সুন্নি ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎বহিঃসংযোগ: পেয়েছি। উপরের শিরোনামের লেখাগুলো নিচে নিয়ে আসা হয়েছে। আর উপরে দলীয় প্রচারণা যোগ করা হয়েছে। এটি উপরে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
→‎সুন্নি মাযহাব: মূল শিরোনামে যোগ করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৪ নং লাইন:
 
== সুন্নি মাযহাব ==
ইসলামী আইনকে [[শরিয়াহ]] বলা হয়। আর এই শরিয়াহ তৈরি হয় [[কুরআন]], [[সুন্নাহ]], ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে। সুন্নিদের যারা এই আইনসমূহের ব্যাখ্যা দেন তাদের মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য আছে। সুন্নিদের প্রধান চারটি [[মাযহাব]] আছে। যথা:
 
*[[হানাফি]]
* হানাফি মাজহাব ([[আবু হানিফা|ইমাম আবু হানিফা]] কর্তৃক উপস্থাপিত)
*[[শাফিঈ]]
 
*[[মালিকি]]
পারসিক ''ইমাম আবু হানিফা'' (জন্ম ৬৯৯খ্রি. - মৃত্যু ৭৬৭ খ্রি.) হলেন হানাফি মাজহাবের প্রবক্তা। তিনি [[ইরাক|ইরাকে]] জন্মগ্রহণ করেন। অন্য মাজহাবগুলোর তুলনায় তার মাজহাবটিতে প্রজ্ঞা ও যুক্তির উপর অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। [[বাংলাদেশ]], [[পাকিস্তান]], [[ভারত]], [[আফগানিস্তান]], [[মধ্য এশিয়া]]; দক্ষিণ [[রাশিয়া]], [[ককেশাস]], বলকান উপদ্বীপের কিছু অংশে, [[ইরাক]], [[সিরিয়া]], [[মিশর]], [[ইয়েমেন]] এবং [[তুরস্ক|তুরস্কের]] অধিকাংশ মুসলিম এই মাজহাব অনুসরণ করেন।
*[[হাম্বলি]]
 
* মালিকি মাযহাব ([[মালিক ইবনে আনাস|ইমাম মালিক ইবনে আনাস]] কর্তৃক উপস্থাপিত)
মালিক ইবনে আনাস (জন্ম : ৭১১ খ্রিষ্টাব্দ/ ৯৩ হিজরি - মৃত্যু : ৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দ/ ১৭৯ হিজরি) তার তত্ত্বগুলো সুসংগঠিত করেন মদিনাতে যেখানে তার সাথে পরিচয় ঘটেছিলো নবি মুহাম্মদের বেঁচে থাকা এক বৃদ্ধ সাহাবির সঙ্গে। সমগ্র [[আফ্রিকা]] ([[মিশর]] ব্যতিত) ও পুর্ব উপকূল জুড়ে এই মাজহাবের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
 
* শাফেয়ী মাজহাব ([[ইমাম শাফি|মুহাম্মদ ইবনে ইদরিস আশ-শাফি]] কর্তৃক উপস্থাপিত)
আল শাফি একজন মধ্যপন্থী হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি প্রথমে ইরাকে ও পরে মিশরে শিক্ষালাভ করেন। [[ইন্দোনেশিয়া]], মিশরের দক্ষিণ ভাগ, [[মালয়শিয়া|মালেয়শিয়া]] এবং [[ইয়েমেন|ইয়েমেনে]] এই মাজহাবের অনুসারীদের দেখা মেলে।
 
* হাম্বলি মাজহাব ([[আহমদ বিন হাম্বল|আহমেদ ইবনে হাম্বল]] কর্তৃক উপস্থাপিত)
 
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(৭৮০-৮৫৫ খ্রি./ ১৬৪-২৪১ হিজরি) আশ-শাফির শিষ্য ছিলেন। তৎকালীন খলিফার সাথে কিছু মতভেদের কারণে তার উপর অনেক নির্যাতন করা হয়। আধুনিক [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] অনেকে এই মতের অনুসারী।
 
এই মাজহাবগুলোর মধ্যে অল্পবিস্তর পার্থক্য থাকলেও সুন্নিরা সব কয়টি পথকেই সঠিক মনে করেন। এই মাজহাবগুলো ছাড়াও আরো মাজহাব রয়েছে যাদের অনুসারী সংখ্যা খুবই নগণ্য কিংবা এরা কেউ বেঁচে নেই।
 
শরিয়াহকে ব্যাখ্যা করে বিশেষ আইন প্রণয়নকে ফিকহ বলে। মাজহাব হলো একটা বিশেষ উপায়ে ফিকহকে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা। এই ঘরানাগুলো বিশেষ কিছু প্রমাণ (শাফি ও হাম্বলি) কিংবা বিশেষ কিছু সাধারণ নীতিমালা (হানাফী ও মালিকী) এর উপর গুরুত্ব আরোপ করে। যেহেতু এই মাজহাবগুলো শরিয়াহ ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিগত ভিন্নতা নির্দেশ করে, তাই প্রতিটি ধারাতেই কিছু না কিছু পার্থক্য আছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন ফিকহ আইন তৈরি হয়। যেমন, একসময় তামাক সেবনে অনুৎসাহিত করা হতো এর উৎকট গন্ধের কারণে কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণায় এর খারাপ দিকগুলো উন্মোচিত হওয়ায় এটিকে এখন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলাফল হলো শরিয়া অপরিবর্তিত থাকলেও ফিকহ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে।
 
সুন্নীদের মতে মাজহাব ও ধর্মীয় উপদল একই বিষয় নয়। কারণ মাজহাবগুলো পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়। একটি বড় মুসলিম জনগোষ্ঠীতে চারটি মাজহাবের অনুসারী চিন্তাবিদই থাকতে পারে। এটা সম্পূর্ণ লোকজনের ব্যাপার যে তারা কোনটা পছন্দ করবে। অনেক সুন্নি মনে করেন যে, একজন মুসলিমের শুধু একটি মাজহাবই অনুসরণ করা উচিত। যদিও ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে অন্য মাজহাব থেকেও বিধান নেওয়া যেতে পারে। কিছু সুন্নিরা আবার নির্দিষ্ট কোনো মাজহাব অনুসরণ করেন না। যেমন, [[আহলে হাদীস]]রা বিশেষ কোনো মাজহাব মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানায়।
 
== ইতিহাস ==