শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: বাংলা নয় এমন বিষয়বস্তু অতি মাত্রায় যোগ
১০৬ নং লাইন:
 
===ধর্ষণ-হত্যা মামলার বিরুদ্ধে দলীয় প্রাধান্য===
রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে বৈষম্যের কারণে সেনাবাহিনী পূর্ব থেকেই শেখ মুজিবের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল। তবে [[অ্যান্থনি মাসকারেনহাস]] তার [[বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ]] গ্রন্থে বলেন, শেখ মুজিবের প্রতি চূড়ান্ত অসন্তোষের পেছনে একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে তিনি প্রভাবক হিসেবে উল্লেখ করেন, যে ঘটনাটি কর্নেল ফারুক রহমান কর্তৃক বর্ণিত, তা হলঃ [[টঙ্গী]]র মোজাম্মেল নামক এক সমসাময়িক আওয়ামী লীগ তরুণ নেতা, যে সেসময় টঙ্গী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ছিল, সে এক নববিবাহিত গৃহবধুকে গাড়ী থেকে তুলে নিয়ে তার ড্রাইভার ও স্বামীকে হত্যা করার পর তাকে অপহরণপূর্বক [[গণধর্ষণ]] করে তিনদিন পর তার রক্তাক্ত লাশ রাস্তায় ফেলে যায়। এতে মেজর নাসের নামে ব্যাঙ্গল ল্যান্সারের একটি স্কোয়াড্রনের একজন অধিনায়ক মোজাম্মেলকে আটক করে [[বাংলাদেশ পুলিশ|পুলিশের]] হাতে সোর্পদ করলে অনতিবিলম্বে সে ছাড়া পায়। তখন অনেকেই মনে করেন, শেখ মুজিবের হস্তক্ষেপেই সে অপরাধের শাস্তি হতে মুক্তি পেয়েছিল। এ ঘটনা সেনাবাহিনীতে, বিশেষত কর্নেল ফারুকের ভেতরে শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বৃদ্ধি করে তাকে হত্যার পেছনে শেষ মুহূর্তের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।<ref name="Balb">{{cite book |last1=Mascarenhas |first1=Anthony |title=Bangladesh: A Legacy of Blood |date=1986 |publisher=Hodder and Stoughton |isbn=978-0-340-39420-5|url=https://books.google.com.bd/books?id=VoZ0QgAACAAJ&dq=legacy+of+blood&hl=bn&sa=X&ved=0ahUKEwjzupnRrsPqAhV-lEsFHT34BaUQ6AEIJDAA | quote= একদিন ঢাকার উত্তরে টঙ্গী অঞ্চলে একটি চিরুনী অভিযানের সময় মেজর নাসের যিনি বেঙ্গল ল্যান্সার্সের আরেকটি স্কোয়াড্রনের অধিনায়ক ছিলেন, তিনি তিনজন উঠতি কমবয়সী দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় একজন লোক ভেঙে পড়ে এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের একটি বিশেষত ভয়াবহ ত্রিভুজ হত্যার গল্প বলে যা আগের বছরের শীতকালের সময়টিতে টঙ্গিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ঘটনাটি ছিল, সদ্য বিবাহিত দম্পতি একটি ট্যাক্সিতে তাদের বাড়িতে যাওয়ার পথে শহরের উপকণ্ঠে পথিমধ্যে আটক হয়। বর ও ট্যাক্সি চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল এবং তাদের লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বিচ্ছিন্ন কটেজে নিয়ে গিয়ে কনেটিকে বারবার তার অপহরণকারীরা ধর্ষণ করে। তিন দিন পরে তার বিকৃত লাশটি একটি ব্রিজের কাছে রাস্তায় পাওয়া যায়। অপরাধে তার নিজের অংশের কথা স্বীকার করে, দুর্বৃত্তটি সেনাবাহিনীর সদস্যদের বলেছিল যে, এই ঘটনাটির তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়, যখন তারা (পুলিশেরা) জানতে পেরেছিল যে এই গ্যাংয়ের রিং-লিডার ছিলেন তার বস মুজাম্মিল, টঙ্গী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান। ফারুকের মতে, এই স্বীকারোক্তিটি জিজ্ঞাসাবাদকারীকে তীব্র রাগিয়ে