মহীশূর চন্দন সাবান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অনুবাদ, সম্প্রসারণ
অনুবাদ, সম্প্রসারণ
৭ নং লাইন:
বিশ শতকের প্রথম দিকে ভারতের [[মহীশূর রাজ্য]] বিশ্বের বৃহত্তম [[চন্দন কাঠ]] উৎপাদনকারী ছিল। এরা চন্দন কাঠের প্রধান রপ্তানিকারকও ছিল, বেশির ভাগ রপ্তানি ইউরোপে করা হোত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধের কারণে রপ্তানি না-হওয়ায় বিপুল পরিমাণ চন্দন কাঠ জমে যেত। এই সঞ্চয়ের সদ্ব্যবহারের জন্যে মহীশূরের রাজা [[নলবাদি কৃষ্ণরাজা ওয়াদেয়ার]] বেঙ্গালুরুতে সরকারি সাবান কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কারখানা ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে গড়া হয়, চন্দন কাঠের তেল মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে মহীশূর চন্দন সাবান মার্কা নাম দিয়ে উৎপাদন শুরু হয়। একই বছরে [[মহীশূর|মহীশূরে]] একটা কারখানা গঠন করা হয় যেখানে কাঠ থেকে চন্দন কাঠের তেল শোধন করা হোত। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে [[শিমোগা|শিমোগাতে]] আরো একটা চন্দন কাঠের তেলের কারখানা গড়া হয়েছিল।<ref name="prof"/> [[কর্ণাটকের সংযুক্তি|কর্ণাটকের সংযুক্তির]] পর এই কারখানাগুলো কর্ণাটক সরকারের শাসনাধীনে আসে। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই কোম্পানিগুলোর সংযুক্তিকরণ করে একটা কোম্পানি হয়, যার নাম কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডেটার্জেন্টস লিমিটেড। চেহারা সিংহ এবং মাথাটা হাতির মতো, পুরাণ কাহিনি থেকে নেওয়া এরকম এক [[শরভ]] প্রাণীকে কোম্পানির লোগো হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল; কারণ এই প্রাণী ইচ্ছাশক্তি, সাহস এবং ক্ষমতার মতো গুণগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, এবং কোম্পানির দর্শনকে প্রফলিত করে।<ref name="prof"/> এই কোম্পানি যখন বৈচিত্র্য আনে, [[সাবান]] ছাড়াও [[আগরবাতি]], [[ট্যালকম পাউডার]] এবং [[ডেটার্জেন্ট]] উৎপাদন করছে।
 
== ব্যাবসা ==
 
২০০৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী ভারতে মোট উৎপন্ন এবং বাজারজাত ৪,৫০,০০০ টন সাবানের মধ্যে ৬,৫০০ টন মহীশূর চন্দন সাবান উৎপাদন হয়েছিল।<ref name="dhon">{{cite web|url=http://www.thehindubusinessline.com/catalyst/2006/03/30/stories/2006033000050100.htm|work=Online Edition of The Hindu Business Line, dated 2006-03-30|title= A whiff of cricket|author=Madhumathi D. S.|publisher=The Hindu Business Line|accessdate=2007-07-31}}</ref> বেঙ্গালুরুতে কেএসডিএলের কারখানা মহীশূর চন্দন সাবান তৈরি করে, ভারতে সমগোত্রের বৃহত্তম কারখানা, যেটা বছরে ২৬,০০০ টন সাবান উৎপাদনক্ষম।<ref name="prof"/> কেএসডিএল ২০০৪-২০০৫ বছরে ১১৫ কোটি টাকার (প্রায় ২৮.৭৫ লক্ষ মার্কিন ডলার) বিক্রি করেছিল, মহীশূর চন্দন সাবানের গড় মাসিক বিক্রি প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা (প্রায় ১.৮৭ লক্ষ মার্কিন ডলার)। ঐতিহ্যগতভাবে এই সাবান সেরকম উচ্চ পর্যায়ে বিপণন হোতনা এবং শুধুমাত্র ২০০৬ সময়কালে [[ভারতীয় ক্রিকেট টিম|ভারতীয় ক্রিকেটার]] [[মহেন্দ্র সিং ধোনি]] মহীশূর চন্দন সাবানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর মনোনীত হয়েছিলেন। অন্যান্য বিপণন কৌশলের মধ্যে ছিল একটা প্রকল্প, যেখানে যে সমস্ত সরবরাহকারী তাঁদেরকে দেওয়া বিক্রয়ের লক্ষ্য পূরণ করতেন তাঁরা রুপো অথবা সোনার মুদ্রা জিতে নিতেন। সাবানের ৮৫ শতাংশ বিক্রি [[দক্ষিণ ভারত|দক্ষিণ ভারতের]] [[কর্ণাটক]], [[অন্ধ্রপ্রদেশ]] এবং [[তামিলনাডু]] থেকে হয়। এই সাবানের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর বয়স ৪০ বছরের বেশি, এবং ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনো এই সাবানের গ্রহণযোগ্যতা হয়নি। নিয়মিত মহীশূর চন্দন সাবানের পাশাপাশি বাজার পাওয়ার জন্যে কেএসডিএল মহীশূর মাইশোর স্যান্ডাল বেবী সোপ বাজারে এনেছে। যাইহোক, কেএসডিএল নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, যেমন, চন্দন কাঠের ঘাটতি, যার ফলে কোম্পানি মাত্র ২৫ শতাংশ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে, এবং স্বভাবতই উৎপাদন কমছে। এর আসল কারণ হল কর্ণাটকে চন্দন কাঠের অরণ্য [[উৎস হ্রাস|হ্রাস]]।
 
== তথ্যসূত্র ==