মাইটোসিস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hamid Abrar Khan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Hamid Abrar Khan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১০ নং লাইন:
একটি মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে জিনগতভাবে অভিন্ন দুটি কোষের সৃষ্টিই হল মাইটোসিসের বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মিলনে গঠিত প্রাণীকোষচক্রের '''মাইটোটিক''' ('''M''') '''ফেজ'''।<ref>{{Cite web|title=Mitosis - an overview {{!}} ScienceDirect Topics|url=https://www.sciencedirect.com/topics/neuroscience/mitosis|access-date=2020-11-24|website=www.sciencedirect.com}}</ref>
 
একগুচ্ছ প্রক্রিয়ার আরম্ভ হতে সমাপন পর্যন্ত বিবেচনা করে মাইটোসিস বিভাজনকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করা যায়। এ পর্যায়গুলো হচ্ছে প্রোফেজ, প্রোমেটাফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ এবং টেলোফেজ। মাইটোসিসের সময় পূর্বে প্রতিলিপিত ক্রোমোজোমগুলো ঘনীভূত হয় এবং স্পিন্ডল তন্তুর সাথে সংযুক্ত হয়। স্পিন্ডল তন্তু প্রত্যেক ক্রোমোজোমের একটি করে অনুলিপি কোষের অপর প্রান্তে পৌঁছে দেয়।<ref>{{Cite web|title = Cell Division: Stages of Mitosis {{!}} Learn Science at Scitable|url = http://www.nature.com/scitable/topicpage/mitosis-and-cell-division-205#|website = www.nature.com|access-date = 2015-11-16|url-status = live|archive-url = https://web.archive.org/web/20151114201118/http://www.nature.com/scitable/topicpage/mitosis-and-cell-division-205|archive-date = 2015-11-14}}</ref> ফলশ্রুতিতে সৃষ্টি হয় দুটি জিনগতভাবে সদৃশ নিউক্লিয়াস। কোষের বাকি অংশগুলো এরপর সাইটোকাইনেসিস প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্যকোষে পরিণত হতে পারে।.<ref name=Maton1997/> বিশেষ অণুবীক্ষণযন্ত্রের সাহায্যে মাইটোসিসের বিভিন্ন পর্যায় সরাসরি বাস্তবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।<ref>{{cite journal |last1=Sandoz |first1=Patrick A. | name-list-style = vanc |title=Image-based analysis of living mammalian cells using label-free 3D refractive index maps reveals new organelle dynamics and dry mass flux |journal=PLOS Biology |date=December 2019 |volume=17 |issue=12 |pages=e3000553 |doi=10.1371/journal.pbio.3000553 |pmid=31856161 |pmc=6922317 }}</ref> দুটি কোষের পরিবর্তে তিনটি অপত্যকোষের সৃষ্টি এক ধরনের মাইটোটিক ত্রুটি যাকে বলা হয় ট্রাইপোলার মাইটোসিস বা মাল্টিপোলার মাইটোসিস।<ref name="Occurrence 2014">{{cite journal | vauthors = Kalatova B, Jesenska R, Hlinka D, Dudas M | title = Tripolar mitosis in human cells and embryos: occurrence, pathophysiology and medical implications | journal = Acta Histochemica | volume = 117 | issue = 1 | pages = 111–25 | date = January 2015 | pmid = 25554607 | doi = 10.1016/j.acthis.2014.11.009 | doi-access = free }}</ref> অস্বাভাবিক মাইটোসিসের ফলে অ্যাপোপটোসিস (কোষের জিনগত নিয়ন্ত্রিত মৃত্যুর প্রক্রিয়া) ত্বরান্বিত হতে পারে অথবা পরিব্যক্তি ঘটতে পারে। এসব পরিব্যক্তির ফলে কয়েক ধরনের ক্যান্সারও হতে পারে। <ref>{{cite journal | vauthors = Kops GJ, Weaver BA, Cleveland DW | title = On the road to cancer: aneuploidy and the mitotic checkpoint | journal = Nature Reviews. Cancer | volume = 5 | issue = 10 | pages = 773–85 | date = October 2005 | pmid = 16195750 | doi = 10.1038/nrc1714 | s2cid = 2515388 }}</ref>
 
মাইটোসিস কেবল সুকেন্দ্রিক কোষে সংঘটিত হয়। আদিকেন্দ্রিক কোষে নিউক্লিয়াস থাকে না, ফলে এসব কোষ দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়। প্রজাতিভেদে মাইটোসিসের বৈচিত্র্য রয়েছে।<ref name= "Raikov1994"/> উদাহরণস্বরূপ, প্রাণীকোষে "উন্মুক্ত" মাইটোসিস সংঘটিত হয়, যেখানে ক্রোমোজোম বিভক্ত হওয়ার আগেই নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বিলুপ্ত হয়। ফানজাই রাজ্যের জীবদেহে "বদ্ধ" মাইটোসিস সংঘটিত হয়, যেখানে অটুট নিউক্লিয়াসের ভেতরে ক্রোমোজোম বিভক্ত হয়।<ref name=DeSouza2007/> মাইটোসিসের শুরুর দিকে প্রায় গোলক আকৃতি ধারণের জন্য অধিকাংশ প্রাণীকোষ "মাইটোটিক কোষ রাউন্ডিং" নামক এক ধরনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। মানবদেহের বেশিরভাগ কোষ মাইটোটিক কোষ বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। তবে জননকোষ, যেমন- শুক্রাণু ও ডিম্বাণু কোষ মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে তৈরি হয়।