দিয়েছিল, যে ছিল ইশতিয়াক নামে একজন কমবয়সী লেফটেন্যান্ট যিনি তখন থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এবং দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, "তিনি এই ছোকরাটিকে (দুর্বৃত্ত) এতটাই মারতে শুরু করেছিলেন যে, অভ্যন্তরীণ আঘাতের কারণে সে মারা যায়।" মুজাম্মিলকে মেজর নাসের নিজেই ধরে ঢাকায় নিয়ে আসেন যখন পুলিশ রেকর্ড থেকে নিশ্চিত হন যে, দুর্বৃত্তটি সত্য কথা বলছিল। ফারুকের মতে মুজাম্মিল নাসেরকে তার মুক্তির জন্য ৩০০,০০০ টাকা প্রস্তাব করেছিলেন। আওয়ামী লিগার (মুজাম্মিল) তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, "বিষয়টিকে সরকারি পর্যায়ে নেবেন না"। “আজ হোক বা আগামীকাল হোক, আমাকে আপনার ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে কেন টাকা নিয়ে তা ভুলে যাচ্ছেন না?” তাকে ঘুষ দেওয়ার এই নির্লজ্জ প্রয়াসের শিকার নাসের শপথ করেছিলেন যে, তিনি মুজাম্মিলকে বিচারের মুখোমুখি করবেন এবং তাকে তার অপরাধের জন্য ফাঁসিতে দেবেন। তিনি তাকে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। ফারুক বলেছিলেন যে শেখ মুজিবের হস্তক্ষেপে কিছুদিন পর মুজাম্মিলকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তা জানতে পেরে তারা অবাক হয়ে গেলেন। "আমি আপনাকে টাকা নেওয়ার কথা বলেছিলাম", মুজাম্মিল হুঙ্কার দিয়ে বললেন। “আপনি এতে লাভবান হতেন। এখন আমাকে ঠিকই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আর আপনি কিছুই পেলেন না।” এই ঘটনা ফারুক ও তার সহকর্মীদের চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়। টঙ্গি তাদের জন্য মোর ঘুড়িয়ে দেওয়া ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়। “দেখে মনে হচ্ছিল আমরা কোন অপরাধী সংগঠনের নেতৃত্বাধীন সমাজে বাস করছি। যেন মাফিয়া বাংলাদেশকে দখল করে নিয়েছে। আমরা পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এখানে সরকারপ্রধান নিজেই হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য চরমপন্থি বিষয়কে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, যা থেকে তিনি আমাদের রক্ষা করার কথা ছিল। এটি মেনে নেওয়ার মত বিষয় ছিল না। আমরা ঠিক করেছিলাম তাকে চলে যেতেই হবে। " "... যখন আশা নিভে যায়, জবাবদিহিতা অস্বীকার করা হয় এবং জনগণের কাছে হারাবার মতো আর কিছুই থাকে না, তখন তারা তাদের অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য সহিংসতার দিকে ফিরে যায়।" | pages=৪৮-৫৫ | accessdate=10 July 2020 |language=en}}</ref><ref name=বারঋ>[https://drive.google.com/file/d/1i93ObdSeapVxq2yngtOdbqXjGcjdZV5-/view বাংলাদেশঃ রক্তের ঋণ, এন্থনী ম্যাসকারেনহাস, হাক্কানী পাবলিশার্স, পৃষ্ঠা ৫৪-৬৫]</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=Obaidullah |প্রথমাংশ1=A. T. M. |শিরোনাম=Institutionalization of the Parliament in Bangladesh: A Study of Donor Intervention for Reorganization and Development |তারিখ=2018 |প্রকাশক=Springer |আইএসবিএন=978-981-10-5317-7 |পাতা=32 |ইউআরএল=https://books.google.com.bd/books?id=QtNjDwAAQBAJ&pg=PA32&dq=Muzammil+tongi&hl=bn&sa=X&ved=2ahUKEwjn0Z-a3KrsAhVTILcAHXHjBoYQ6AEwAHoECAEQAg#v=onepage&q=Muzammil%20tongi&f=false |সংগ্রহের-তারিখ=১০ অক্টোবর ২০২০ |ভাষা=en}}</ref>
 
==ষড়যন্ত্র==