে যায়, এবং ডাকাতদলের সাথে গুলি বিনিময় করতে করতে একসময় জয় মারাত্মক আহত হয়। বীরু ফিরে এসে দেখে জয় মৃতপ্রায় এবং নিজের জীবন দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। বীরু একাকী গব্বরের আস্তানায় হানা দিয়ে তাকে মারতে উদ্যত হলে আবির্ভূত হন ঠাকুর যিনি জানান গব্বরকে তিনি জ্যান্ত চান। এবং পায়ের কাঁটাওয়ালা জুতো দিয়ে গব্বরকে আঘাত করেন। গব্বরকে প্রায় খুন করতে উদ্যত এমন সময় পুলিশ এসে ডাকাত সর্দারকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ অফিসার জানান, আইন নিজে হাতে তোলা ঠাকুর সাহেবের উচিত নয় কারণ তিনি এমন একজন সৎ, আদর্শ অফিসার ছিলেন যার উদাহরণ আজো দেওয়া হয়ে থাকে। বন্ধুকে হারিয়ে বীরু ফেরার ট্রেন ধরে রামগড় থেকে। ট্রেনে উঠে নাটকীয় ভাবে সে দেখে বসন্তী সেখানে তার জন্যে অপেক্ষা করছে আগে থেকেই।
 
==শ্রেষ্ঠাংশে==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/শোলে' থেকে আনীত